মোহাম্মদ আজাদ : | বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০
জো বাইডেন নিজ দলীয় সাবেক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বি সিনেটর কমলা হ্যারিসকে রানিংমেট ঘোষনার পরদিন জনসম্মুখে আসেন দু’জন। দেলওয়ার স্টেটের উইলমিংটন সিটিতে গত ১২ আগস্ট বুধবার বিকেলে কমলা হ্যারিস আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণার প্রথম দিনেই ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো-বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস সমালোচনা করেন ট্রাম্পের। করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্পকে হাটানোর অঙ্গীকার করেন। তারা বলেন- ট্রাম্পকে হটাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিস দু’জনই সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। এছাড়া প্রজন্মগত ব্যবধানও দু’জনের মধ্যে স্পষ্ট। এমতাবস্থায় ট্রাম্পকে কীভাবে তারা মোকাবেলা করবেন-তা দেখতে দেশবাসী এখন উন্মুখ। কমলা হ্যারিস বলেন, আমরা আমেরিকার মানুষকে ভালোবাসি। দেশের অর্থনীত, স্বাস্থ্য, পরিবেশ সবকিছু সুন্দও ও স্বাভাবিক দেখতে চাই। জাতিগত বৈষম্য বা পুলিশি বর্বরতার কোন অবকাশ নেই এ রাষ্ট্রে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা হ্যারিসকে তার রানিং মেট করার ঘোষণা দেন। কমলা হ্যারিস মহিলা হিসেবে তৃতীয় এবং ডেমোক্র্যাট দল থেকে দ্বিতীয় একজন নারী যিনি কিনা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। এর আগে ১৯৮৪সালের নির্বাচনে সর্বপ্রথম ও যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একজন নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৎকালীন ডেমোক্র্যোট প্রার্থী ওয়াল্টার মেন্ডেলের রানিংমেট হয়েছিলেন নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান গার্লডাইন ফেরারা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে আরেকজন মহিলা সারা পলিন যিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী প্রয়াত সিনেটর জন ম্যাককেইনের রানিংমেট হয়েছিলেন। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দলের এ দু’মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মাঝে কেউ জয়ী হতে পারেননি। কমলা হ্যারিস হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মহিলা প্রার্থীদের মাঝে তৃতীয় এবং ডেমোক্র্যাট দল থেকে দ্বিতীয় কোন মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। “বাইডেন-হ্যারিস” ডেমোক্র্যাট দলীয় এই জুটি আসছে ৩ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলীয় জুটি “ট্রাম্প-পেন্সের” বিরুদ্ধে লড়তে।
কমলা হ্যারিস হচ্ছেন কমলা দেবী হ্যারিস। মা শাইমালা গোপালা এবং বাবা জেলান্ড হ্যারিস। মা হচ্ছেন জ্যামাইকান ইন্ডিয়ান এবং বাবা হ্যারিস একজন জ্যামাইকান। ১৯৬৪ সালের ২০ অক্টোবর, কমলা ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। কমলাকে একই সাথে এশিয়ান আমেরিকান এবং জ্যামাইকান আমেরিকান বলা হয়। ছোটকালে কমলা বোন ও মা, বাবা সহ ক্যালিফোর্নিয়াতে হিন্দু মন্দিরে এবং ব্ল্যাক ব্যাপটিস্ট চার্চে যাতায়াত করতেন। ভারতে চেন্নাই ভ্রমণ করেছিলেন নানার বাড়িতে। ১৯৮৬ সালে কমলা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। এরপর ১৯৮৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির হেস্টিং কলেজ থেকে জুডিশিয়ারী ডিগ্রী অর্জন করেন। ২০১৪ সালে তিনি ডগলাস এমহককে বিয়ে করেন। ২০১৬ সালে প্রথম তিনি ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর নির্বাচিত হন। ইতোপূর্বে তিনি সানফ্রান্সিসকোর ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি, সান্ফ্রান্সিকো সিটি এটর্নির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালে কমলা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার এটর্নি জেনারেল নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে তিনি একই পদে পুন:নির্বাচিত হন। কমলা হ্যারিস বর্তমানে সিনেট জুডিশিয়ারী কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য। গত বছর ডেমোক্র্যাট প্রাইমারী নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে কমলা নিজেই একজন ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন। প্রাইমারী নির্বাচনে সুবিধা করতে না পেওে শেষ পর্যন্ত তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং শেষ পর্যায়ে তিনি বাইডেনের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন। জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাট দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তিনি ঘোষণা করেন তার রানিং মেট হবে একজন মহিলা ।
আগামী সপ্তাহে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কনভেনশন থেকে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের মনোনয়নকে দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হবে। গত ১১ আগস্ট জো বাইডেন সমর্থকদের কাছে দেওয়া এক ই-মেইলে তাঁর রানিং মেট হিসেবে কমলা হ্যারিসকে বেছে নেওয়ার কথা জানান। ই-মেইলে জো বাইডেন বলেন, ‘২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মাইক পেন্সের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কমলা হ্যারিসই সেরা ব্যক্তিত্ব বলে আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।’ প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কমলা হ্যারিস টুইটে বলেন, জো বাইডেনের রানিং মেট হিসেবে নিযুক্ত হওয়াকে তিনি সম্মানের মনে করছেন।জো বাইডেনকে কমান্ডার ইন চিফ করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা করা হবে বলে কমলা হ্যারিস টুইট বার্তায় উল্লেখ করেন।
আমেরিকার প্রধান দুই দলের একটিতে কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয় মিশ্রণের কোনো নারীর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন পাওয়া একটা ইতিহাস। কমলা হ্যারিস মার্কিন সিনেটে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ও দ্বিতীয় কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিতর্কে ঝানু কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্রেটিক পার্টির উদারনৈতিক পক্ষের সঙ্গে বনেদিদের মধ্যে একটা যোগসূত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক নাগরিক আন্দোলনের সময়ে কমলা হ্যারিসকে অগ্রভাগে দেখা গেছে। এসব বিবেচনায় কমলা হ্যারিসই জো বাইডেনের রানিংমেট হিসেবে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও প্রথম আলো ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে একাধিক আগাম প্রতিবেদন করেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাৎক্ষণিক টুইটে বলেছেন, কমলা হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যোগ্যতার চেয়েও বেশি প্রস্তুত। এমন সিদ্ধান্ত আসায় দিনটিকে আমেরিকার জন্য একটি ভালো দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন ওবামা।
সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনও কমলা হ্যারিসের মনোনয়নে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁকে নির্বাচিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকে দ্রুত এক টুইট বিজ্ঞাপনে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে আক্রমণ করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনে ‘ধীরে চলা’ বাইডেন ও ‘নকল’ কমলা হ্যারিস উল্লেখ করে তাঁদের বিদ্রূপ করা হয়েছে। কমলা হ্যারিস দলের প্রাইমারিতে জো বাইডেনকে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল থাকা অবস্থায় তাঁর নিজের অবস্থানও প্রার্থিতার জন্য বিসর্জন দিয়েছেন বলে ট্রাম্প শিবির থেকে আক্রমণ শুরু হয়েছে। কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণার আগেই গত মঙ্গলবার সকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কোনো নারীকে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দিলে পুরুষেরা অপমান বোধ করতে পারে।
কে এই কমলা হ্যারিস?
ইতিহাসে এই প্রথমবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারী কমলা লড়ছেন আমেরিকায় ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত কৃষ্ণাঙ্গ ও ভারতীয় মিশ্রণের সিনেটর কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট হিসেবে ঘোষণা করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যদি বাইডেন জেতেন, আমেরিকাতে তাহলে প্রথম কোনো কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিযুক্ত হবেন কমলা। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে কখনো দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের কোনোটি থেকে অশ্বেতাঙ্গ কোনো নারীকে প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে গ্রহণ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো নারী জয়ী হননি। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছর হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লড়াইয়ে কমলার এটি দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। এর আগে তিনি নিজে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ না হলেও ডেমোক্রেটিক টিকিটে আরেকবার হোয়াইট হাউসের স্বপ্ন দেখতে পারছেন তিনি।
জো বাইডেনকে টুইট করে কমলা সম্পর্কে বলেছেন, ‘তিনি একজন সাহসী যোদ্ধা এবং দেশের অন্যতম সেরা জনগণের সেবক। কমলা হ্যারিসকে রানিং মেট হিসেবে বেছে নিয়েছি। তিনি আমেরিকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারবেন, আমার আশা। সারা জীবন ধরে তিনি সবার জন্য লড়াই করে আসছেন। এবার হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সবাই মিলে ট্রাম্পকে হারাতে চলেছি আগামী দিনে।’ ৫৫ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম একটি জনপ্রিয় মুখ হিসেবে পরিচিত কমলা। তিনি এমন সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়তে যাচ্ছেন, যখন করোনার জেরে আমেরিকার অর্থনীতি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন। বাড়ছে বেকার সংখ্যা।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, কমলার জন্ম ক্যালিফোর্নিয়ায়। তাঁর মা শ্যামলা গোপালন ছিলেন ও ক্যানসার গবেষক। ২০০৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কমলার বাবা ডোনাল্ড হ্যারিসের জন্ম জ্যামাইকায়। তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। খুব কম বয়সেই কমলার মা–বাবার বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। তিনি হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। বিবিসি জনায়, সান ফ্রান্সিস্কোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ও ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদে থাকাকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান সমালোচক ছিলেন কমলা। গত বছরে একটা সময় কমলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়েও ছিলেন। কিন্তু ডেমোক্রেটদের পার্টির অন্দরের লড়াইয়ে জো বাইডেনের কাছে হেরে যান তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের সময় একাধিক বিতর্কে বাইডেনকে তীব্র সমালোচনাও করেছেন কমলা। কিন্তু সেই বাইডেনের সঙ্গেই তিনি এবার নির্বাচনে যাচ্ছেন।
হ্যারিস বরাবরই নিজের কৃষ্ণাঙ্গ পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। তিনি নিজেকে ‘আমেরিকান’ বলে সব সময় বর্ণনা করেন। ২০১৯ সালে ওয়াশিংটন পোস্টকে কমলা বলেন, ‘আমি যা আমি তাই। আমি এর সঙ্গেই ভালো মানায়। আপনাকে এটা খুঁজে দেখতে হলেও আমি এতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি।’ দুই বছরের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করার সময় হ্যারিস ডেমোক্রেটিক পার্টির উঠতি তারকা হিসেবে সম্মান অর্জন করেন। ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার জুনিয়র ইউএস সিনেটর নির্বাচনে বাজিমাত করেন। বিতর্কে ঝানু কমলা হ্যারিসকে ডেমোক্রেটিক পার্টির উদারনৈতিক পক্ষের সঙ্গে বনেদিদের মধ্যে একটা যোগসূত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক নাগরিক আন্দোলনের সময়ে কমলা হ্যারিসকে অগ্রভাগে দেখা গেছে। এসব বিবেচনায় কমলা হ্যারিসই জো বাইডেনের রানিং মেট হিসেবে আলোচনার শীর্ষে ছিলেন।
এক টুইটে কমলা হ্যারিসকে নিজের রানিং মেট হিসেবে বাছাই করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছেন বলে জানান জো বাইডেন। কমলা তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আমেরিকার মানুষদের একত্র করতে পারবেন জো। কারণ তিনি সারা জীবন আমাদের জন্য লড়াই করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি এমন এক আমেরিকা গড়ে তুলবেন, যা আমাদের আদর্শ মেনে চলবে। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমি সম্মানিত এবং তাঁকে কমান্ডার ইন চিফ বানানোর জন্য যা করার প্রয়োজন, তা করব।’ কমলাকে বেছে নেওয়া সিদ্ধান্তে ভারতীয়রা উচ্ছ্বসিত হলেও খোঁচা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার লক্ষ্যে লড়াইয়ে থাকা ট্রাম্প মন্তব্য করেন, বাইডেনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হওয়া সত্ত্বেও কমলাকে নিজের ডেপুটি হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে তিনি ‘অবাক’ হয়েছেন। ৭ অক্টোবর উটাহর সল্ট লেক সিটিতে বিতর্কে মাইক পেন্সের মুখোমুখি হবেন কমলা হ্যারিস।
Posted ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh