বাংলাদেশ ডেস্ক : | বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৮৩ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত মানুষের সংখ্যা ১৭ লাখের বেশি।মহামারির শুরু থেকে বিশ্বের সব দেশ ও অঞ্চলের করোনা সংক্রমণের হালনাগাদ তথ্য সংরক্ষণ করছে ওয়ার্ল্ডোমিটারস নামের একটি ওয়েবসাইট। তাদের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ২৩ ডিসেম্বর (বুধবার) বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৮। একই সময় নাগাদ বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৭৭১ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ৫১ লাখ ২১ হাজার ৯৮২। বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৮৬ লাখ ৮৪ হাজার ৬২৮। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮২৪ জন। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯৯ হাজার ৩০৮। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৬ জন। ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৩ লাখ ২০ হাজার ২০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৮৫ জন। তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। তুরস্ক সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’। গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত ২২ ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত মোট ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মোট ৭ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জন। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেওয়া হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় ১৮ মার্চ। মে মাসের শেষ দিক থেকে দেশে করোনার সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করে। আগস্টের শেষ থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী হয়েছিল। নভেম্বরে গিয়ে আবার ঊর্ধ্বমুখী ধারা দেখা দেয়। অবশ্য কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ শনাক্তের হার কমতির দিকে।
করোনাভাইরাসের নতুন একটি পরিবর্তিত রূপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার খবরে সারা বিশ্বে আবারও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ৭০ গুণ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন ভাইরাসটি প্রথম চিহ্নিত হয়েছে যুক্তরাজ্যে। এরপর থেকেই আশপাশের অনেক দেশেই ভাইরাসটি নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। খুব দ্রুত নানা স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, আগের মতোই কোভিডের পরিবর্তিত রূপটি অল্পকিছু দিনের মধ্যেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এখনই সতর্ক না হলে এর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। বিশ্বে করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগী পৌনে ৮ কোটি ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা অতিক্রম করেছে ১৭ লাখ। ভ্যাকসিন যখন মহামারী মুক্তির আশা জাগাতে শুরু করেছিল ঠিক সে সময়ে নতুন ধাক্কা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। করোনার প্রথম দিকের সংক্রমণের সময় সারা বিশ্বই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ করে কার্যত বিচ্ছিন্ন ছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনার নতুন রূপটি যুক্তরাজ্যে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে ৪০টিরও বেশি দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ব্রিটেন ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসেও এ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায়ও করোনাভাইরাসের প্রায় একই ধরনের আরেকটি রূপ পাওয়া গেছে। এতে যে মিউটেশন ঘটেছে তা কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের ধরনটির মতই। দক্ষিণ আফ্রিকার ল্যাবে এখন যেসব ভাইরাসের জেনেটিক অ্যানালাইসিস হচ্ছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ওই বদলে যাওয়া রূপটিরই দেখা মিলছে। বিজ্ঞানীরা নতুন করোনাভাইরাসের এ রূপবদল নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, রূপান্তরিত এ ভাইরাস শিশুদের মধ্যে সহজে ও উচ্চহারে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভাইরাসটির নতুন ধরন এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তবে এটি নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এ অবস্থার কারণে ইউরোপ-আমেরিকার শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ৪০টি দেশের বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে। সাবধানতার অংশ হিসেবে আন্তঃসীমান্ত বন্ধ করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কুয়েত ও ওমান। আর করোনার নতুন স্ট্রেনের (প্রজাতি) প্রতিষেধক তৈরি করতে মাত্র ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে দাবি করেছে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক।
যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ৪০ দেশের বিমান চলাচল স্থগিত : জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড, তুরস্ক এবং কানাডাসহ বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। এতে ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপসহ অনেক অঞ্চলের যোগাযোগ দৃশ্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্রিটেনেরে সঙ্গে ভারতও যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য দেশের জন্য একটি স্বাস্থ্য প্রটোকল তৈরি করার কাজ চলছে। যাতে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইউরোপের যান চলাচল আবার শুরু হতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইইউ জোট ছাড়ার ১০ দিন আগেই রূপান্তরিত করোনাভাইরাসের আতঙ্কে গত ২০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে আয়ারল্যান্ড, হল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়াসহ আরও কিছু দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সময় গত ২১ ডিসেম্বর রাত ১১টা থেকে ফ্রান্স ৪৮ ঘণ্টার জন্য ব্রিটেনের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রিটেনের ইংলিশ চ্যানেলের তীরবর্তী ডোভারের ফেরি ও টানেল দিয়ে পার হওয়া সব গাড়ি ও ট্রাক ফ্রান্সে ঢোকা বন্ধ হয়ে যায়। এতে দু-প্রান্তেই অসংখ্য যানবাহন দীর্ঘ লাইনে আটকা পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য পরিবহন।
শিশুদের সহজে আক্রান্ত করতে পারে : যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণ করেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, রূপান্তরিত এ ভাইরাস শিশুদের অনেক সহজে আক্রান্ত করতে পারে। আগে বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার ছিল খুবই কম। তবে নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসটি নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি উচ্চহারে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে। লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসে আগেরটির তুলনায় শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার হার উচ্চ। তিনি বলেন, ‘এর মধ্য দিয়ে কিছু ভিন্নতার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। যদিও আমরা এর কারণ এখনও শনাক্ত করতে পারিনি, তবে তথ্য-উপাত্ত সে আভাসই দিচ্ছে।’ অধ্যাপক ফার্গুসন আরও বলেন, ‘লকডাউন চলার সময় আমরা দেখেছি ইংল্যান্ডে শিশুদের আক্রান্ত করার ক্ষেত্রে ভাইরাসটি বয়সভেদে ভিন্ন আচরণ করছে।’
ইউরোপ-আমেরিকার শেয়ারবাজারে ধস : এ ঘটনার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে বিশ্ব শেয়ারবাজারে। ইউরোপের বেশির ভাগ দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও ধস নেমেছে। এছাড়া ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দামেও পতন ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শেয়ারবাজার এসঅ্যান্ডপি ৫০০-এর সূচক গত ২২ ডিসেম্বর দিনের শুরুতেই নিচে নেমেছে অন্তত ১ শতাংশ। ডো জোনস এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানশাসিত নাসডাকেরও অনেকটা একই অবস্থা। এদিকে লন্ডনের এফটিএসই ১০০-এর লেনদেন কমেছে অন্তত ২ শতাংশ। জার্মানি এবং ফ্রান্সের প্রধান শেয়ারবাজারগুলোর সূচক নেমেছে ৩ শতাংশের বেশি। যুক্তরাজ্যের ওপর বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় ধস নেমেছে ব্রিটিশ এয়ারলাইনগুলোর শেয়ারে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিক আইএজি’র দর কমেছে এক ধাক্কায় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। ইজিজেটের অবস্থা আরও খারাপ। তাদের শেয়ারের সূচক নেমেছে ৯ শতাংশ নিচে। ইউরোর বিপরীতে ইতোমধ্যেই ১ শতাংশ কমেছে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মান, মার্কিন ডলারের বিপরীতে তা কমেছে অন্তত ১ দশমিক ৪ শতাংশ।
সীমান্ত বন্ধ করছে সৌদি আরব, কুয়েত ও ওমান : নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ থেকে সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে সৌদি আরব, কুয়েত ও ওমান। উপসাগরীয় দেশ তিনটি জানিয়েছে, একই সঙ্গে বন্ধ রাখা হচ্ছে সব ধরনের বাণিজ্যিক ফ্লাইট। নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়ার পরই গত রোববার স্থল ও নৌ সীমান্ত বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব। বাতিল করা হয় সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। তবে ইতোমধ্যে দেশটিতে অবস্থান করা সব বিদেশি ফ্লাইটকে ফেরত যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে বলে জানায় সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কুয়েত জানিয়েছে, গত ২১ ডিসেম্বর বেলা এগারোটা থেকে আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাতিল থাকবে সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট। এছাড়া স্থল ও নৌ সীমান্তও বন্ধ থাকবে। তবে পণ্য পরিবহন চলমান থাকবে বলে জানানো হয়। ওমানের স্থল, নৌ ও আকাশ সীমান্ত গত ২২ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে এখনও যুক্তরাজ্যের বিমান যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। তবে এটি নিয়ে শঙ্কা আছে। বিদ্যমান ব্যবস্থা প্রয়োগ করেই করোনার এই নতুন ধরনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। নতুন ধরন নিয়ে যুক্তরাজ্য ও তার বাইরে সৃষ্ট উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে গত ২১ ডিসেম্বর ডব্লিউএইচও এ কথা বলে। সংস্থাটির জরুরি বিষয়ক কার্যক্রমের প্রধান মাইকেল রায়ান জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে দেখতে পেয়েছি। তাই সে অর্থে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে নয়। তবে এটিকে তার নিজের গতিপথে চলতে দেয়া যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, এই ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে বর্তমানে যেসব ব্যবস্থা জারি রয়েছে, সেটাই সঠিক ব্যবস্থা।
নয়া ভাইরাসের টিকা ৬ সপ্তাহে বানাবে বায়োএনটেক : ব্রিটেনে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের (প্রজাতি) প্রতিষেধক তৈরি করতে মাত্র ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে দাবি করেছে জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক। আমেরিকার করোনা টিকা নির্মাতা সংস্থা ফাইজারের সহযোগী বায়োএনটেক কর্তৃপক্ষের দাবি, ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তারা। সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা উগুর শাহিন গত ২২ ডিসেম্বর বলেন, ‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে মনে করছি, আমাদের তৈরি করোনা টিকা ব্রিটেনে পাওয়া নতুন ভাইরাস প্রজাতির সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম। তবুও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ৬ সপ্তাহের মধ্যেই নতুন টিকা তৈরি করে ফেলতে পারব, যা নয়া স্ট্রেনের বিরুদ্ধে নিশ্চিতভাবেই কার্যকরী হবে।’
Posted ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh