শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

রিপাবলিকান কনভেশনে ট্রাম্পের মনোনয়ন

মোহাম্মদ আজাদ :   |   বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০

রিপাবলিকান কনভেশনে ট্রাম্পের মনোনয়ন

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী ৩ নভেম্বর। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নর্থ ক্যারোলিনার শার্লোট সিটিতে গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রিপাবলিকান পার্টির চারদিনব্যাপী ন্যাশনাল কনভেনশন। কনভেনশনে ডেলিগেটেদের ভোটে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। দলীয় প্রাইমারীতে ট্রাম্প ও পেন্সের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ডেলিগেটদের সব ভোট পেয়েছেন তারা। ট্রাম্প-পেন্স জুটির ডেমোক্রেট দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কামালা হ্যারিস। কনভেনশনের প্রথম দিনেই ৩৩৬ জন ডেলিগেট কনভেনশনে উপস্থিত হয়ে ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেলিগেটদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে প্রথম দিন কনভেনশনে গিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে এবারের ভোটযুদ্ধে প্রচারণাও শুরু করল ক্ষমতাসীন দলটি। নর্থ ক্যারোলাইনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনের প্রথম দিনে ট্রাম্পের যোগ দেওয়ার কথা না থাকলেও শেষ মুহূর্তে হঠাৎ সেখানে তিনি হাজির হন। সেখানে এক বক্তব্যে এই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উলেস্নখ করেন। পাশাপাশি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, তাকে হারানোর একমাত্র রাস্তা হচ্ছে ভোট জালিয়াতি। বিরোধীরা সেই চেষ্টাই করছে। প্রথম দিনে এভাবেই ডেমোক্রেটদের আক্রমণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার বক্তব্য, মেইল ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনের যে প্রচার চালাচ্ছে ডেমোক্রেটরা, তা আসলে কারচুপির জন্য। ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনাকে ব্যবহার করে রিগিং বা জালিয়াতির রাস্তা খুঁজছে বিরোধীরা।

এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার মেইল ব্যালটের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প। তার অভিযোগ, মেইল ব্যালট কারচুপির জন্য সব চেয়ে ভালো। যদিও দেশটির নির্বাচন কমিশন ট্রাম্পের অভিযোগের সঙ্গে কখনোই একমত হয়নি। তারা বরাবরই বলে এসেছে, মেইল ব্যালটের সাহায্যে যে কারচুপি করা সম্ভব, এমন প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধের সময় থেকেই মেইল ব্যালটের প্রচলন আছে। সেনা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এই ব্যালটের মাধ্যমে বহু দিন ধরে ভোট দিয়ে আসছেন। ট্রাম্প এবং তার পরিবারও এই ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিয়েছেন।


কোভিড ১৯ এর কারণে কনভেনশনে কোনো ধরনের বাড়তি লোক সমাগমের সুযোগ রাখা হয়নি। ব্যবস্থা করা হয়েছে যে প্রত্যেক বক্তা নিজ নিজ অবস্থান থেকে বক্তৃতা করবেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতাগুলো সম্প্রচার করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্ষ্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেন থেকে বক্তৃতা করবেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মূলত কনভেনশনের শেষ দিনে মনোনয়ন গ্রহণ করে বক্তৃতা করলেও কনভেনশন থেকে ঘোষণা করা হয় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিদিন সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু প্রথম দিন তিনি আনুষ্ঠানিক কোন বক্তৃতা না দিয়ে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রিত কিছু প্রতিনিধির সাথে কথা বলেছেন এবং তা প্রচার করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, কথা বলার সময় ট্রাম্প খোশ মেজাজে ছিলেন না। এমনকি ছোট প্রতিনিধিদলটির সাথে কথা বলার সময় তিনি কোন প্রতিনিধির নাম ধরে সম্বোধন করেননি। কনভেনশনস্থল প্রথম থেকেই শার্লোট, নর্থ ক্যারোলিনা স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু পরে প্রেসিডেন্টের নির্দেশে ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিল এ করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সেখানে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটায় পুনরায় নর্থ ক্যারোলিনার শার্লোটে স্থানান্তর করা হয়।

কনভেনশনে চারদিনে ৭০ জন বক্তব্য রাভবেন। উদ্বোধনী দিবসে ১৭ জন বক্তৃতা করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন প্রেসিডেন্ট পুত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র, সাবেক ইউএন অ্যাম্বেসেডর নিকি হেইলি, একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ সিনেটর টিম স্কট, হাউজ মাইনরিটি হুই কংগ্রেসম্যান স্টিভ এসকালেস, কংগ্রেসম্যান ম্যাট গায়েটজ, রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির জিম জর্ডান, ট্রাম্প ক্যাম্পেইন এডভাইজার নাটালি হারপ, ট্রাম্প ক্যাম্পেইন ফান্ড রেইজার কিমবার্লি সালফয়েল। প্রথম দিনের সব বক্তাই বক্তৃতা করেন ওয়াশিংটন ডিসি’র মেলন অডিটরিয়াম থেকে, যা কয়েকজন ছাড়া ছিল দর্শক শূন্য। করোনার কারণে ডিসিতে ৫০ জনের বেশি একত্রিত হওয়ার সুযোগ নেই।


ট্রাম্প জুনিয়র তার বক্তব্যে বলেছেন, ওবামা-বাইডেন প্রশাসন যেসব খাতে ব্যর্থ হয়েছেন ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে সেসব খাতে সফল হয়েছেন। তিনি বলেন, চীন চায় যে জো বাইডেন জয়ী হোক। কারণ তিনি আমাদের অর্থনীতিকে দুর্বল করবেন। আমেরিকানরা যদি কোন ভরসা পেতে চান তাহলে তাদেরকে আমার পিতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিকে তাকাতে হবে। তিনি বলেন, মধ্যবিত্তরা এখন পূর্বের প্রশাসনের সময়ের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। সাউথ ক্যারোলিনার কৃষ্ণাঙ্গ রিপাবলিকান সিনেটর টিম স্কট বলেন এ নির্বাচনে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পকে সমর্থন করার প্রয়োজন রয়েছে। এ নির্বাচন আসলে ট্রাম বনাম বাইডেনের নয়, এ নির্বাচন হচ্ছে ‘আপনি বা আমি বা আমাদের স্বার্থ রক্ষার নির্বাচন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই আমাদের স্বপ্ন পূরণ করা যথার্থ ব্যক্তি। নিকি হেইলে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বর্ণবাদী নন। ওবামা-বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থ দিকগুলোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাফল্যের প্রমাণ দিয়েছেন।
কনভেনশনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বক্তৃতা করেন ফাষ্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, সেক্রেটারী অফ ষ্টেট মাইক পম্পেও, সিনেটর র‌্যাণ্ড পল, আইওয়ার গভর্নর কিম র‌্যানেল্ডস, ট্রাম্প পুত্র এরিক ট্রাম্প ও কন্যা টিফানি ট্রাম্পসহ অনেকে। ইসরাইল সফররত সেক্রেটারী অফ ষ্টেট জেরুসালেম থেকে বক্তৃতা করেন। সে্েরক্রটারী অফ ষ্টেট যুক্তরাষ্ট্রে চীফ ডিপ্লোমেট হিসেবে কোন রাজনৈতিক দলের সভা বা প্রচারণায় বক্তৃতা করতে পারেন না। হাউজ ডেমোক্রেটরা এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ সম্পর্কে হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স ওভারসাইট ইনভেস্টিগেশস সাব কমিটির চেয়ারপার্সন কংগ্রেসম্যান জোয়াকুইন ক্যাস্ট্রো এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অধিকার রয়েছে সত্য জানা। প্রেসিডেন্ট পুত্র এরিক ট্রাম্প তার বক্তৃতায় পিতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ আপনি এদেশের জন্য যা করেছেন তাতে আমি গর্ববোধ করি। আমি অহঙ্কার করে আমার সন্তানদের বলি, দেখো তোমাদের দাদা এ দেশের জন্য কি করছেন। আপনি এ দেশকে শক্তিশালী ও নিরাপদ করেছেন। ট্রাম্প কন্যা টিফানি বলেন, আমরা সুযোগ ও যোগ্যতায় বিশ্বাস করি। আমরা শিক্ষা ও সর্বত্র ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আমরা বিশ্বাস করি আমেরিকান মূল্যবোধে।

মঙ্গলবার রাত সোয়া দশটায় প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে এক সংক্ষিপ্ত ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, যেখানে পাঁচজন ইমিগ্রান্ট উপস্থিত করা হয়। তারা প্রেসিডেন্টের সামনে শপথ বাক্য উচ্চারণ করে আমেরিকার ন্যাচারালাইজড সিটিজেন হন। তাদেরকে শপথ পাঠ করান হোমল্যাণ্ড সিকিউরিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান চাদ ওলফ। প্রেসিডেন্ট পাঁচ ন্যাচারালাইজড সিটিজেনের প্রশংসা করে তাদেরকে অভিনন্দন জানান। পরে ট্রাম্প তাদের হাতে সিটিজেনশিফ সার্টিফিকেট প্রদান করেন। রাত সাড়ে দশটায় হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে ফার্ষ্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প৪ বক্তৃতা করেন। এসময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, সেকেণ্ড লেডি কারেন পেন্স দর্শক সারিতে ছিলেন। বক্তৃতার সময় ফাষ্ট লেডিকে বেশ নার্ভাস মনে হয়েছে। করোনা ভাইরাসে যাদের মৃত্যু হয়েছে তিনি তাদের স্মরণ করেন ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, বর্ণ বৈষম্য ও বিভাজন দূর করার জন্য আমাদেরকে আরো অনেক কাজ করতে হবে। ২০০৬ সালে আমি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করি। কিন্তু তা অর্জন করতে আমাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।
কনভেনশনের তৃতীয় দিন বুধবার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স মনোনয়ন গ্রহণ করে বক্তৃতা করেন। এরপর বক্তৃতা করেন সেকেন্ড লেডি কারেন পেন্স, টেনেসির সিনেটর মার্শা ব্ল্যাকবার্ন, আইওয়ার সিনেটর জন আর্নেষ্ট, সাউথ ডাকোটার গভর্নর ক্রিষ্টি নোয়েম, টেক্সাসের কংগ্রেসম্যান ড্যানিয়েল ক্রিস, নিউইয়র্কের কংগ্রেসম্যান লি জিলডিন, হোয়াইট হাউজ কাউন্সেলর ক্যালিয়েন কনওয়ে, লারা ট্রাম্পসহ আরো অনেকে।


আজ বৃহস্পতিবার কনভেনশন শেষ হবে। আজ বক্তৃতা করবেন হাউজিং সেক্রেটারী বেন কার্সন, সিনেট মেজরিটি লিডার মিটচ ম্যাকনেল, হাউজ মাইনরিটি লিডার কেভিন ম্যাকার্থি, ইভাঙ্কা ট্রাম্প, রুডি জুলিয়ানিসহ আরো অনেকে। শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দলীয় মনোনয়ন গ্রহণ করে বক্তৃতা করবেন।
জাতীয় সম্মেলনে ডেমোক্র্যাটদের তুলাধোনা

বাংলাদেশ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন জয়ী হলে ‘আমেরিকায় ভয়ানক চিত্র’ তৈরি হবে বলে আক্রমণ শানিয়েছেন রিপাবলিকানরা। সোমবার ক্ষমতাসীন দলটির জাতীয় কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সতীর্থরা বলেছেন, বাইডেনের নেতৃত্বে আমেরিকা হবে বিশৃঙ্খলায় পরিপূর্ণ। নতুন উগ্রবাদী সমাজতান্ত্রিক যুগের সূচনা হবে। এদিন নর্থ ক্যারোলিনার চার্লটে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের শুরুতেই দ্বিতীয় মেয়াদে নিজের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেন ট্রাম্প। এরপর এক ভাষণে কোনো প্রমাণ ছাড়াই বলেন, ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করতে পারেন। ডেমোক্র্যাটদের মতো রিপাবলিকানদের সম্মেলন এতটা ভার্চুয়ালি হয়নি। প্রধান প্রধান বক্তা মঞ্চে উপস্থিত হয়েই বক্তব্য দেন।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা উপদেষ্টা কিম্বার্লি গুইলফোইল বলেন, ‘তারা (ডেমোক্র্যাটরা) এই দেশকে ধ্বংস করতে চায়। যেগুলো রক্ষায় লড়াই করছে এবং যেগুলো পরম মমতায় আঁকড়ে ধরেছি সেগুলোও ধ্বংস করতে চায় তারা।’ মার্কিন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘তারা আপনার স্বাধীনতাকে চুরি করতে চায়। আপনি যা দেখেন, চিন্তা করেন বা বিশ্বাস করেন- সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়, যাতে আপনি কিভাবে জীবনযাপন করেন তারও নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন।’ সম্মেলনের শুরুর দিনই ডেমোক্র্যাটদের তীব্র বাক্যবাণে বিদ্ধ করেন রিপাকলিকানরা। বিশেষ করে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার রানিংমেট কমলা হ্যারিসকে নিশানা বানান তারা। রিপাবলিকানদের অভিযোগ, ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে জয়ী হলে বাইডেন ও কমলা উগ্রপন্থী বামঘরানার অক্টিভিস্টদের পুতুলে পরিণত হবেন। অধিকাংশ বক্তার অভিযোগ, বাইডেন পুলিশের ফান্ড ও তেল-গ্যাস উত্তোলনে ‘ফ্রাকিং’ পদ্ধতি বাতিল করতে চান। সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হওয়ার কথা না থাকলে হুট করে সেখানে হাজির হন ট্রাম্প। নিজের ভাষণে তিনি ডেমোক্র্যাটদের ওপর আক্রমণ শুরু করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচনে চুরি করতে ডেমোক্র্যাটরা কোভিডকে ব্যবহার করছেন। মার্কিনিদের ঠকাতে তারা কোভিডকে ব্যবহার করছেন। তাদের জয়ের একমাত্র পথই খোলা রয়েছে- ভোট কারচুপি।’
রিপাবলিকান দলের দুই উঠতি তারকা- সাউথ ক্যারোলিনার সিনেটর টিম স্কট (রিপাবলিকানদের একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ সিনেটর) ও জাতিসংঘে ট্রাম্পের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিও ডেমোক্র্যাটদের এক হাত নিয়েছেন। হ্যালি বলেন, ‘আমেরিকা বর্ণবাদী দেশ, এটা বলা ডেমোক্রেটিক দলের কাছে ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবাদী দেশ নয়।’ বাইডেনকে অতি উদারনৈতিক বামঘেঁষা প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন সিনেটর টিম স্কট। তিনি জনগণকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘জো বাইডেন জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্র সমাজতন্ত্রের পথে ধাবিত হবে।’

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চরম ব্যর্থ হয়েছেন- ডেমোক্রেটিক দলের এমন সমালোচনার জবাব দেয়া হয়েছে প্রথম দিনের কনভেনশন থেকে। এ পর্যন্ত এক লাখ ৮০ হাজার মার্কিনির মৃত্যুর জন্য ট্রাম্পকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। ডেমোক্রেটিক দলের কনভেনশন থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সময় মতো উদ্যোগ নিলে এ মৃত্যুর সংখ্যা কমানো যেত। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার নার্স অ্যামি ফোর্ড বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করে কথাটি বলতে চাই, যাতে সংবাদমাধ্যম তাদের উপস্থাপনায় ভিন্নতা আনতে না পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্রুত পদক্ষেপের কারণেই আমেরিকায় আরও হাজারো মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব হয়েছে।’
ট্রাম্পের ছেলে ট্রাম্প জুনিয়র বলেছেন, ‘জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষা করার সব সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কথা বলার স্বাধীনতা যুক্তরাষ্ট্রের একটি উদারনৈতিক দিক হিসেবে দেখা হতো।

advertisement

Posted ১০:০২ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.