নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
ঈদের দিন অর্থাৎ ২১ এপ্রিল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করেছেন বাংলাদেশি আব্দুর রহমান। তার আইনজীবী ছিলেন ইমিগ্রেশন ও অ্যাক্সিডেন্ট বিষয়ক অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। ঈদের দিন এমন একটি খুশীর সংবাদে আনন্দের বন্যা বয়ে যায় রহমানের জীবনে। একইভাবে ক্লায়েন্টের এই খুশীর খবরে অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর ঈদের খুশীও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, মামলায় জয়ী বা সফল হলে আইনজীবীর কাছে তা সত্যিই আনন্দের। রহমানের রাজনৈতিক আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় তিনি দারুণ খুশী। তিনি জানান, রহমান বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী ছিলেন। ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’-এর শিকার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন রহমান। এরপর একই বছরের অক্টোবরে তার মাধ্যমে রাজনৈতিক আবেদন প্রার্থনা করেন।
ইমিগ্রেশন অফিসে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে আদালতে আপিল করা হয়। ২১ এপ্রিল শুক্রবার ঈদের দিন আদালতে মামলার চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য ছিল। অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী ক্লায়েন্টের কথা বিবেচনা করে ঈদের দিন প্রায় তিন ঘণ্টা ওয়েব শুনানিতে অংশ নেন এবং শুনানি শেষে আদালত রহমানের আবেদন মঞ্জুর করেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের দুয়ার খুলে গেল রহমানের ভাগ্যে। অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী জানান, ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার বাবুল নামে আরো একজন বাংলাদেশির রাজনৈতিক আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তিনি বাংলাদেশে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধে প্রতিপক্ষের বিদ্বেষের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন এবং আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। অধিকাংশই হয়েছে ইমিগ্রেশন আদালতে। পূরনো কেসগুলো দ্রুত গতিতে নিষ্পন্ন করার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। নিউইয়র্ক স্টেটেই ২০২৩ সালের প্রথম ৩ মাসে দেড় হাজার অ্যাসাইলাম আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এক্ষেত্রে আদালতে মামলা পরিচালনায় অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইমিগ্রেশন ও অ্যাক্সিডেন্ট মামলা পরিচালনায় অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর খ্যাতি রয়েছে। তিনি ডেমক্রেটিক পার্টির একজন সিনিয়র নেতাও। বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তিনি বিপুল জনপ্রিয়।
Posted ১:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh