বাংলাদেশ ডেস্ক | মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলার বিচারকাজ শুরু হয়েছে। গতকাল ট্রাম্প নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতে হাজিরা দেন। ট্রাম্প গতকাল সোমবার আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, এই বিচারের মাধ্যমে তার ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এটা আমেরিকার ওপর আক্রমণ। ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল হতে পারে ট্রাম্পের। তবে কারাদণ্ড এড়াতে জরিমানাও হতে পারে তার।
ট্রাম্পের আইনজীবীগণ, প্রসিকিউটর এবং বিচারপতি হুয়ান মার্শান নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের প্রমাণাদি সম্পর্কে শুনানির জন্য জুরি বাছাই শুরু করেন। ১২ জনের একটি জুরি এবং বিকল্প হিসেবে আরো ছয় জন বিচারকের জুরি গঠন করা হয়। এর মাধ্যমেই ট্রাম্পের বিচারকাজ শুরু হলো। গতকাল আদালতে ঢোকার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, সব আইনি বিশেষজ্ঞ এই মামলাকে নিরর্থক বলেছেন। যদিও মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন তার এই দাবিকে মিথ্যা বলছে। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, এই মামলার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে এবং ট্রাম্প যা করেছেন তা অবশ্যই অপরাধ।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন ড্যানিয়েলসকে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেন বলে দাবি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ছয় থেকে আট সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে বিচার প্রক্রিয়া। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি অবশ্য সবকটি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হওয়ার আগে ট্রাম্পের এই বিচারকে নজিরবিহীন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প। বিচার চলাকালে ট্রাম্প অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য নির্ধারিত টেবিল থেকে বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন। আগামী দেড় মাস ধরে সপ্তাহে চার দিন এই বিচারকাজ চলতে থাকবে। আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ট্রাম্পকে সাক্ষীর কাঠগড়ায় ডাকা হতে পারে; আবার নাও হতে পারে। আর এটা নির্ভর করবে ট্রাম্প এবং তার আইনজীবীরা প্রসিকিউটরদের প্রমাণাদিকে কীভাবে গ্রহণ করছেন।
ট্রাম্প ২০১৭ সালের শুরু থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বারবার প্রসিকিউশনকে বিরূপ সমালোচনা করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফরমে অভিযোগ করেন, ‘আমাদের দেশে এর আগে এমন ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সোমবার (গতকাল) আমাকে একজন অত্যন্ত বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারকের সামনে মুখ বন্ধ করে বসতে বাধ্য করা হবে; আমার প্রতি যার ঘৃণার কোনো পরিসীমা নেই।’ —সিএনএন ও এবিসি নিউজ
Posted ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh