| শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪
বসন্ত আসছে
অপার সৌন্দর্যের প্রতীক এ সময় ভালোবাসার,
সগৌরবে তুর্জ নিনাদে বসন্তের আগমন বার্তা,
ছোট পাখী টুনটুনি যুগলের প্রেম কিচিরমিচির,
বসন্ত আগমন জানিয়ে দিচ্ছে এ এক মধুর বার্তা।
প্রেম সোহাগের এ আহ্বানে মুখরিত পাখীর জগত
টের পাওয়া যায় সৈকতে মানুষ প্রেমিকদের ভীরে,
খরগোস, কাঠবিড়ালী, প্রাণীদের ও বিচরণ সতত
প্রেমের উদগ্র বাসনা মিটাতে উদভ্রান্ত কামকাতরে
বুঝি বা আনন্দ সাগরে ডুব দিতে উন্মত্ত সকলে।
বিশ্ব চরাচরে ডঙ্কা বাজে ডুব দেও প্রেম সায়রে,
সময় এখন সখা-সখীর নাচ গান সকাল বিকালে।
বৃক্ষকুলে সময় এখন পত্রসঘন সবুজের আগমন
রুক্ষ শুষ্ক নির্জীব আকাল সময় শেষে প্রেম আহ্বান
পাখ-পাখালি, কাঠবিড়ালী আর সব গেছোদের মিলন,
সকলের স্নেহ-কোমল আলিঙ্গন আর অবিরাম গুঞ্জন
সার্থক আশ্রয়দায়িনী পরোপকারী দয়ালু বৃক্ষজীবন।
পাপ সমাচার
সাতাত্তরে পা দিয়ে মনে হলো পাপের তালিকা করি,
ছোট ছোট অনাচার যা খেলার সাথীদের নিয়ে করেছি,
আনন্দ কুড়ানোর জন্য কিন্তু এখন মনে হয় হত্যাযজ্ঞ ।
ফরল্লা ফলের আঁঠা মাখানো লাগ দিয়ে পাখী ধরা,
সেতো অপরাধ যদিও তা অনুভবের বয়স তখনো হয় নি,
স্ন্দুর পাখী বাঘাটিয়া তৈলাক্ত খুব খেতে দারুণ স্বাদ,
আলু কুটি দিয়ে ঝোলঝোল রান্না দামাল কিশোরের প্রিয়
কত যে প্রাণ বধ করেছি মজাদার খাবারে জন্য জানি না ।
মাছ, পাখী, ফড়িং, উঁই পোকা, কেঁচো আরও কত প্রাণ
করেছি হরণ আনন্দের জন্য শখের বশে তুমুল হরিষে।
ইদানিং জানা-অজানা পাপ সব উঁকি দেয় মনের কোঠরে
সময় যখন সমাগত জানান দেয় লগ্ন সমাগত বিদায়ের।
ঋণ-১
সময় যখন সমাগত প্রায় বিদায় বেলার
ক্ষণে ক্ষণে হানা দেয় মনে ঋণ সমাচার
শত ঋণ জমে আছে সময়ের ব্যবধানে
ঝিলিক দেয় সময়ে সময়ে শয়নে স্বপনে।
কিছু কিছু মনে আছে বেশ কিছু গেছি ভুলে
স্মৃতির দুয়ার আধো খোলা বয়সের খোলে ।
কৈশোরে আনন্দ সুধা কতবার ধার নিয়েছি
কিশোরী বান্ধবীদের কাছ থেকে কত শতবার
স্মরণে শরমে মরমে আসে না এ সময়ে আর।
গাঁয়ের আনাচে কানাচে পদভারে ছিন্ন করেছি
লক্ষ কোটি মুথাশাক, দূর্বাঘাস খেলার ছলে
সঙ্গীসাথী লয়ে হৈ হুল্লোড় করে কারণে-অকারণে।
পুকুরের পানি করেছি ঘোলা সাঁতার আর লাই খেলে
মীনসবে দিয়েছি কষ্ট প্রাণান্তকর ছুটোছুটিতে ক্লান্ত করে।
বর্ষার আগমনী কিংবা তিরোধানের সময়ে মাছের ভিড়,
মাছধরার নেশায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছি শত সহস্রের
নানান কৌশলে মাতোয়ারা হয়ে পরাণ আনন্দের।
ঋণ-২
স্বজনদের সাথে, পাড়া-প্রতিবেশী তাদের সাথে
হৃদতা ছিল মাত্রাভেদে জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়ে ।
ঋণ অফুরান শোধ করা হয়নি তাদের বিপন্ন মুহূর্ত
নিতান্তই অভাজন, দুর্ভাগা আমি অকৃতজ্ঞও বটে !
আমার আহ্লাদ, আমোদ আর আনন্দের নিত্য
সাথী ছিলো যারা নিকষ কালো বিষাদের সময়ে
অশেষ স্নেহ মমতা, ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতি দিয়ে
স্হিত করেছিল যাতনা ভুলিয়ে প্রশান্তির অতলে
ঋণগ্রস্ত করে রেখে আমাকে সারা জীবনের তরে
যারা চলে গেছে অজানা প্রান্তরে ভিন্ন দিগন্তে
কিংবা রয়ে গেছে এ গ্রহে নৈকট্য যেখানে সুকঠিন
সম্ভাবনা তেমন নেই সময়ের এমন অবস্থানে
ঋণী আমি আষ্টেপৃষ্ঠে তাদের সকলের কাছে।
কিছু আনন্দ, সুখসময়, স্নেহ-প্রীতি বোধ শোধ
যদি কভু দিয়ে থাকি সে সুবাদে ক্ষমা চাই
আমি ঋণভার থেকে মুক্তি চাই ক্ষমা চাই
মরণেরে আলিঙ্গন যেন করি হর্ষ হৃদয়ে।
Posted ৯:২৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh