বাংলাদেশ রিপোর্ট : | শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩
বিশ্বের বহু দেশ থেকে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ তাদের সবকিছু পেছনে রেখে সকল সঞ্চয় ও সম্পত্তি ব্যয় করে বেশ কিছুসংখ্যক দেশের বিপদসঙ্কুল পথ পেরিয়ে পাড়ি জমান ‘আমেরিকান ড্রিমের’ একটি টুকরোর জন্য। অনেকের কাছে এই স্বপ্নের মূল্য সবকিছু, নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও এ স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন নীতিতে নাটকীয় পবির্তন ঘটায় স্বপ্ন পূরণের আশা অনেকের দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন ইমিগ্রেশন বিষয়ক পর্যবেক্ষকরা। করোনা মহামারী চলাকালে জনস্বাস্থ্যগত কারণে টাইটেল ৪২ নামে একটি বিধি প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনে আগ্রহী বিদেশিদের সীমান্তের বাইরে রাখা হয়েছিল।
সম্প্রতি টাইটেল ৪২ এর মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু সীমান্তে বর্ডার এজেন্টরা টাইটেল ৮ নামে আরেকটি বিধি প্রয়োগ করে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারী বিদেশিদের বহিস্কার করতে পারেন, বিশেষত যাদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের বৈধ ভিত্তি নেই। টাইটেল ৮ এর আওতায় যারা অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রম করবে, তাদেরকে ফৌজদারি আইনে বিচারের মুখোমুখি হবে এবং তারা বহিস্কৃত হবে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তারা বৈধভাবেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বিবেচিত হবে।
ভেনিজুয়েলা থেকে আগত কার্লোসের লক্ষ্য হচ্ছে, তার ক্ষেত্রে যাতে এমন কোনোকিছু না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। তার মতে, “আমার পরিকল্পনা হচ্ছে, প্রথমে একটি বৈধ চাকুরি সংগ্রহ করা, এমন কোনো কিছু না করা, যাতে তাকে আবারও মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানো হয়।”
যদি দুর্ঘটনাক্রমে তাকে মেক্সিকোতে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে পুরো প্রক্রিয়া তাকে নতুন করে শুরু করতে হবে। বার্তা সংস্থা ‘নিউজ-নেশন সংবাদদাতা আলী ব্র্যাডলি মেক্সিকো তাপাচুলা সিটির একদল লোককে দেখতে পান। তাদের একজনের নাম ভিক্টর, যার হাতে একটি আমেরিকান পতাকা ছিল। তিনি বলেন, ‘আমেরিকা একটি মূল্যবোধের উপর গড়ে উঠেছে।’
তার মতো আরো অনেকে বিশ্বাস করে যে আমেরিকান মূল্যবোধ তাদের দেশে যা আছে তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আইগর নামে একজন এসেছেন রাশিয়া থেকে। তিনি বলেন যে তিনি যদি দেশে থাকতেন, তাহলে তাকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়তে পাঠানো হতো, যা তিনি করতে পারেন না।
Posted ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh