বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে ন্যায়সঙ্গত, সৃশৃঙ্খল ও মানবিক উপায়ে ঢেলে সাজাতে হোয়াইট হাউজ ইমিগ্রেশন সংস্কারের নতুন ‘ব্লুপ্রিন্ট’ প্রকাশ করেছে। এ সম্পর্কে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আইন সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের প্রতি আহবান জানানো হলেও কার্যত কোন সংস্কার সাধিত না হওয়ায় প্রশাসন এ ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। এতে আরো বলা হয়েছে যে সাবেক প্রশ্সান ইমিগ্রেশন নীতির ব্যাপারে নিষ্ঠুর ও দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করেছে, তারা দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোকে জট পাকিয়েছে এবং আমাদের সীমান্ত সুরক্ষায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া তারা ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার সাফল্যের জন্য এমন সব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যা রাতারাতি বাস্তবায়ন করা অসম্ভব ব্যাপার ছিল।
বিজ্ঞপ্তি আরো বলা হয় যে, “আমরা সবসময় বহু সীমান্তের একটি জাতি হিসেবে থাকবো এবং আমরা আমাদের ইমিগ্রেশন আইনকে সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গতভাবে প্রয়োগ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা শৃঙ্খলার সঙ্গে আমরা ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাকে সংহত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবো। হোয়াইট হাউজের প্রকাশিত ইমিগ্রেশন সংস্কার সংক্রান্ত ব্লুপ্রিন্টে পাঁচিটি নির্দিষ্ট রূপরেখার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো প্রেসিডেন্টের একুশ শতকের রূপান্তরমূলক ইমিগ্রেশন রূপকল্প অনুযায়ী বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে রয়েছে: একটি নিরাপদ, মানবিক ও সুরক্ষিত সীমান্ত, এসাইলাম আবেদনসমূহ সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে প্রক্রিয়াকরণ, আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক অভিভাবসন ব্যবস্থাপনা জোরদার করা এবং অভিবাসনের মূল কারণ মোকাবিলার জন্য সেন্ট্রাল আমেরিকান দেশগুলোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধ।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার মেয়াদকালে ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ে দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের উদ্দেশ্যে যে অর্থ সংগ্রহ করেছিল, সেই তহবিলকে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার, সীমান্ত প্রযুক্তির অধিকতর আধুনিকায়ন, স্থরবন্দগুলোর আধুনিকায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বাজেট প্রণয়ন কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন। অতিরিক্ত সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে যারা সীমান্তে এসাইলাম চায়নি অথবা অবৈধ ইমিগ্রান্ট, যারা সীমান্তে আটক হয়েছে, তাদেরকে দ্রুত ডিপোর্ট করার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পন্য ও মানব পাচার অভিযান জোরদারকরণ অন্তর্ভূক্ত। এসাইলাম আবেদনের উপর গুরুত্ব আরোপ, বিশেষ করে আবেদনকারীদের আইনি প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে এবং ইমিগ্রেশন আদালতে জট বেধে থাকা মামলার দ্রুত নিস্পত্তি করার উদ্দেশে আরো একশ জন ইমিগ্রেশন বিচারক ও সহায়ক ষ্টাফ নিয়োগের জন্য হোয়াইট হাউজ ২০২২ সালের বাজেটে ৩৮ মিলিয়ন বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
Posted ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh