আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন খেলা হবে রাজনীতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে হরতাল, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’

২৭ জানুয়ারি শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সমাবেশে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘৩০ তারিখ আবার কালো পতাকা মিছিল। সেদিন আপনারা লাল-সবুজ পতাকা গণতন্ত্র শান্তি, উন্নয়ন সমাবেশ করবেন। সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবেন।’

বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘কোথায় অক্টোবরের ২৮ তারিখ? সময় ঠিক এরকম। কোথায় ছিলেন এতদিন গয়েশ্বর বাবু? বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাব না। কে পালিয়েছে? কোরাল মাছ খেয়ে পালিয়েছিল কে? অলিগলি খুঁজে পাননি। এক দোকানে গিয়ে বলছেন, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আমাকে খুঁজছে। সেই দোকানদার বলে আমিও আওয়ামী লীগ। যাবে কোথায়? দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আরও পাঁচ বছর। মানুষ বাঁচে কয় বছর? কীভাবে হবে আন্দোলন? এই বছর না ওই বছর? রোজার আগে না রোজার পর।’

আন্দোলন করে বিএনপি ভুয়া হয়ে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। আন্দোলন করে তারা ভুয়া হয়ে গেছে। এই আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয় না। অবরোধ ডাকে কেউ শুনে না, হরতাল ডাকে কিন্তু রাস্তায় যানজট। বিএনপির অবরোধ, হরতাল ভুয়া। বিএনপি মানেই হচ্ছে ভুয়া।’

গেল নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ লোকের ভোটারের ভোটে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮ দল অংশ নিয়েছে। চীন বা রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে। আমাদের বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছে।’

বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি নিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘কালো পতাকা মানে কি? শোক মিছিল। এ আরেক ভুয়া। আন্দোলনের নামে ভুয়া। সামনে কী আছে ৩০ তারিখে আবার ডাকছে। সেটাও ভুয়া। লোকজন নেই, জনগণ নেই, নেতাকর্মীরা হতাশ। নেতাকর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশে কান দেয় না।’