বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০
“চিরদিনের জন্য মরে গেছে নিউইয়র্ক সিটি!” কথাটি বলেছেন খ্যাতিমান লেখক জেমস আলটুচার। গত ১৩ আগষ্ট এই শিরোনামে নিউইয়র্ক পোষ্টে দীর্ঘ এক নিবন্ধে তিনি তাঁর আশঙ্কার কথা বলেছেন। তাঁর মতে ‘এ পরিস্থিতি পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন’ এর মতো- ফেরার কোন পথ নেই। করোনা জনিত মহামারী নগরীকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে; কর্মচ্যুতি বেড়েছে এবং উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ফ্লোরিডার মায়ামিতে চলে যাচ্ছেন। তিনি লিখেছেন, নিউইয়র্কে প্রত্যেকে চিরদিনের মতো বাড়িতে অবস্থান করে কাজ করবে। ব্রডওয়ের বিলুপ্তি ঘটবে! রাস্তায় তাণ্ডব করতে মাংস-ভোজী উচ্ছৃঙ্খল জনতা। তাঁর মতে ‘শঙ্কিত হওয়ার যথার্থ কারণ বিদ্যমান। অফিস পাড়াগুলো প্রায় শূন্য, অনেক বাসিন্দা নগরী ছেড়ে পালিয়ে গেছে, পর্যটক সংখ্যা ন্যূনতম, ছোটখাট ব্যাংকগুলো নগদ অর্থশূন্য হয়ে পড়েছে। সাবওয়ে পরিচ্ছন্ন, রেষ্টুরেন্টগুলোর বাইরে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা এবং বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া দোকানগুলো আমাদের রাস্তার সৌন্দর্য কয়েক মাস আগের তুলনায় বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু আমরা পূর্ণ সুস্থতা অর্জনের কাছাকাছিও উপনীত হতে পারিনি।’ নিউইয়র্কে কলাম্বিয়া থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, বারুখ, ফোর্ডহ্যাম, সেন্ট জোনস সহ বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬ লাখ ছাত্রছাত্রী নগরী জুড়ে ছড়িয়ে আছে। তাদের জন্য কি দূরশিক্ষণ আবশ্যক? ছাত্রেরা কি ক্যাম্পাসে যেতে পারবে? হয়তো পারবে, হয়তো পারবে না। অনেক কলেজ এক সেমিষ্টার অপেক্ষা করবে, অন্যেরা অর্ধেক। কিন্তু কি হবে শেষপর্যন্ত? অনিশ্চয়তা অবশ্যই রয়েছে। হঠাৎ করেই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ণোদ্যমে তৎপরতা চালাবে এমন আশা করা যায় না।
তিনি লিখেছেন, ‘একথা সত্য যে, কিছু অফিস কর্মচারি ভূতুড়ে মিডটাউনে তাদের ডেস্কে ফিরেছেন। ‘টাইম-লাইফ’ স্কাইস্ক্র্যাপারে যেখানে ৮,০০০ লোক কাজ করে, সেখানে এখন হয়তো ৫০০ লোক ফিরে এসেছেন। অফিসগুলোতে যেন মনে করছে যে তাদের আর কোন কর্মচারির প্রয়োজন নেই। ব্যাণ্ডউইথের বিস্ফোরণে মনে হচ্ছে কারো কাছে আর নিউইয়র্কের প্রয়োজন নেই। ‘জুম’কে ধন্যবাদ! অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমরা লস এঞ্জেলেস যাওয়া এড়াতে পারছি।’
নিউইয়র্কের সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলো ছিল ফেসবুক, এআইজি, টিকটক ও রেমণ্ড জেমসের দখলে। তারা বড় বড় অফিস ব্লক ভাড়া নেয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করছে। একই সময়ে নতুন অভ্র রেষ্টুরেন্ট সিক্সথ এভিনিউয়ে বিশাল আয়তনের জায়গা নেয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। হারলেমে বড় বড় নতুন অট্টালিকা মাথা গজিয়ে উঠছে। কোভিড ১৯ সংকটের আগে কর্মদ্যোগ যা ছিল, এখন তার চেয়ে কাজ চলছে অনেক জোরেশোরে। তারা মহামারী পরবর্তী চাঙ্গা অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখে বিপুল বিনিয়োগ করছেন। নিউইয়র্ক আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
Posted ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ আগস্ট ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh