বাংলাদেশ অনলাইন | শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপিত হয়েছে। সকালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দূতাবাসের দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে অবস্থিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার (কর্মাস) মো. সেলিম রেজা এবং কাউন্সিলর (পলিটিক্যাল) আরিফা রহমান রুমা। পরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার মহাকাব্যিক ভাষণের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন।
৭ই মার্চকে বাঙালি জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু’র এই কালজয়ী ভাষণ মুক্তিকামী জনতাকে ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
রাষ্ট্রদূত মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে দেশে-বিদেশে এর ব্যাপক প্রচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এ ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত ইমরান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান ।
ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আবদুল হাই মিলটনও আলোচনায় অংশ নেন এবং ৭ই মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ইউনেস্কো কর্তৃক এর স্বীকৃতি, ভাষণের কাব্যিক মূল্য এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট এর তাৎপর্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে প্রার্থনার মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শেষ হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি।
Posted ৮:০৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh