বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে নিজের উড়োজাহাজে দেশে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক সহকারী উপদেষ্টা ম্যাথিউ পটিঙ্গা বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
২০১৯ সালে ভিয়েতনামের হ্যানয় নগরীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং–উনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উত্তর কোরিয়া থেকে ট্রেনে ভ্রমণ করে কিম জং–উন ওই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’ দিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। তবে সে প্রস্তাবে রাজি হননি উন।
ওই বছরের জুন মাসে অনেকটা নাটকীয়ভাবেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কিম জং–উনের মধ্যে দেখা হয়। দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী শূন্য এলাকায় শীর্ষ দুই নেতার সাক্ষাতের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। ট্রাম্প বলেছিলেন, ওই আলোচনার পরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা কমে আসবে। তবে এর পরে উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষার কর্মসূচিতে কোনো পরিবর্তন করেনি।
হ্যানয় নগরীতে ট্রাম্প-উনের বৈঠকের আগে তাদের মধ্যে সিঙ্গাপুরে আরেকটি বৈঠক হয়েছিল। দুই বৈঠকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ আয়েশি ভঙ্গিতে কথা বলেছেন কিম জং–উনের সঙ্গে। এসব বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্পের একসময়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। বিবিসিকে দেওয়া বক্তব্যে জন বোল্টন বলেছেন, উনকে ট্রাম্প সেরা বন্ধু বলে মনে করেছিলেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ উত্তর কোরিয়াকে বৈরী রাষ্ট্রই মনে করে। পরমাণু বোমা নিয়ে উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন তাঁদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করেন। এ ছাড়া বহির্বিশ্বে মার্কিন মিত্রদের কাছেও উত্তর কোরিয়া বৈরী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত।
Posted ৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh