সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রেফতার করা হলে তার সমর্থকরা তীব্র প্রতিবাদে আইনশৃ্খংলা পরিস্থিতির হুমকি সৃষ্টি করতে পারে ইঙ্গিত পেয়ে নিউইয়র্ক সিটির আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে বলে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হলে আইনানুযায়ী ট্রাম্পের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হবে, ছবি তোলা হবে, এমনকি তাকে হাতকড়াও পরানো হতে পারে, যা নিয়মিত ফৌজদারি কার্যবিধির মধ্যে পড়ে। একজন পর্নো তারকাকে গোপনে অর্থ প্রদানে তার ভূমিকার কারণে ম্যানহাটানের গ্র্যান্ড জুরি যদি তাকে অভিযুক্ত করে, তাহলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি গ্রেফতার হতে পারেন।

গ্রেফতার হলে আইনপ্রয়োগকারীরা তাকে চুপচাপ থাকতে বলবে, তবে তিনি একজন আইনজীবীর সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন। রিপোর্ট অনুযায়ী ট্রাম্পের গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নজীরবিহীন একটি ঘটনা হবে, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কমান্ডার-ইন-চিফ এবং একই সঙ্গে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মাসে তার ইঙ্গিতে ক্যাপিটল হিলে তার সমর্থকদের সহিংস হামলা, যে হামলায় একজন পুলিশ অফিসারসহ ছয় ব্যক্তি নিহত হন।

গত সপ্তাহে ডিষ্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস এবং স্টেট এজেন্সি, যারা আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে জড়িত, তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন এবং নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের উর্ধতন কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। এনওয়াইপিডি লোয়ার ম্যানহাটানের আদালত পাড়ার নিরাপত্তা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকে, যেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হবে। সঙ্গত কারণেই পুলিশ ওই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করবে।

গত রোববার এক ডজনের অধিক উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মেয়র অফিসের দু’জন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা এক ভার্চুয়াল সভায় ট্রাম্পের গ্রেফতার নিয়ে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি এবং হুমকি দমনে পুলিশ ও গোয়েন্দা মোতায়েন কৌশল নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ সাইট “ট্রুথ সোস্যাল” এ তার সমর্থকদের উদ্দেশে “প্রোটেস্ট” শিরোানামে “টেক আওয়ার নেশন ব্যাক” আহবানের প্রেক্ষিতে পুলিশ ও মেয়রের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ম্যানহাটান ডিষ্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন এল ব্র্যাগ, যিনি এই দায়িত্বে নিয়োজিত সর্বপ্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি, ট্রাম্প ইতোমধ্যে ব্র্যাগের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী অভিযোগ এনে তার তদন্ত কাজকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে অভিযোগ করেছেন। ব্র্যাগ এবং তার একজন শীর্ষ সহকারী ইতোমধ্যে ট্রাম্পের সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের হুমকির টার্গেটে পরিণত হয়েছেন।