বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
‘ডাকা’ নামে পরিচিত তরুণ ইমিগ্রান্টদের ভাগ্য চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ না করা পর্যন্ত তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট না করার একটি সংশোধিত ফেডারেল নীতি বিদ্যমান থাকলেও টেক্সাসের ফেডারেল বিচারক ‘ডাকা’ কর্মসূচিতে অসাংাবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন। এ রায়ের ফলে ‘ডাকা’ ডেফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভ্যাল) কর্মসূচির আওতায় ৮ লাখের অধিক তরুণের ভাগ্য আবারও অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়লো। এর মধ্যে নিউইয়র্ক সিটিতে প্রায় ৩৫ লাখ তরুণ ‘ডাকা’ কর্মসূচির আওতায় বৈধভাবে কাজ করার সুবিধা লাভ করছে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার টেক্সাসের ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট জজ অ্যান্ড্রু হ্যানেন তার ৪০ পৃষ্ঠার রায়ে অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে, ‘ডাকা’ কর্মসূচির তরুণরা যে প্রটেকশন লাভ করছে, তা অবিলম্বে রহিত করার আবশ্যকতা না থাকলে এ ব্যাপারে ইউএস সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত নিস্পত্তি করা প্রয়োজন। তিনি তৃতীয়বারের মতো তার রুলিং উচ্চতর আদালতে প্রেরণ করেছেন। তিনি তার রুলিংয়ে ‘ডাকা’র সুবিধাভোগী ও তাদের পরিবারের দুর্দশা ও অনিশ্চিত জীবনের ব্যাপারে সহানুভূতি প্রকাশ করলেও তাদের বৈধতা না থাকার বিষয়েও উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ সমস্যা সমাধান না হওয়ার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগ, নির্বাহী বা বিচার বিভাগ নয়। কংগ্রেস বহু কারণে এ ‘ডাকা’র মতো ইস্যুতে আইন প্রণয়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নির্বাহী বিভাগ সংবিধান কর্তৃক কংগ্রেসের ওপর ন্যস্ত ক্ষমতার বাইরে কিছু করতে অনিচ্ছুক, এমনকি তারা কোনো শূন্যস্থান পূরণেও নেতিবাচক মনোভাব প্রদর্শন করে।
বিচারক হ্যানেনের রুলিয়ে ‘ডাকা’ সুবিধাভোগীদের ওপর আপাতত কোনো প্রভাব পড়বে না, তারা নির্বাহী আদেশে তাদেরকে প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা আগের মতোই ভোগ করতে পারবে এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত তারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজ করতে পারবে। নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশন বিচারক হ্যানেনের রুলিংয়ের নিন্দা জানিয়ে কংগ্রেস ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে দাবি জানিয়েছেন অবিলম্বে ‘ডাকা’র আওতাধীন তরুণদের জন্য স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে, যাতে তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট করার কোনো আশংকা সৃষ্টি না হয়। কারণ, এসব তরুণ বহু বছর আগে তাদের শৈশবে তাদের মা-বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল এবং এই দীর্ঘ ব্যবধানে তারা জানে না যে তাদের বাবা মা যে দেশ থেকে তাদের এনেছিল, সেখানে তাদের কে আছে, বা কীভাবে কাটাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকেই তারা নিজেদের দেশ হিসেবে গ্রহণ করে বেড়ে উঠেছে, পড়াশোনা ও চাকুরি করেছে। সেক্ষেত্রে আদালতের রায়ে তাদের এদেশে অবস্থানকে সাংবিধানিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করা হলে তাদের ভাগ্য আরো অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
Posted ১:৫৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh