বাংলাদেশ ডেস্ক | বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার প্রক্রিয়া নিয়ে ফের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখাতে এসব মামলায় আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা করছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। সোমবার (১১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ মন্তব্য করেন।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। আপনি জানেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিকভাবে ড. ইউনূসকে হয়রানি করছে। কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা বাড়ছে। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?’
উত্তরে ম্যাথু মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে আমাকে আগেও কথা বলতে শুনেছেন। ড. ইউনূসকে হয়রানি করতে এবং ভয় দেখাতে এসব মামলায় বাংলাদেশের আইনের অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশে মার্কিন সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী প্রতিনিধি হিসেবে এই কথাগুলোই রাষ্ট্রদূত পিটার হাস পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এরপর ‘ভারত বর্জন’ প্রচারণা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয় যে— ‘গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এ অঞ্চলে ‘ভারত বর্জন’ প্রচারণার প্রসার হচ্ছে। বাংলাদেশে একতরফা নির্বাচনের পর দেশটির জনগণ প্রতিবেশী দেশের তৈরি পণ্য বর্জনের বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আপনি এ বিষয়কে কীভাবে দেখছেন?
জবাবে তিনি বলেন, এ প্রচারণা সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। বাংলাদেশ বা বিশ্বের যেকোনো দেশই হোক না কেন, ভোক্তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি অবশ্যই কোনো মন্তব্য করব না। তবে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আমরা গুরুত্ব দেই।
Posted ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh