নিউইয়র্ক সিটি পাবলিক স্কুলগুলোর তৃতীয় গ্রেড থেকে পঞ্চম গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের পঠন দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। গত দুই দশকের বেশি সময় যাবৎ এ পরিস্থিতি চলে আসছে।

লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে, কিন্তু দক্ষতা অর্জনের জন্য যে পদ্ধতিতে পাঠদান করা উচিত তা করতে শৈথিল্যের কারণে কাংখিত ফলাফল লাভ করছে না কোমলমতি শিশুরা। তবে আশার কথা যে, আগামী বছর থেকে শিক্ষার্থীদের কারিকুলামে পঠন পদ্ধতির পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিউইয়র্ক সিটির স্কুল চ্যান্সেলর ডেভিড সি বাঙ্কস।

নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে গত দুই দশকের বেশি সসময় যাবত সিটির শত শত পাবলিক স্কুলে ভুলভাবে পঠন শেখানো হচ্ছে বলে অসংখ্য শিক্ষার্থী পাঠ করার দক্ষতা অর্জন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তৃতীয় গ্রেড থেকে অষ্টম গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রায় অর্ধেকের মধ্যেই কোনো কিছু পাঠে সমস্যা না হলেও পঠনের কোনো না কোনো ক্ষেত্রে তাদের মাঝে সমস্যা দেখা যাচ্ছে, যা দূর করা আবশ্যক বলে বিবেচনা করছে স্কুল বোর্ড। স্কুল চ্যান্সেলর বলেন, কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিনো ও নিম্ন আয়ের পরিবার থেকে আগত শিক্ষার্থীদের পাঠ করার দক্ষতা শোচনীয় পর্যায়ে। তিনি নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, এ জন্য একতরফাভাবে শিক্ষার্থীদের দোষারূপ করা সঠিক হবে না। কারণ পঠন পদ্ধতির মধ্যেই মৌলিকভাবে সমস্যা রয়েছে এবং এ কারণে শিক্ষার্থীরা কীভাবে পাঠ করতে শিখবে, এই বিজ্ঞান অনুসরণ করতে সক্ষম হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে সিটির ৩২টি স্থানীয় স্কুল ডিষ্ট্রিক্ট তাদের সুপারিন্টেন্ডেন্টদের দ্বারা নির্বাচিত তিনটি কারিকুলামের মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে।

এ কারিকুলামের মধ্যে পাঠের রীতি সম্পর্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত রয়েছে, যা অনুসরণ করা হলে শিক্ষার্থীদের পঠন যোগ্যতার লক্ষণীয় উন্নতি ঘটবে বলে আশা করছেন স্কুল চ্যান্সেলর। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সিটির অর্ধেক স্কুলে নতুন কারিকুলাম অনুসৃত হবে এবং অবশিষ্ট স্কুলগুলোতে ২০২৪ এর শুরু থেকে নতুন কারিকুলাম কার্যকর হবে।