বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
বিশ্বের অর্থনৈতিক রাজধানী খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল সিটি নিউইয়র্কে বসবাসের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়া কখনও সহজ ছিল না এবং রিয়েল এস্টেট মূল্য বহুগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এখন একটি অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়া দৃশ্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে বেসরকারি মালিকানাধীন বাড়ি থেকে অনেকের উচ্ছেদ হওয়ার ঘটনার মধ্যে অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়ার সংগ্রামে নগরবাসী এখন রীতিমতো বিপর্যস্ত ও দিশেহারা। নিউইয়র্ক সিটির মোট জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশই বাস করেন ভাড়া বাড়িতে এবং করোনার মাঝে ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে ৩০ শতাংশের চেয়েও বেশি।
কিন্তু সে তুলনায় গড় আয় বৃদ্ধি পাওয়া তো দূরের কথা, ২০২০ সালে ঢালাও ছাঁটাইয়ের পর এখন পর্যন্ত বহু লোক বেকার জীবন কাটাচ্ছেন। মহামারীর প্রথম দিকে ভাড়াটেদের এক মাস বিনা ভাড়ায় বসবাসের প্রতিশ্রুতি হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে। অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং বরাবরের মতোই কঠিন এবং সিটিতে এ ধরনের আবাসনের কোনো বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা আসা মাত্র যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তারা আবেদন প্রক্রিয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হচ্ছেন।
ভাড়াটের কষ্ট লাঘবের জন্য সিটি কর্তৃপক্ষ অ্যাফোর্ডেবল হাউজিং সুবিধা নিশ্চিত করতে সীমাহীন চেষ্টা করে গেলেও তা চাহিদার তুলনায় খুব কম। তা সত্বেও নতুন নতুন আবাসিক ভবন নির্মাণের ঘোষণা অনুযায়ী যারা আবেদন করছেন, তাদের একটি অংশ অ্যাপার্টমেন্টের বরাদ্দ লাভ করবেন তা নিশ্চিত। কিন্তু আবেদনকারীরা প্রত্যেকেই আশা করেন তারা বরাদ্দ পাবেন।
রেবেকা সুলিভান ব্রুকলিনের ক্লিনটন হিলে পাঁচ বেডরুমের একটি রুম মাসিক ৯০০ ডলার ভাড়ায় বাস করেন। কিন্তু ২০২২ এ তাকে বর্ধিত ভাড়া দিতে হচ্ছে প্রায় ৩৩ শতাংশ। তিনি একজন ট্রাভেল নার্স এবং বছরের ছয় মাসের বেশি সময় তাকে সিটির বাইরে কাটাতে হয়। তিনি এত ভাড়া দিয়ে নিউইয়র্কে একটি রুম রাখার কোন যুক্তি খুঁজে পান না। অতএব তিনি চার জন রুমমেটের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে তিনি আর্থিক সাশ্রয় করতে পারেন।
এভাবে বসবাস করা উপভোগ্য না হলেও তার আর কোন বিকল্প নেই। তার কাছে মনে হচ্ছে তিনি ছাত্রজীবনের মতো কলেজ হোস্টেলে বসবাস করছেন। নিউইয়র্কে বাস করতে হলে কতকিছুর ব্যাপারে আপস করতে হয়।
সাইত্রিশ বছর বয়স্ক কেনি এম অ্যালভারেজ একজন মেরিন কোর ভেটারেন এবং তাকে এক বছর পর্যন্ত হোমলেস অবস্থায় থাকার পর ২০১৩ সালের একটি নন-প্রফিট সংস্থার পরিচালিত হাউজিং এ থাকার জায়গা পান এবং সেখানে থাকা অবস্থায় অ্যাফোর্ডেবল হাউজিংয়ের জন্য লটারিতে অংশগ্রহণ করেন। বহু বছর যাবত তিনি অ্যাফোর্ডেবল হাউজিংয়ের জন্য আবেদন করে যাচ্ছেন, যেখানেই বিজ্ঞপ্তি দেখছেন, সেখানেই আবেদন করছেন। অবশেষে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি লটারিতে একটি অ্যাপার্টমেন্ট পান। এখন তার সকল উদ্বেগের অবসান ঘটেছে।
Posted ১২:৩৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh