বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
সুইডেনের ন্যাটো সদস্য হওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বছরখানেক ধরে চেষ্টা করলেও সুইডেনের ন্যাটোভুক্ত হওয়ার আবেদনে আপত্তি জানিয়ে আসছিল তুরস্ক। তবে ১০ জুলাই ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ ও সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন এরদোগান। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেনস স্টলটেনবার্গ। রয়টার্সের খবর।
ন্যাটোকে সুইডেনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে এরদোগানের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কথা জানিয়ে ন্যাটো প্রধান বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক দিন। আমি এটা ঘোষণা করতে পেরে খুবই আনন্দিত যে সুইডেনের ন্যাটোভুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। শিগগিরই দেশটির গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তোলা হবে। সেখানে পাস হলেই সুইডেনকে ন্যাটোভুক্ত করার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেয়া হবে।
অন্যদিকে এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের পর সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেন, আজ সুইডেনের জন্য খুবই আনন্দের একটি দিন।
লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে আজ মঙ্গলবার বসছে ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন। বৈঠকের আগেরদিন, গতকাল সোমবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন এরদোয়ান ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। ওই বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন তারা। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ফুরফুরে মেজাজে দেখা গেছে।
গত এপ্রিলে ন্যাটোর সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে সবুজসংকেত পায় ফিনল্যান্ড। কিন্তু তুরস্ক ও হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে সুইডেনের বিষয়টি ঝুলে যায়। তুরস্কের অভিযোগ, ‘কুর্দি সন্ত্রাসীদের’ সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সুইডেনের। এ ছাড়া সুইডেনে একের পর এক পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় স্টকহোমের সঙ্গে আঙ্কারার মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এসব কারণে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রচেষ্টা আটকে দেয় তুরস্ক।
এদিকে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তুরস্কের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে স্থবির হয়ে পড়া আলোচনা যদি আবার শুরু হয়, তাহলে তিনি ন্যাটোতে সুইডেনের যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন দিতে পারেন। ন্যাটোর প্রায় সব সদস্যদেশই ইইউর সদস্য। কিন্তু ইইউর সদস্য করতে তুরস্ককে প্রায় ৫০ বছর ধরে অপেক্ষায় রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (তৎকালীন ইউরোপিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি) সদস্য হওয়ার আবেদন করে তুরস্ক। পরে ১৯৯৯ সালে আবার ইইউর সদস্য হওয়ার জন্য তোড়জোর শুরু করে দেশটি। পরে ২০০৫ সালে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও দেশটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালে ইইউতে তুরস্কের সদস্যপদ দেয়া নিয়ে আলোচনা বন্ধ করে দেয়া হয়।
Posted ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh