বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস তার চলতি সপ্তাহের অপ-এড কলামে সিটির পাবলিক স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের সুষম খাবার পরিবেশনে তার প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও খাদ্য প্রাপ্তিতে অসাম্য আমাদের সিটির চলমান সমস্যা, যা শিক্ষার্থীসহ সকলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আমরা অন্তত আমাদের স্কুলগুলোতে পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করে এবং ব্যাপক খাদ্য শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করে আমাদের তরুণদের কল্যাণে অবদান রাখতে পারি, যা তাদের মাধ্যমে কমিউনিটি, আমাদের সিটি ও আমাদের গ্রহের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখবে।
অ্যাডামস বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে আমরা সমগ্র বিশ্ব থেকে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ লাভ করি। তা সত্ত্বেও আমাদের বহু পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে এবং আমাদের কিছু শিশু, যারা স্কুলে সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবার খায়, এটাই তাদের দিনের একমাত্র খাবার। অতএব আমাদের জন্য দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর খাবার পরিবেশন করবো, যা দেখতে ভালো, খোতে সুস্বাদু এবং সাংস্কৃতিকভাবে উপযুক্ত। এ ব্যাপারে আমরা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা পুষ্টিগত গাইডলাইন কঠোরভাবে অনুসরণ করি, আমরা সব্জির ওপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করি, বিশেষ করে শুক্রবার শিক্ষার্থীদের পুরোপুরি সজ্বি-ভিত্তিক খাবার সরবরাহ করা হয় এবং সোমবার থাকে সম্পূর্ণ মাংসবিহীন। আমরা ৮৭টি পাবলিক স্কুলে হালাল কিচেন সম্প্রসারণ করেছি, যেখানে সার্টিফায়েড হালাল খাবার সরবরাহ করা হয়। স্কুলের ফুড ওয়ার্কারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য আমরা ৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া স্কুলগুলোর ক্যাফেটরিয়া উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে।
তিনি আরো বলেন, নিউইয়র্ক সিটিতে বসবাস করে আমাদের তরুণরা সুপারমার্কেটের শেলফে প্রস্তুত খাদ্য খেতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আমরা স্কুলে খাদ্য বিষয়ক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের বুঝাতে চেষ্টা করছি যে খাদ্য ব্যবস্থা কীভাবে কাজ করে Ñ খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে কীভাবে গ্রোসারি পর্যন্ত এবং অবশেষে আমাদের প্লেটে পরিবেশিত হয়। আমরা চাই তারা স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার নিজেরাই বেছে নিতে শিখুক এবং নিজেরাই বিশ্লেষণ করে খাদ্য ব্যবস্থা কীভাবে আমাদের জলবায়ু, অর্থনীতি, কমিউনিটি ও আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শুধু পাঠকক্ষে নয়, শিক্ষার্থীদের স্কুলের কিচেন, গ্রোসারি, ফার্মার্স মার্কেট পরিদর্শনের কর্মসূচি নিতে হবে। আমাদের এক হাজারের বেশি পাবলিক স্কুলের গার্ডেনে শিক্ষার্থীরা চারা রোপন থেকে শুরু করে তাদের নিজস্ব খাদ্য উৎপাদন পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু নিম্ন আয়ের নেইবারহুডে বহু পরিবারের সুপারমার্কেটে বা অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্যের উৎসে যাওয়ার সাধ্য নেই। সেজন্য প্রক্রিয়াজাত খাবার প্রায় ক্ষেত্রে অপ্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে সস্তা হওয়ার কারণে আমাদের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনোরা এসব খাবার নিয়মিত খেয়ে ওজন বৃদ্ধি শিকার হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে ডায়াবেইটস ও অ্যাজমার মতো রোগব্যাধির ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। আমরা তাদের এ অবস্থা থেকে বের করে আনতে চাই এবং সেজন্য শিক্ষার্থীদের সুষম খাদ্য পরিবেশন নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
Posted ২:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh