ঢাকা | মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ কারও প্রভুত্ব স্বীকার করবে না। আমরা রক্তের দাম দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। কারও দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। কোনো দেশ যদি মনে করে যে, আমাদের ওপর প্রভুত্ব করবে, বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন সেই প্রভুত্ব স্বীকার করেনি। মোগল আমলেও করেনি, ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমলেও করেনি, এখনো করবে না। গতকাল সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তরুণ সমাজকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি, হাফিজ (হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম) ভাই আমার চেয়েও বড়।
আমরা এখনো লড়ছি, কথা বলছি, লড়ে যাচ্ছি। বিশ্বাস করি, এই দেশকে পরাধীন করে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। আমরা বিশ্বাস করি, এই ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী একটা রেজিম একটা শাসকগোষ্ঠী যারা আজকে গায়ের জোরে কলা-কৌশল করে, বিভিন্ন নাটক করে ক্ষমতা দখল করে আছে তাদের একদিন চলে যেতেই হবে। সেজন্য বলি, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নামতে হবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে না নামলে আপনারা জয়ী হতে পারবেন না।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এই মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ হয়। সমাবেশের ব্যানারে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন’ এরকম কথাও লেখা ছিল। হাফিজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সমাবেশে জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলুর রহমান, ফরহাদ হালিম ডোনার, রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জয়নাল আবেদীন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ইশরাক হোসেন, রাকিবুল ইসলাম ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
ব্যাংক একীভূতকরণের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করেছে, টাকার কোনো হিসাব নেই। ব্যাংকগুলো লোপাট করে এখন ব্যাংক একীভূত হচ্ছে, ওটা আরেকটা দুর্নীতির ব্যবস্থা তৈরি করছে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে ছাত্রদলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে দেখেন। ইমরান খান দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে তরুণদের মাঠে নিয়ে আসতে হয়, কিভাবে নারীদের মাঠে আনতে হয়। আমাদের চেয়ে কম অত্যাচার তাদের ওপর হয়নি, তারা সেনানিবাস আক্রমণ করেছিল, মার্কিন সামাজ্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানে এই অবস্থান নিয়ে কেউ কোনো দিন রাজনীতিতে টিকতে পারেনি।
একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন এটা অস্বীকার করতে পারে যে, ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা চেষ্টা করেছে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি দফা-রফার জন্য। যখন ব্যর্থ হয়েছে, যখন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টসহ জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে, তখন আমাদের তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ কেউ দেশে থাকেননি, পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সভাপতির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, যুবক ও তরুণ সমাজকে বলব–মোবাইল ও ল্যাপটপ রাখেন। আজকে দেশ আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছে, দেশ ও জনগণের ডাকে আপনাদের মা-বোনের ইজ্জত রক্ষায় রাজপথে নেমে আসুন।
Posted ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh