বাংলাদেশ ডেস্ক | রবিবার, ০৩ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই মামলা চালিয়ে যাওয়ার রায় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক আদালত। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় আরও চারজন বিবাদীকে মামলা থেকে খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এ রায় দেয়। ফিলিপাইনের গণমাধ্যম এনকোয়ারার ডট নেট আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
রায়ে নিউইয়র্ক রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তিনটি ‘কজ অব অ্যাকশনের’ আইনি ভিত্তি নেই। আরসিবিসি ব্যাংক ও সব বিবাদীর বিরুদ্ধে অর্থ রূপান্তর, চুরি, আত্মসাৎ—এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সহায়তা বা প্ররোচনা, জালিয়াতি (আরসিবিসির বিরুদ্ধে), জালিয়াতিতে সহায়তা বা প্ররোচনা—এসব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।
তাছাড়া ব্যক্তিগত এখতিয়ার না থাকায় আরও চার বিবাদীকে মামলা থেকে খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তারা হলেন ইসমায়েল রেয়েস, ব্রিজিত ক্যাপিনা, রোমুয়ালদো আগারাদো ও নেস্তর পিনেদা।
তবে নিউইয়র্কের আদালত জানিয়েছে, ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি) ও অন্যান্য বিবাদীর বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগে মামলা চলতে পারে, যেমন যে অর্থ আরসিবিসিতে গেছে, তা ফেরত দেওয়া। এ বিষয়ে আরসিবিসি জানিয়েছে, আদালতের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালে চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের আশায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংক এবং বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ডজনখানেক ব্যক্তিকে আসামি করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ।
তবে মামলার বিষয়বস্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের এখতিয়ারের বাইরে-এই কথা বলে আরসিবিসিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পাল্টা মামলা করেন এবং বাংলাদেশের করা মামলাটি খারিজের আবেদনও করেন তারা।
২০২০ সালের ২০ মার্চ দেওয়া রায়ে বলা হয়, মামলাটি টেকনিক্যাল হওয়ায় তা বিচারের জন্য গ্রহণ করা হয়নি, যদিও এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট আদালতে মামলা দায়েরের সুযোগ আছে বলেও রায়ে মতামত দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ মে নিউইয়র্কের কাউন্টি সুপ্রিম কোর্টে আরেকটি মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বছরের এপ্রিলে নিউইয়র্কের আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের মামলাটি খারিজ করে দেয়। রায়ে বলা হয়েছিল, ওই মামলা বিচারের ‘পর্যাপ্ত এখতিয়ার’ ওই আদালতের নেই। এরপর বাংলাদেশ বাংকের পক্ষ থেকে নিউ ইয়র্কের ‘এখতিয়ারভুক্ত’ আদালতে মামলা করা হয় বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।
Posted ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মার্চ ২০২৪
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh