বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলার জেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন আরব নেতারা।বৈঠকটি আজ বুধবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে গাজার আল-আহলি আরব নামের একটি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৫০০ মানুষকে মেরে ফেলে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হাসপাতালটিতে কয়েকশ আহত ও অসুস্থ মানুষ ছিলেন। এ ছাড়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষও সেখানে ছিলেন।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে মিত্র ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানানোর অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের পর এবার তেল আবিব সফরে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইসরায়েল সফর শেষে জর্ডানের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল বাইডেনের। সেখানে জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
তবে জর্ডান জানিয়ে দিয়েছে, বাইডেনের সঙ্গে তিন আরব নেতার যে নির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা আর হচ্ছে না। গাজার হাসপাতালে হামলার প্রতিবাদে জর্ডান বাইডেনের সঙ্গে নির্ধারিত এ বৈঠক বাতিল করেছে। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দিয়ে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করা ছাড়া এখন আর আলোচনা করে কোনো লাভ নেই।’
অবশ্য জর্ডানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগেই বাইডেনের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিলের ঘোষণা দেন ফিলিস্তিনির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ঘোষণার পরপরই তিনি আম্মান থেকে পশ্চিম তীরের রামাল্লার উদ্দেশে রওনা হন। গাজার হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলার ঘটনায় ফিলিস্তিনে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে আল–আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলায় হতাহতের ঘটনায় বাইডেন দুঃখপ্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। এর আগে ইসরায়েলি হামলায় আহত শত শত রোগী ও গৃহহীন অসংখ্য মানুষ ‘নিরাপদ’ ভেবে আল–আহলি আরব হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও দাতব্য সংস্থাগুলো হাসপাতালে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানও হামলার নিন্দা জানাচ্ছেন। নিন্দা জানিয়েছেন পশ্চিমা দেশের অনেক নেতাও।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস হামলা চালানোর পর হামাসকে নিমূল করার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। দেশটির এ ঘোষণায় সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অভিযোগ, অন্তত ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে নিয়ে গেছে হামাস যোদ্ধারা। এরপর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে করে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
Posted ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh