নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩
নিউইয়র্ক সিটির ডিপার্টমেন্ট অব এনভার্নমেন্টাল প্রটেকশন একটি পাইলট প্রোগ্রাম গ্রহণ করেছে শব্দ দুষণ প্রতিরোধে। নিউইয়র্ক সিটিতে বিকট শব্দে গাড়ি চালালে প্রথমেই জরিমানা গুনতে হবে ৮০০ ডলার। উল্লেখ্য প্যানড্যামিকের আগে সিনেটর এন্ড্রু গনার্ডেস এর তোলা ‘স্লিপ এ্যাক্ট’ নামে একটি বিল পাশ হয়। কিন্তু ২০২১ সালে গভর্নর ক্যাথি হকুল এই বিলে সাইন করেন। এই বিলে আরো আছে শুধু শব্দ করার জন্যই নয় আইনসঙ্গতভাবে তৈরি গাড়ির মাফলার, এগজস্ট নিজের মত করে বিকৃত করার জন্যও পেনাল্টি করা হবে।
৩০ বছর পূর্বে মেয়র ডেভিড ডিনকিন্সের সময় এমন ছিল। তখন রাস্তায় কান ঝালাপালা হওয়ার মত বুম বক্সে হিপহপ, র্যাম্প আর হার্ডরক এবং হট মেটাল গান বাজিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যেতো স্পোর্টস কার। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গাড়ির হুড খোলা থাকার কারণে সেই শব্দ অনেকেরই জন্য ছিল পীড়াদায়ক। সেই সাথে ছিল সাইলেন্সার খুলে গাড়ির গ্যাসে পা দিয়ে বিকট শব্দ তোলা। সেটাও ছিল বিরক্তিকর। এখন অবশ্য পূর্বের মত হার্ডরক বাজানোর দৃশ্য তেমন দেখা না যায় না। কিন্তু সম্প্রতি আবার ফিরে এসেছে সাইলেন্সার বা মাফলার খুলে ইঞ্জিনের বিকট শব্দ উৎপাদন করা হয়। মাফলার না থাকায় শব্দ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পরিবর্তে বিকট শব্দের সৃষ্টি করে।
এই বিকট শব্দ অনেক ক্ষেত্রে অনেকের জন্যই বিরক্তির কারণ হওয়ায় সিটি কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করে আসলেও কোন সুরাহা হচ্ছিলো না। সম্প্রতি ‘নয়েজ ক্যামেরা’ উদ্ভাবিত হয়েছে। এই ক্যামেরা মাফলার ও এগজস্ট দিয়ে নির্গত বিকট শব্দ করা গাড়ি শনাক্ত করবে। এই ক্যামেরা পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে বেরিজ এলাকায় শোর রোডে। রাস্তায় ভিডিও ক্যামেরার সাথে সাউন্ড মিটার স্থাপন করা হয়েছে তাতে কমপক্ষে ৮৫ ডেসিবেল শব্দ হলেই ৫০ ফুট থেকে সেই গাড়ির ছবি তুলতে পারবে। গাড়ির শব্দ সহ ভিডিও ক্লিপ নিরীক্ষা করবে ডিইপির কর্মকর্তারা। প্রাথমিক রিভিউর পর গাড়ির মালিককে নোটিশ অব এ্যাপিয়ার এর নোটিশ পাঠাবে। যেসব মামলাবিহিন গাড়িকে ধরা হবে তার মালিককে প্রথম ভায়োলেশনের জন্য ৮০০ ডলার, ২য় ভায়োলেশনের জন্য ১,৭০০ এবং ৩য় বা তার বেশি আইন অমান্য করার জন্য ২৫০০ ডলার জরিমানা করা হবে।
Posted ১২:২৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh