বাংলাদেশ অনলাইন : | শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩
উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয় ইলন মাস্কের রকেট স্পেস এক্স। ছবি: রয়টার্স
উড্ডয়নের পরপরই ইলন মাস্কের স্পেস এক্স কোম্পানির নতুন রকেট স্টারশিপ বিস্ফোরিত হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হননি। খবর : বিবিসির। স্থানীয় সময় ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সকালে টেক্সাসের পূর্ব উপকূল থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়। উত্তরণের দুই-তিন মিনিট পর রকেটটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এটিকে ধ্বংস করে ফেলা হয়। এটি ছিল এখন পর্যন্ত তৈরি করা সবচেয়ে বড় রকেট।
এ বিষয়ে মাস্ক জানিয়েছেন, তার কোম্পানি মাস দু’য়েকের মধ্যে আবার রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে। স্পেস এক্সের প্রকৌশলীরা অবশ্য ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও এই উৎক্ষেপণকে সফল বলছেন। তারা বলছেন যে তারা ‘আগেভাগে এবং নিয়মিত’ পরীক্ষা চালিয়ে যেতে চান এবং এই ধরণের ক্ষয়ক্ষতিতে ভয় পান না। পরের উৎক্ষেপণের আগে এরইমধ্যে বিপুল পরিমাণ ডাটা রয়েছে তাদের হাতে। দ্বিতীয় আরেকটি স্টারশিপ এখনই উৎক্ষেপণের জন্য তৈরি রয়েছে।
এই উৎক্ষেপণের পর এলন মাস্ক টুইট করেছেন, ‘অভিনন্দন স্পেস এক্স টিমকে স্টারশিপের দারুণ একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করায়। কয়েকমাসের মধ্যে হতে যাওয়া পরবর্তী পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য অনেক কিছু শিখেছি আমরা।’
তবে এ দুর্ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় বিমান চলাচল প্রশাসন। সংস্থাটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যে কোনো বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই তারা এই ধরণের তদন্ত পরিচালনা করে থাকেন।
মাস্ক জানিয়েছেন, যে তার কোম্পানি মাস দুয়েকের মধ্যে আবার রকেট উৎক্ষেপণের চেষ্টা করবে। ইলন মাস্ক এই উৎক্ষেপণের আগে থেকেই খুব বেশি উচ্চাভিলাষী ছিলেন না। পরীক্ষার আগে তিনি বলেছিলেন যে রকেটটির ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ওপরে ওঠা এবং লঞ্চ প্যাডের স্থাপনা ধ্বংস না হওয়াই ‘বিজয়’ হিসেবে বিবেচিত হবে।
তার ইচ্ছা অপূর্ণ থাকেনি। স্টারশিপ যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে তার উৎক্ষেপণের এলাকা পার করে মেক্সিকো উপসাগরের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এক মিনিটের মধ্যেই বোঝা যায় যে এটি নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী যাচ্ছে না। রকেটটি যখন ওপরে উঠতে থাকে, তখন দেখা যায় যে এর গোড়ায় থাকা ৩৩টি ইঞ্জিনের ৬টি বন্ধ হয়ে গেছে।
তিন মিনিটের মধ্যে নিশ্চিতভাবেই বোঝা যেতে থাকে যে খুব বেশিক্ষণ এটি চলবে না। রকেটটির দুটি অংশ যে সময়ের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, তখনও অংশ দুটিকে একসাথেই দেখা যেতে থাকে। লঞ্চের চার মিনিট পর স্টারশিপের উচ্চতা কমতে শুরু করে। তখন আকাশে বড় ধরণের একটি বিস্ফোরণ দেখা যায়। কম্পিউটারের মাধ্যমে রকেটটির ‘ফ্লাইট টার্মিনেশন সিস্টেম’ চালু করে দেয়ায় এই বিস্ফোরণটি ঘটে।
স্পেস এক্স তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই ধরণের পরীক্ষা থেকে আমরা যা শিখি, সেটা থেকেই সফলতা আসে। আর আমরা আজ এই যন্ত্রটি এবং এর গ্রাইন্ড সিস্টেম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি, যা স্টারশিপের পরবর্তী ফ্লাইটকে সফল করতে কাজে লাগবে।’
Posted ৫:২৩ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh