বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের যুদ্ধ!

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের যুদ্ধ!

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সমর্থন ও স্বার্থকে অবজ্ঞা করে শাসন ক্ষমতা আরো একদফা দীর্ঘায়িত করতে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে বিরামহীনভাবে। দলের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারির কোনো নেতানেত্রী নয়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নীতি আদর্শ নিয়ে বাহাস-বিতর্ক করছেন প্রকাশ্যে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অপশাসন, গণতন্ত্রহীনতা ও মানবাধিকার লংঘনের আপত্তি এবং সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো অধিকতর সরব হয়ে উঠায় অনেকটাই বিপাকে হাসিনা সরকার। এছাড়া ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র‌্যাবসহ আধা ডজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অচিরেই আরো নিষেধাজ্ঞা আসছে এমন আতঙ্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, যারা বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে বাংলাদেশ ওইসব দেশ থেকে পন্য আমদানি করবে না। সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বক্তব্য দানকালে ও বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।


চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরকালে দেশ দুটির কোনো নেতা বা সরকারী কর্মকর্তার সাক্ষাৎ পাননি শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তেমন কোনো প্রটোকল পাননি তিনি। ফলে ক্ষিপ্ত হাসিনা দেশে ফিরেরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ চারটি দেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দিচ্ছেন তাদের প্রদত্ত পুলিশী এসকর্ট বাতিল করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে বড় ধরনের বৈরিতা ও ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল থেকে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি, উন্নয়ন অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান শীর্ষে। যুক্তরাষ্ট্র নাম্বার ওয়ান গার্মেন্টস আমদানিকারক। যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স যায় বাংলাদেশে। দশ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর বসবাস এদেশে। প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে যুক্তরাষ্ট্রে। সবচেয়ে বিনিয়োগকালি যুক্তরাষ্ট্র। করোনাকালে সাড়ে ১১ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে বিনামূল্যে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব ফিরিস্তির শেষ নেই। সাধারণ বাংলাদেশীরা না হয় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে জীবন-জীবিকার জন্য। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারীরাও যে এদেশের বাসিন্দা। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা।


যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আমাকে ক্ষমতায় চায় না : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আমাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলেই বাংলাদেশের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অথচ যে বাহিনীর ওপর তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তাদের পরামর্শেই ২০০৪ সালে গঠন করা হয়। ওই বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্রই দিয়েছিল। তাহলে কেন তারা এই নিষেধাজ্ঞা দিল? এটা আমার কাছেও বিরাট এক প্রশ্ন।’ সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসির ইয়ালদা হাকিমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। আধঘণ্টা চলা ওই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, গণতন্ত্র, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে বাংলাদেশে অটোক্রেসি বা একনায়কতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠার যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা নাকচ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৪ বছর ধরে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। এ কারণেই আমরা উন্নতি করতে পারছি।’ বিবিসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চায়, যুক্তরাষ্ট্র কেন বাংলাদেশের একটি বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বলে আপনি মনে করেন?


এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না, হয়তো তারা আমার কাজ অব্যাহত থাকুক, তা চায় না। আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা হয়তো গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি। একটা পর্যায়ে সন্ত্রাস সব দেশের জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছিল। আমাদের দেশে আমরা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করেছি। এরপর মাত্র একটা ঘটনা ঘটেছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোর পরিশ্রম করছে।’ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির আগে বাংলাদেশে বন্দুকযুদ্ধের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন ইয়ালদা হাকিম। নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ২০১৮ সালে ৪৬৬ মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। ২০১৯ সালে ৩৮৮ জন আর ২০২০ সালে ১৮৮ জন নিহত হয়েছেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর এই সংখ্যা মাত্র ১৫ জনে নেমে এসেছে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব সংখ্যা তারা উল্লেখ করেছে, সেগুলোর প্রমাণ তারা করতে পারেনি।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব হত্যাকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করেনি। কারণ আমরা প্রমাণ চেয়েছিলাম, সেগুলো তারা পাঠিয়ে দিক, আমরা তদন্ত করে দেখব।’ জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের একটি তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে, র্যাবের দুজন ব্যক্তি গোপন তথ্য ফাঁস করে বলেছেন যে এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না তারা কীভাবে এটা করেছে; কিন্তু আমেরিকায় কী ঘটছে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে প্রায় প্রতিদিন একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। স্কুল, শপিং মল, রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমনকি স্কুল শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা সশস্ত্র ব্যক্তির হাতে নিহত হচ্ছেন।

আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নিজেদের ব্যাপারে আরও মনোযোগী হওয়া। তাদের দেশের কী অবস্থা? তাদের উচিত শিশুদের জীবন রক্ষা করা। তারা নিজেদের লোকজনের ব্যাপারে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা যেসব অভিযোগ করেছে, আমরা তাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছিলাম। তারা দেয়নি।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, নিষেধাজ্ঞা, পালটা নিষেধাজ্ঞা একটা খেলার মতো। এটা আমার কাছে এখনো পরিষ্কার নয়, কেন তারা আমাদের দেশের প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিল?’ শেখ হাসিনা নিজের পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘ওই খুনিরা দায়মুক্তি পেয়েছিল। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি। আমার বিচার পাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না। কিন্তু সেই সময় তারা (যুক্তরাষ্ট্র) কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বরং একজন হত্যাকারীকে তারা আশ্রয় দিয়েছে। আমরা তাদের বারবার অনুরোধ করেছি, তাকে (খুনি) ফেরত পাঠানোর জন্য। তারা অনুরোধ রাখেনি। কেন তারা শুনছে না, আমি জানি না।’ বাংলাদেশের পার্লামেন্টে গত এপ্রিলের মাঝামাঝি শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা বাংলাদেশের ক্ষমতায় পরিবর্তন আনতে চায়।

এই বক্তব্যের পক্ষে আপনার কাছে কী প্রমাণ আছে? বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কাছে একটা বড় প্রশ্ন হলো-কেন তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করল? যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের সন্ত্রাস মোকাবিলার জন্য কাজ করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে; তখন তারা লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা ভুক্তভোগী, তাদের পক্ষে নয়।’ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘ-সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে; এই তথ্য শেখ হাসিনাকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি, ১২টি প্রতিষ্ঠান মিলে এসব বক্তব্য দিয়েছে; কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেনি। আমি জানি না কী আন্তর্জাতিক খেলা চলছে।’ কেন তারা আপনাকে সরাতে চাইবে? ইয়ালদা হাকিমের এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা আমার বাবাকে হত্যা করেছে।

যারা আমার পরিবারকে হত্যা করেছে, এমনকি ১০ বছরের ভাইকে হত্যা করেছে; সেই ষড়যন্ত্রকারীরা চায় না এই পরিবারের কেউ ক্ষমতায় আসুক।’ বাংলাদেশের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং সংবাদমাধ্যমের ওপর চাপ তৈরি করা সম্পর্কে বিভিন্ন সময় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের উদ্বেগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি না, তারা যেসব অভিযোগ করছে, সেগুলো খুব বেশি প্রমাণ করতে পারেনি। কিছু গ্রুপ বড় বড় সংখ্যায় অভিযোগ করেছে, কিন্তু আমরা যখন তদন্ত করেছি, তখন আমরা পাঁচ-ছয়জনের (হত্যা বা গুম) ব্যাপার দেখতে পেয়েছি। আসলে কিছু মানুষ বিভিন্ন কারণে নিজেরাই লুকিয়ে ছিল। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আমরাও সমর্থন করি না। আমাদের দেশে আইন আছে, আমাদের আইন প্রয়োগকারীরা কোনো অন্যায় করলে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হয়। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’ ইয়ালদা হাকিম শেখ হাসিনার কাছে জানতে চান, যেভাবে ডয়েচে ভেলের তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে, আসলেই কি সাংবাদিক, বিরোধী দলের নেতাকর্মী, অ্যাকটিভিস্টদের ওপর হামলার জন্য র্যাব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল? আর সরকারের তথ্যেই জানা গেছে, বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২০ হাজারের মতো মামলা হয়েছে, সাত হাজারের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ; কিন্তু তারা কী করেছিল? তারা মানুষ হত্যা করেছে, তারা ককটেল ছুড়েছে, তারা পাবলিক বাসে আগুন দিয়েছে। ৩ হাজার ৮০০ পাবলিক বাসের ভেতরে যাত্রীদের রেখেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারা সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে, ট্রেন, লঞ্চ, প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে। আপনি হলে কি করতেন?

আপনারা কি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতেন না?’ তিনি বলেন, ‘এটা সাধারণ দলীয় সমর্থকদের ক্ষেত্রে করা হয়নি। যারা হত্যা করেছে, মানুষকে নির্যাতন করেছে, দুর্নীতি করেছে; তারা শাস্তি পেয়েছে। আমি বুঝতে পারি না, তারা যেসব অপরাধ করেছে, কেন তা এসব (মানবাধিকার) সংগঠন দেখতে পাচ্ছে না।’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবাধিকার সংস্থাগুলো কখনো আমার মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেনি। যখন আমার পুরো পরিবারকে হারিয়েছি, তখনও তারা আমার পক্ষে কথা বলেনি। কেন?’ বিবিসির সংবাদদাতা ইয়ালদা হাকিম জানতে চান, আমেরিকার কেউ কেউ মনে করেন, আধা সামরিক বাহিনী র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার আসল কারণ হলো, বাংলাদেশের মানবাধিকার অবস্থাকে আবার সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা। এর জবাবে আপনি কী বলবেন? শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই মানবাধিকার রক্ষা করে আসছে। মানবাধিকার মানেই শুধু শরীরের নিরাপত্তা নয়। আমার কাছে মানবাধিকার হলো তাদের নিরাপত্তা, খাদ্য, শিক্ষা, ভোট, সুস্থ থাকার অধিকার। সবকিছু আমরা রক্ষা করছি।’ বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশের বিরোধী নেতাকর্মীদের কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, শেখ হাসিনা নির্বাচন কিংবা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই আজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখছেন।

এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবশ্যই না। নির্বাচন ও ভোটাধিকারের জন্য আমি সারা জীবন সংগ্রাম করেছি সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার জন্য আমরাই আইন করেছি। আমরা সব সময়ই চেয়েছি যেন মুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন হয়। এখন আমাদের ভোটার লিস্ট ছবিসহ তৈরি করেছি, আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের ব্যবস্থা করেছি।’ এ সময় ইয়ালদা হাকিম উল্লেখ করেন, গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ভোটের এই হার মিশরের মতো অনেক সামরিক শাসকের চেয়েও বেশি। এটা অনেকটা ভ্লাদিমির পুতিনের ভোটের মতো।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেন নয়। আমাদের কাজের জন্যই মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে। আমরা তাদের জন্য কাজ করেছি। আমাদের ১৭০ মিলিয়ন মানুষ রয়েছে। আমাদের জনগণ রাজনৈতিক অধিকারের ব্যাপারে সচেতন। আমরা ক্ষমতায় আসার পর দারিদ্র্য কমেছে, খাদ্য নিরাপত্তা বেড়েছে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহায়ন-সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। তাহলে মানুষ কেন (আমাদের) ভোট দেবে না?’ বিবিসির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল যে জরিপ করেছে, সেখানে ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৭টিতেই অনিয়ম দেখতে পেয়েছে।

যার মধ্যে জাল ভোট, ভোটার ও বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেওয়ার মতো অভিযোগ রয়েছে। এ কারণেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কি সেটা প্রমাণ করতে পেরেছে? কোথায় সেই প্রমাণ? আমি নথিপত্র দেখতে চাই। কারণ আমি বলছি, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কেউ অভিযোগ করেনি। ২১-দলীয় জোট, বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী সবমিলিয়ে কত আসন পেয়েছিল? ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২১টি। মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা আমাদের জোটকে ভোট দিয়েছে।’ তাহলে কেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছে যে, এটা অবাধ আর স্বচ্ছ হয়নি? ইয়ালদা হাকিম আবার প্রশ্ন করেন। জাবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেটা আমি জানি না, তারা কীভাবে এটা দেখেছে। কিন্তু নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ ও অবাধ হয়েছে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা (বিএনপি জোট) শুরুতে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি কী হলো? আমাদের ৩০০ আসন আছে। ৩০০ প্রার্থী দিতে হবে। তারা মনোনয়ন দিয়েছে প্রায় ৭০০ জনকে। তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা নির্বাচন থেকে সরে যায়। তাহলে তারা কীভাবে দাবি করতে পারে যে নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ হয়নি।’ এ সময় ইয়ালদা হাকিম মনে করিয়ে দেন, এটা বিরোধীদের কথা নয়, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এই তথ্য দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এটা বলেছে; কিন্তু তাদের স্বচ্ছতা নিয়েই তো আমার সন্দেহ রয়েছে। আমি খোলাখুলিভাবেই বলছি।’ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া প্রসঙ্গে ইয়ালদা হাকিম প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, আপনি যখন তাদের আশ্রয় দিয়েছিলেন, বিশ্বের কাছে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। বিপদের সময় ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছেন। বাংলাদেশকে, আপনাকে তারা প্রশংসা করেছে। কিন্তু পাঁচ বছর পর কী হচ্ছে? সেখানে সংখ্যাতিরিক্ত মানুষ বসবাস করছে, ক্যাম্পে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে, সহিংসতা হচ্ছে। তাদের আরেকটি দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে যারা গিয়েছে, তারা অনেক ভালো অবস্থায় বসবাস করছে। কারণ, সেখানে এক লাখ পরিবারের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। কে বলেছে সেটা বন্যাপ্রবণ? বন্যা ঠেকাতে সেখানে সবকিছুই করা হয়েছে। সেখানে ভালো স্কুল, স্বাস্থ্যব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পের চেয়ে সেখানে বসবাসের ব্যবস্থা অনেক ভালো।’ তিনি বলেন, ‘এখন যেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ওই এলাকার পরিবেশ পুরো ধ্বংস হয়ে গেছে। ওখানে গভীর জঙ্গল ছিল, সেটা এখন নেই। তারা এখন একে অপরের সঙ্গে মারামারি করছে। তারা মানব পাচার, মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ করার আগে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গারা যাতে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা। আর রোহিঙ্গাদেরও উচিত নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়া।’ কিন্তু রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া কি নিরাপদ-বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ এবং অন্য সংগঠনগুলোর সেজন্য ব্যবস্থা করা উচিত। তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজেদের দেশেই তাদের নিরাপদ থাকার কথা।

এটা জাতিসংঘের নিশ্চিত করার দায়িত্ব, আমাদের না।’ তিনি বলেন, ‘যখন তারা বিপদে ছিল, আমরা তাদের ঢুকতে দিয়েছি, তাদের জন্য সব ব্যবস্থা করেছি। ৪০ হাজার নারী গর্ভবতী ছিল; তাদের খাবার, স্বাস্থ্য চিকিৎসা দিয়েছি। প্রথমে কেউ এগিয়ে আসেনি, আমাদের দেশের লোকজন তাদের সহায়তা করেছে।’ বিবিসির প্রশ্ন ছিল, মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কী হবে? কারণ জাতিসংঘ বলেছে, কাউকে জোর করে পাঠানো উচিত নয়। ২০ জনের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল মিয়ানমার ঘুরে এসে বলেছে, বাংলাদেশি কর্মকর্তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে বৈঠক করতে নিয়ে গেছে। এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলছেন, ‘না, আমি জানি না কেন তারা এটা বলছে। তারা স্বেচ্ছায় পরিস্থিতি দেখতে সেখানে গিয়েছিল। কেউ তাদের মিথ্যা বলে নিয়ে যায়নি।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আপনিই বলুন, একটি দেশ ১০ লাখের বেশি মানুষের এই বোঝা কতদিন বয়ে যাবে? দিনদিন এটা আরও বড় হচ্ছে। আমরা এই বোঝা কতদিন টানব? তাদের উচিত নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়া।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘকে অনুরোধ করেছি, তারা যাতে এসব মানুষকে নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। এটা তাদের দায়িত্ব। তারা এই বোঝা চিরদিনের জন্য আমাদের ওপর চাপিয়ে দিতে পারে না। এমনিতেই আমাদের দেশে জনসংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের স্থানীয় মানুষজন অনেক দুঃখকষ্ট ভোগ করছে।’ কিন্তু এই বিষয়ে কি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বাংলাদেশ যথেষ্ট সমর্থন পাচ্ছে? জানতে চায় বিবিসি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা সমর্থন করছে; কিন্তু ইতিবাচক কিছু করছে না। আলোচনা করলেই তারা বলে, হ্যাঁ, তাদের ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু তারা ইতিবাচক কিছু করছে না। কেন-এটা আমার প্রশ্ন। মানবাধিকারের কথা চিন্তা করে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। এখন আপনি বলুন, যখন আমরা এত মানুষকে আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়েছি, তখন কীভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অভিযোগ করে যে আমরা নিজেদের দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছি? সুতরাং এসব অভিযোগ পুরোপুরি বানোয়াট। আমরা জানি না কেন তারা এসব করছে? আমার নিজেরও প্রশ্ন, কেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ?’

যে দেশ নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের পণ্য কিনবো না

নিষেধাজ্ঞা দিলে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে বাংলাদেশ কোনো পণ্য কিনবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন একটা প্রবণতা হচ্ছে- নিষেধাজ্ঞা দেয়ার। এটি দেয়া হচ্ছে তাদের ওপর, যাদের দিয়ে সন্ত্রাস দমন করি। আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের থেকে আমরা কিছুই কিনবো না। গত ১৩ মে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ৬০তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে সরকারের সব প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কার কী লাভ হয় জানি না। সারা পৃথিবীর সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী। আমাদের কিছু পদক্ষেপের ফলে মানুষের ওই কষ্টটা হয়নি। আমি কয়েকটা দেশ ঘুরে এলাম, লন্ডনে ৩টার বেশি টমেটো কিনতে দেবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে দেবে না, এক প্যাকেট ডিম, খুব বেশি হলে ৬টা, তার বেশি কেউ কিনতে পারবে না। বাংলাদেশে সেই দুরবস্থা কিন্তু আসেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবে সাধারণ মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে। যার কারণে রোজার সময় সকলকে বলে দিয়েছি, ইফতার পার্টি বন্ধ করে মানুষকে খাবার দিতে হবে, ইফতার দিতে হবে।

এটা করেছে আমাদের দলের লোকেরা, তারা সক্রিয় ছিল। আমরা উচ্চমূল্যে সবকিছু কিনে অল্প টাকায় ক্রয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। কোটি মানুষকে টিসিবি’র কার্ড করে দিয়েছি। চাল, ডাল, তেল যেন কম দামে কিনতে পারে সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বলে গেছেন কৃষিযান্ত্রিকীকরণের কথা। আমরা ধীরে ধীরে তা করছি। হাওর অঞ্চলে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিচ্ছি। অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ ভাগ। এটাতে অনেক উপকার হয়। আমাদের কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো যেন স্বল্পমূল্যে কৃষক কিনতে পারে, সেটার জন্য আপনাদের চিন্তা করতে হবে। আমি হয়তো ভর্তুকি দিয়ে যাবো, সবাই তো সব সময় দেবে না।

সেটাও মাথায় রাখতে হবে। সেইভাবে আপনাদের আরও গবেষণা দরকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আর কী করবো! বাবা-মা-ভাইবোন সবাইকে মেরে ফেলেছে। আমার তো হারানোর কিছু নেই। আমার দেশটিকে আমি এগিয়ে নিতে চাই। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক তার বরাদ্দ প্রত্যাহার করলেও একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই প্রতিষ্ঠানটিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দেশ এসে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে কোনো প্রকল্প করতে বললে আমি কিন্তু সেই প্রকল্প গ্রহণ করি না, এটা আপনাদের আমি জানিয়ে দিচ্ছি। সেটা আমি করবোও না। কারণ, আমাদের দেশের জন্য যেটা প্রযোজ্য আমরা সেটাই করবো। এক সময় মিলিটারি শাসকদের সময় প্রচলিত ছিল যে, নিজের দেশের বড় অংকের টাকা দিয়ে প্রজেক্ট বানিয়ে সেই টাকা পরের কাছে তুলে দিয়ে তাদের কাছ থেকে কমিশন খাওয়া।

আমার দেশের টাকা আমি তুলে দেবো আরেকজনের হাতে? তার কাছ থেকে কমিশন খাবো, ঘুষ খাবো- এই ধরনের মানসিকতা কেন থাকবে! এটা আত্মহননের শামিল। বরং, একটা টাকা বাঁচাতে পারি কিনা, সে চেষ্টাই করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আর কী করবো! বাবা-মা-ভাইবোন সবাইকে মেরে ফেলেছে। আমার তো হারানোর কিছু নেই। আমার দেশটিকে আমি এগিয়ে নিতে চাই। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিশ্বব্যাংক তার বরাদ্দ প্রত্যাহার করলেও একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই প্রতিষ্ঠানটিকে চ্যালেঞ্জ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনো দেশ এসে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে কোনো প্রকল্প করতে বললে আমি কিন্তু সেই প্রকল্প গ্রহণ করি না, এটা আপনাদের আমি জানিয়ে দিচ্ছি। সেটা আমি করবোও না।

কারণ, আমাদের দেশের জন্য যেটা প্রযোজ্য আমরা সেটাই করবো। এক সময় মিলিটারি শাসকদের সময় প্রচলিত ছিল যে, নিজের দেশের বড় অংকের টাকা দিয়ে প্রজেক্ট বানিয়ে সেই টাকা পরের কাছে তুলে দিয়ে তাদের কাছ থেকে কমিশন খাওয়া। আমার দেশের টাকা আমি তুলে দেবো আরেকজনের হাতে? তার কাছ থেকে কমিশন খাবো, ঘুষ খাবো- এই ধরনের মানসিকতা কেন থাকবে! এটা আত্মহননের শামিল। বরং, একটা টাকা বাঁচাতে পারি কিনা, সে চেষ্টাই করতে হবে। অনুষ্ঠানে আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোল্লা মো. আব্দুল হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনারারি সেক্রেটারি প্রকৌশলী কাজী খাইরুল বাশার অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন স্তরের প্রকৌশলী, কেন্দ্র, উপকেন্দ্র, প্রকৌশল বিভাগ ও এএমআরই বিভাগের স্নাতকদের হাতে পুরস্কার (স্বর্ণপদক) ও সনদপত্র তুলে দেন।

advertisement

Posted ১১:২৫ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.