নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেছেন যে, নিউইয়র্কাররা কঠোর পরিশ্রমী, তারা সিটির অর্থনৈতিক বিকাশসহ সকল ক্ষেত্রে দিনরাত পরিশ্রম করে তাদের ভূমিকা রেখে চলেছে এবং সে তুলনায় সিটি সরকার তাদের সেবা কার্যক্রমে সমান তালে এগিয়ে আসতে পারছে না।

তারা যাতে সিটি সরকারের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে আমলাতন্ত্রের দাপট সহজে এড়াতে পারে সেজন্য পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা জুড়ে ফরমগুলো পূরণ করা ছাড়াই যাতে তারা তাদের ট্যাক্সের অর্থ থেকে প্রাপ্য সুবিধা লাভ করতে পারে আমরা তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সেবাগুলোকে সহজ করার জন্যে আমরা ‘মাইসিটি’ (গুঈরঃু) নামে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করতে যাচ্ছি, যাতে সিটিবাসীরা স্মার্টফোন ও কম্পিউটার ব্যবহার করেই তাদের প্রয়োজনগুলো সম্পর্কে জেনে তা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।

প্রথম পর্যায়ে ‘মাইসিটি’র লক্ষ্য হচ্ছে নিম্ন আয়ের নিউইয়র্কারদের শিশুসেবা নিশ্চিত করতে এই পোর্টালের সহায়তা গ্রহণ। এই ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তারা শিশুসেবার সবকিছু পেতে পারেন। এর আগে পরিবারগুলোকে শিশুসেবা পেতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিট করা, বিভিন্ন সিটি এজেন্সিতে যোগাযোগ করা, মুদ্রিত প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন কাগজপত্র প্রেরণের ঝামেলা সহ্য করতে হয়েচে। এসব সত্বেও অনেক পরিবার দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে যখন খোঁজ নিতে গেছে তখন তাদেরকে বলা হয়েছে যে অমুক অমুক কারণে তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে এবং যেসব কারণে বাতিল হয়েছে ওইসব কারণ দূর করে আবারও তাদেরকে আবেদন করতে হয়েছে।

এ পদ্ধতিতে অনেকের পক্ষে জানাও সম্ভব হত না যে আসলে তাদেরকে কোন কাগজগুলো জমা দিতে হবে। মেয়র অ্যাডামস বলেন, এখন আর সেই ঝামেলাগুলো পোহাতে হবে না। এখন সময় এসেছে শ্রমজীবী পরিবারগুলোর জন্য সিটি সরকারের কাজ করার। তিনি আরো বলেন, ‘মাইসিটি’ পুরো চিত্রকে বদলে দিতে যাচ্ছে। এখন আবেদন করার প্রক্রিয়া হবে নিরাপদ, দ্রুত এবং দশটি ভাষায় এটি ব্যবহারযোগ্য বলে যারা ব্যবহার করবেন তাদের ইংরেজি জানার বাধ্যবাধকতা নেই। কোনো শ্রমজীবী মা বাড়ি ফিরে তার সন্তানকে কোলে নিয়েই এই ওয়েবসাইট সুপরঃু.হুপ.মড়া ভিজিট করে তার আবেদন করতে পারবেন।