গত উইক এন্ডসে নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়েতে যাত্রীদের ওপর বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ১ জন নিহত এবং ৩ নারী আহত হয়েছে। একজনের অবস্থা গুরুতর। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুর্বৃত্তরা তিন মহিলার পায়ে ছুরিকাঘাত করে। যে পুরুষটি গুরুতর আহত তাকে আঘাত করতে উদ্যত দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতে গেলে তারা ছুরি দিয়ে তাকে বেশ কয়েকটি আঘাত করে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। গত শনিবার ব্রঙ্কসের ট্রেভন সিলভার (৩২), যিনি এক বছর আগে সাবওয়েতে একটি ছুরিকাঘাতে গুরুতর অবস্থা কাটিয়ে উঠেছিলেন, গত শনিবার ভোররাতে ৪ ট্রেনে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় ছুরিকাঘাতে নিহত হন।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সোমবার এক ব্যক্তিকে আটক করে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ও অস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটককৃত ব্যক্তির নাম হোয়াইট, যার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে, এবং এগুলোর মধ্যে একটি ডাকাতির মামলায় তার সাজা হয়েছিল। তারা পরস্পরের পরিচিত ছিল এবং তাদের বিবাদ ছিল মাদক বিক্রয় নিয়ে। পুলিশ অর্ধ অচেতন ট্রেভন সিলভারের ৯১১ এ কল পেয়ে ভোর চারটায় ৪ ট্রেনের ইউনিয়স স্কোয়ার সাবওয়ে স্টেশনে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পায় এবং বেলভিউ হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিনা টিকেটে সাবওয়ে গেট দিয়ে প্রবেশ করার পর পুলিশ অভিযুক্ত হোয়াইটকে গ্রেফতার করেছে।

রোববার বিকেলে পৃথক পৃথক ঘটনায় তিন মহিলার পায়ে ছুরিকাঘাতের অভিযোগে গত মঙ্গলবার কেমাল রিদোত (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আঘাত গুরুতর নয় বলে পুলিশ জানায়। মেট্টোপলিটান ট্রানজিট অথরিটির ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দুটি গ্রেফতারই করেছে সাদা পোশাকের পুলিশ। ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট অতিরিক্ত ৮০ জন পুলিশ সদস্য তলব করে এবং ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ একটি ঘটনা দুবর্ুৃত্ত ও আক্রান্তের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে, অন্য ঘটনাগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো যোগসূত্র পুলিশ পায়নি অথবা যারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, তাদের সঙ্গে আক্রমণকারীদের পূর্ব শত্রুতা থাকার কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঘটনাগুলো এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন যাত্রীরা সাবওয়ে ব্যবহারে ভীতির মধ্যে কাটাচ্ছিল, গত উইকএন্ডসের ঘটনায় সাবওয়ে যাত্রীরা আরো ভীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ট্রানজিট পুলিশের প্রধান মাইকেল এম কেমপার বলেছেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্যে প্ল্যাটফর্মে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশের উপস্থিতিও বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি জানান। আমরা যাত্রীদের মন থেকে ভীতি দূর করতে চাই।