মেট্টোপলিটান ট্রানজিট অথরিটি (এমটিএ) চলতি সামার শেষে নিউইয়র্ক সিটির সাবওয়ে ও বাস ভাড়া প্রতি রাইডে বর্তমান ২.৭৫ ডলার থেকে ২.৯০ ডলারে বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেছে। ২০১৫ সালের পর, অর্থ্যাৎ আট বছরের মধ্যে এটাই প্রথমবারের সিটি সাবওয়ে ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য মেট্টোকার্ডের ক্ষেত্রে ভাড়া ৩৩ ডলারের পরিবর্তে ৩৪ ডলার, এক মাস মেয়াদের মেট্টোকার্ড ১২৭ ডলার থেকে ১৩২ ডলার বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সাপ্তাহিক ও মাসিক মেট্টোকার্ডের ক্ষেত্রে বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ২০১৯ সালের পর। নিউইয়র্ক টাইমসের এক রিপোর্ট অনুযায়ী এমটিএ একইভাবে এক্সপ্রেস বাস, লং আইল্যান্ড রেলরোড এবং মেট্টো নর্থ রেলরোডেও ভাড়া বৃদ্ধি এবং ব্রিজ ও টানেলে টোল বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।

এমটিএ’র বোর্ড ভাড়া বৃদ্ধির এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। তারা আশা করছে যে, ভাড়া ও টোল বৃদ্ধির ফলে এমটিএ বার্ষিক অতিরিক্ত ৩০৫ মিলিয়ন ডলার আয় করবে। নিউইয়র্ক সিটির গণপরিবহন ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে বৃহত্তম এবং নিউইয়র্ক সিটির লাইফলাইন হিসেবে বিবেচিত। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ নিউইয়র্কার গণপরিবহনে যাতায়াত করে, বিশেষ করে তাদের কর্মস্থলে যাতায়াত করার জন্য।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়লে গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা হ্রাস পায় এবং সিটিকে কর্মমুখর সচল রাখার জন্য ওই বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত সাবওয়ে ও বাসে বিনা ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করা হয়। এর ফলে সিটি সচল থাকলেও গণপরিবহন বিরাপ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। করোনা মহামারী স্বাভাবিক হলেও এখন পর্যন্ত সাবওয়ে ও বাসগুলো করোনা পূর্ব অবস্থায় ফিরে যেতে সক্ষম হয়নি এবং বর্তমানে মহামারী পূর্বকালের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে সাবওয়ে কর্মদিবসগুলোতে দৈনিক ৪০ লাখ করে যাত্রী পরিবহন করছে।

গণপরিবহন ব্যবহারকারী এডভোকেসি গ্রুপ রাইডার্স অ্যালায়েন্সের মুখপাত্র ড্যানি পার্লস্টেইন বলেছেন যে, গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি অনিবার্য ছিল, কিন্তু সিটির ‘ফেয়ার-ফেয়ারস প্রোগ্রামে’ (Fair Fares Program) সুবিধা লাভের যোগ্যতা সম্প্রসারণ করা উচিত, যাতে যারা এই কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার যোগ্য তারা এর আওতায় অর্ধেক ভাড়ায় গণপরিবহন ব্যবহার করতে পারেন। প্রস্তাবিত ভাড়া বৃদ্ধির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন স্টেট গভর্নর ক্যাথি সি হকুল, যিনি এমটিএ’র নিয়ন্ত্রক। চলতি বছরের বাজেটে এমটিএ বিপুল ঘাটতি দেখানো হয়েছে, যা মহামারীর কারণে যাত্রী হ্রাসের ফলে হয়েছে।