বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
এ বছর নিউইয়র্ক সিটির অভিজাত পাবলিক স্কুল হিসেবে পরিচিত স্পেশালাউজড হাইস্কুলগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া ছাত্রের মাত্র ১০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনো। এ সংখ্যা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ইতিপূর্বে এই স্কুলগুলোতে তাদের সংখ্যা মোট ছাত্রসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের বেশি ছিল। বিতর্ক দেখা দিয়েছে সবচেয়ে নির্বাচিত ও মর্যাদাসম্পন্ন স্পেশালাইজড স্কুল হিসেবে বিবেচিত ম্যানহাটানের স্টাইভেসেন্ট হাইস্কুলে ভর্তির সুযোগ লাভকারীদের জাতি ও বর্ণগত চিত্রে। স্কুলটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ৭৬২ জন, যার মধ্যে মাত্র ৭ জন কৃষ্ণাঙ্গ।
গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিটির সবচেয়ে নির্বাচিত ম্যানহাটানের স্টাইভেসেন্ট হাইস্কুলে ভর্তির সুযোগ লাভকারী ৭৬২ জনের মধ্যে এশিয়ান বংশোদ্ভুত ছাত্র সংখ্যা ৪৮৯ জন, শ্বেতাঙ্গ ১৫৮ জন, ল্যাটিনো ২০ জন এবং কৃষ্ণাঙ্গ মাত্র ৭ জন। গত বছর এই স্কুলে কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্র সংখ্যা ছিল ১১ জন এবং ২০২১ সালে ছিল ৮ জন। অবশিষ্ট ৮৮ জন মিশ্র জাতিগোষ্ঠী থেকে আসার ছাত্র। কৃষ্ণাঙ্গ ক্ষেত্রে স্টাইভেসেন্ট স্কুলের চিত্রের চেয়েও বাজে চিত্র স্ট্যাটেন আইল্যান্ড হাই স্কুলের। সেখানে ভর্তির সুযোগ লাভকারী ২৮৭ জনের মধ্যে মাত্র ২ জন কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৭ জন ল্যাটিনো। গত বছর একজন কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রও এই স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়নি।
সিটির আটটি স্পেশালাইজড স্কুলে ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
কারণ একটি মাত্র পরীক্ষার ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি নিশ্চিত করা হয়। প্রতি বছর অষ্টম গ্রেডের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ভর্তির জন্য স্কুলগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ৪ হাজারের নিচে। নিউইয়র্ক সিটির স্পেশালাইজড হাইস্কুলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষাব্যবস্থার মুকূটে হীরকখন্ডের মতো বিবেচনা করা হয় এবং দেশজুড়ে ব্যাপক আকর্ষণ সৃষ্টি করে। এসব স্কুলের ছাত্ররা বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা ভোগ করে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এসব স্কুল থেকে উত্তীর্ণরা দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ লাভের পাশাপাশি পেশায় সাফল্য লাভের টিকেট লাভ করে বলেও মনে করা হয়।
কিন্তু একই সঙ্গে এই স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে এ অভিযোগও আছে যে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে স্কুলগুলো জাতি ও বর্ণ বৈষম্যের প্রতীক হয়ে আছে. যেখানে গত এক দশকের কোনো সময়েই কৃষ্ণাঙ্গ ও ল্যাটিনো ছাত্রদের ভর্তি ১২ শতাংশের বেশি হয়নি। চলতি বছর যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ ছিল শ্বেতাঙ্গ এবং ২৬ শতাংশ ল্যাটিনো। কিন্তু শ্বেতাঙ্গ ছাত্ররা পরীক্ষায় যে সংখ্যক অংশগ্রহণ করেছে, সেই তুলনায় চারগুণ বেশি আসন পেয়েছে। কিন্তু ২৬ শতাংশ ল্যাটিনো অংশ নিয়েও উত্তীর্ণ হওয়ার সংখ্যা সাম্যে পিছিয়ে গেছে। অথচ এক দশক আগে ব্রুকলিন ল্যাটিন স্কুলে ৭৩ জন কালো ও ল্যাটিনো ছাত্র ভর্তি হয়েছে।
Posted ৩:০৪ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh