বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
গত সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার এক শতাংশ হ্রাস পেলেও গত ছয় মাসে প্রতি তিন ব্যক্তির মধ্যে অন্তত একজন কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়ার হার দ্রুত বাড়ছে। দীর্ঘস্থায়ী বেকারত্বের কারণে ইতোমধ্যে বহু পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মার্চে করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে যারা বেকার হয়ে পড়েছিলেন তাদের একটি অংশ ধীরে ধীরে কাজে ফিরে গেলেও, যারা এখন পর্যন্ত কর্মহীন রয়েছে তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছে। ফেডারেল সরকার আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার পর স্টেট সরকার যে বেকার ভাতা প্রদান করছে তা অতি সামান্য এবং পরিবার সংস্থানের মত নয়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিবারগুলো ভেতর থেকে ক্ষয়ে যাচ্ছে এবং এক পর্যায়ে তাদের উঠে দাঁড়ানোর মত অবস্থাও থাকবে না। তাদের মতে ২৭ সপ্তাহের অধিক সময় যাবত বেকারত্ব ভয়াবহ এক পরিস্থিতি।
ব্যুরো অফ লেবার গত শুক্রবার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায় দেশে বেকার হয়ে পড়া এক কোটি ১০ লাখ কর্মীর মধ্যে গত মাসেও এক তৃতীয়াংশ কর্মহীন ছিল, যা বেকার হয়ে পড়া কর্মীদের প্রায় ১৯ শতাংশ, যার মোট সংখ্যা ৩৬ লাখ। গত সেপ্টেম্বরে অর্থনীতিতে ৬ লাখ ৩৮ হাজার অকৃষি শ্রমিক কাজ শুরু করেছে মর্মে ব্যুরো অফ লেবার সূত্রে জানান হয়েছে, যে কারণে বোরত্বের হার সেপ্টেম্বরের ৭.৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে অক্টোবরে ৬.৯ শতাংশে স্থির হয়েছে। মোট বেকারের মধ্যে যে এক তৃতীয়াংশ এখনো কর্মহীন, তাদের অধিকাংশের প্রতিষ্ঠান লে-অফ করা হয়েছে এবং কবে নাগাদ প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। সেঞ্চুরি ফাউণ্ডেশনের সিনিয়র ফেলো এন্ড্রু ষ্টেটনারের মতে, দীর্ঘস্থায়ী বেকারত্ব মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয়। চাকুরি থেকে আয় না থাকায় তারা তাদের সীমিত সঞ্চয় ব্যয় করতে বাধ্য হয় এবং এরপর আর কোনকিছুর সংস্থান থাকে না তদের।
ফেডারেল কেয়ারস অ্যাক্ট করোনাভাইরাস ত্রাণ হিসেবে অতিরিক্ত ১৩ সপ্তাহের জন্য যে আর্থিক সুবিধা দেয়ার প্রস্তাব করেছিল, কংগ্রেসের অনুমোদন না পেলে সে প্রস্তাব ডিসেম্বরের পর কার্যকারিতা হারাবে।
Posted ১০:২০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh