শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

Weekly Bangladesh নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত

অভিবাসীদের ভাগ্য বদলে দেয়ার প্রতিষ্ঠান পিপল এন টেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী

বাংলাদেশ রিপোর্ট :   |   বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

অভিবাসীদের ভাগ্য বদলে দেয়ার প্রতিষ্ঠান পিপল এন টেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী

প্রাক্তন শিক্ষার্থীর হাতে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও আবু হানিপ। পাশে ফারহানা হানিপ।

আধুনিক তথ্য প্রবাহ ও প্রযুক্তি তথা আইটি বিষয়ক শিক্ষা মানুষের ভাগ্য বদলে দিচ্ছে অভাবনীয়ভাবে। গতানুগতিক শিক্ষা ও জীবিকা নির্বাহের ধারাকে পাশ কাটিয়ে আইটি প্রশিক্ষিতরা নিজেরাই পরিবর্তন আনছেন তাদের নিজ ভাগ্যে। সম্মানজনক ও উচ্চ বেতনের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে পূরণ করছেন আমেরিকায় উন্নত জীবন-জীবিকা ও অভিবাসনের স্বপ্ন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে অনেকেই কম বেতনে অধিক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে কঠিন জীবন যাপন করছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই কঠিন এ জীবন সংগ্রাম থেকে সরে এসেছেন আইটি প্রশিক্ষণ নিয়ে লোভনীয় চাকুরি লাভের মধ্য দিয়ে। আইটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান পিপল এন টেক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিবাসী বাংলাদেশীরা নিজ ভাগ্য গড়ার পাশাপাশি স্বজনদের জীবনমান ও স্বদেশের উন্নয়নে পালন করছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

বাংলাদেশীদের আইটি প্রশিক্ষণে সম্পৃক্ত করার মহতি এ কাজের উদ্যোক্তা হচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিপ। মোহনীয় উচ্চ বেতনের চাকুির ছেড়ে দেড় যুগ পূর্বে পিপল এন টেক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তার এ কাজে ঝুঁকি ছিলো। তারপরও পিছপা হননি। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৮হাজার শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকুরি করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নামী-দামী প্রতিষ্ঠানে। আবু হানিপ অন্যদের ভাগ্য বদলের পথ যেমন প্রশস্ত করেছেন তেমনি বদলে ফেলেছেন নিজ ভাগ্য কঠোর শ্রম ও মেধা দিয়ে। পিপল এন টেক’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আবু হানিপ এখন ওয়াশিংটন ইউনিভার্সি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র চ্যান্সেলর। এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন সহস্রাধিক। যার সিংহভাগই এসেছেন বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায়। পিপল এন টেক’র মিলন মেলায় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান তাদের সাফল্য গাঁথা তুলে ধরেন। অবাক করে দেন অনুষ্ঠানের শ্রোতাদের। এমন অনেক প্রবাসীর স্বপ্নের কথা জানা গেল গত ২৩ অক্টোবর রবিবার নিউইয়র্কে ‘পিপল এন টেক’ থেকে কোর্স গ্রহণের পর বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত এলামনাইদের কাছ থেকে।


বাংলাদেশে উচ্চতর শিক্ষা শেষে পিএইচডি করেন জাপানে। এরপর ছুটে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে। ‘অড জব’ দিয়ে শুরু প্রবাস জীবনের। হতাশার মধ্যেই ‘পিপল এন টেক’র কথা শুনলেন ড. শফিউল হামিদ। ৪ মাসের কোর্স নিয়ে ঢুকে পড়েছেন আইটি সেক্টরে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে আসা উচ্চ শিক্ষিত স্ত্রী নাসরিন সুলতানাকেও পিপল এন টেক’র কোর্স নিতে বলেন। সে অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রী উভয়েই এখন মোটা আয়ের চাকরি করছেন আমেরিকার আইটি সেক্টরে।


ক্যাসিনো সিটি হিসেবে বিশ্বখ্যাত আটলান্টিক সিটি মন্দায় গ্রাস করলে কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন উচ্চশিক্ষিতা ফাতেমা ইয়াসমীন। ২০১৩ সালের ঘটনা। সেখানে ‘পিপল এন চেক’র ক্যাম্পাস চালু করা হয়। ফাতেমা ছুটে যান এবং কোর্সগ্রহণ করেন। চাকরিও জুটে যায় সাউথ ক্যারোলিনায়। এখনও সে চাকরিতেই রয়েছেন এবং আর্থিক স্বচ্ছ্বলতার প্রত্যাশাও পূরণ হয়েছে বলে উল্লেখ করলেন পিপল এন টেক’র এই মিলন মেলায় ।

পিপল এন টেক’র ভূমিকার প্রশংসাকালে মীর হোসেন বললেন, কুমিল্লা বোর্ডে আমি প্রথম স্থান নিয়ে এসএসসি করার পর খ্যাতনামা কলেজ পেরিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে আমেরিকায় এসেও ‘অড জব’ করতে বাধ্য হই। এক পর্যায়ে প্রিয়-পরিচিতজনের মাধ্যমে পিপল এন টেক’র সান্নিধ্যে এসে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরী হয়েছে। মীর হোসেন বর্তমানে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ে আইটি স্পেশালিস্ট হিসেবে চাকরির পাশাপাশি আটলান্টিক সিটিতে পিপল এন টেক’র ক্যাম্পাসে শিক্ষকতা করছেন।


আয়োজনের মধ্যমনি ছিলেন পিপলএনটেক’র প্রতিষ্ঠাতা-সিইও এবং ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। ছিলেন পিপলএনটেক’র প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএফও ফারহানা হানিপ। আর তাদের ঘিরে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া কার্যালয়ের সকল কর্মকর্তা। নিউইয়র্ক অঞ্চলের বিশিষ্টজনেরা এতে নিমন্ত্রিত ছিলেন। ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধারাও। প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আরটিভি’র সিইও সৈয়দ আশিকুর রহমান। আরো ছিলেন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রধানরা।

আর ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ তাদের শোনান তার নিজের জীবনের গল্পটিও। দেশে স্বনামধন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে এদেশে পড়তে এসে কিভাবে একটি সংগ্রামময় সময় পার করে নিজেকে এই আইটি খাতে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। আবুবকর হানিপের সে গল্প সকলের জন্যই অনুপ্রেরণার। হানিপ বলেন, নিজে দু’লাখ ডলার বেতনের চাকরি করতেন যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে কিন্তু ভেবেছিলেন একার উন্নতি শুধু নয়, আরও মানুষ যাতে এইভাবে তাদের জীবনটিকে পাল্টে দিতে পারে সেই প্রচেষ্টাই তাকে নিতে হবে। আর সেই ভাবনা থেকেই পিপলএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন। হানিপ জানান, বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষগুলোকে এদেশে সংগ্রামের জীবন থেকে বের করে এনে সুন্দর জীবন দেওয়ার ব্রত তিনি নিয়েছিলেন ১৮ বছর আগে ২০০৪ সালে। শুরুটা হয় মাত্র একজন ছাত্র দিয়ে। সেই ছাত্রটি কোর্স সম্পন্নের পর যখন পেয়ে গেলেন মূলধারায় মোটা মাইনের চাকরি… এরপর আরও ছাত্র আসতে থাকে। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে পিপল এন টেকের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। আর এই সময়ের মধ্যে ৭ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে আইটি প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারায় কাজ পাইয়ে দিয়েছে পিপলএনটেক। যারা এখন স্বাচ্ছন্দের জীবন যাপন করছেন। আর গড়ে তুলছেন নিজেদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে ভূমিকা রাখতে পারছেন বাংলাদেশের অগ্রগতিতেও।

হানিপ এক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে জানান, প্রতি বছর পিপলএনটেকের মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশকারিরা ১৬শত কোটি টাকা করে পাঠাচ্ছেন বাংলাদেশে স্বজনের কাছে। অর্থাৎ প্রথম প্রজন্মের এসব প্রবাসীর স্বজনের সিংহভাগই এখনও বাংলাদেশেই বাস করছেন। হানিপ বললেন, বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও বাস্তবতা এই যে, এদেশে জন্ম অথবা বেড়ে উঠা দ্বিতীয় প্রজন্মের অনেকে নামকরা ভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি গ্রহণ করেও চাকরি না পেয়ে পিপলএনটেকে আসছে এবং চার মাসের কোর্স সম্পন্নের পরই উচ্চ বেতনের চাকরি লাভে সক্ষম হচ্ছেন। এভাবেই পিপলএনটেক এখন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরের কর্মসংস্থানের নির্ভরযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে।

উপস্থিত সকলকে তন্ময় করে রাখা বক্তৃতায় আবুবকর হানিপ বর্তমানে তার পরিচালিত ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (ডব্লিউইউএসটি)কথা তুলে ধরে বলেন, এটি পিপলএনটেকেরই একটি ধারাবাহিকতা এবং তার দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্নপূরণ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিকে মূলধারায় এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি একটি দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে পরিচালিত। এখানকার শিক্ষকরা একাধারে স্কলার ও ইন্ডাস্ট্রি থেকে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। ইন্ডাস্ট্রি থেকে তাদের লব্দ অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা তারা নিয়ে আসছেন শ্রেণিকক্ষে। এবং তার মাধ্যমে শিক্ষাদানের কারণে শিক্ষার্থীরা দক্ষ হয়েই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্মজগতের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

এই ভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও পিপলএনটেকের প্রশিক্ষণার্থীদের মতো মূলধারায় বড় বড় কাজে যোগ দিতে শুরু করেছেন। একসময় ডব্লিউইউএসটির অ্যালামনাইরা এদেশের ফরচুন হান্ড্রেড কোম্পানির উচ্চপদে আসীন হবে এই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। এবং বলেন, এটাই তার লক্ষ্য। পিপলএনটেকের প্রেসিডেন্ট ফারহানা হানিপ বলেন, আজ আমরা আমাদের এলামনাইদের সাফল্যকেই উদযাপন করতে চাই। অ্যালামনাই এখন আর ক্যাম্পাসে নেই কিন্তু তারা সকলেই আমাদের অন্তরে রয়েছেন। কেউ কেউ এখন উচ্চ পর্যায়ে উঠেছেন, তাদের এই অর্জনে আমরা গর্বিত।

ডব্লিউইউএসটিকে সফল করে তুলতে পিপলএনটেকের অ্যালামনাইদের পাশে থাকার আহবান জানান তিনি। কমিউনিটির পক্ষ থেকে পাওয়া অব্যহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান ফারহানা হানিপ। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান গণমাধ্যমসমূহের আন্তরিক সহযোগিতাকে। পিপলএনটেকের সফল অ্যালামনাইদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথি ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, আপনাদের সাফল্য আমাদের মুগ্ধ করে এবং বাংলাদেশীদেরকে গৌরবান্বিত করে।

আবুবকর হানিপ একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি মানুষকে দিতে পছন্দ করেন। তিনি মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, শিক্ষাদান করছেন এবং একই সঙ্গে তাদের কাজ দিতে সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। অপরকে দেওয়ার এই মানসিকতাই তাকে এমন একটি উচ্চতায় নিয়ে গেছে যে, সকলেই তার জন্য গৌরববোধ করেন। বাংলাদেশি ডায়াসপোরার অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের পদচিহ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন। আবুবকর হানিপ তাদের অন্যতম একজন, বলেন কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি সৈয়দ আশিকুর রহমান পিপলএনটেকের এই সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, এমন একটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিকে সামনে এগিয়ে নিতে আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপ যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তা অনুসরনীয়।

সংস্থাটির পরিচালক ড. শফি চৌধুরীর পরিচালনায় এ অনুষ্ঠানে অতিথির মধ্যে মোহাম্মদ এন মজুমদার এবং কম্যুনিটি লিডার সৈয়দ মোস্তফা আল আমিন রাসেলও বক্তব্য রাখেন। পরে সফল অ্যালামনাইদের হাতে শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া হয়। এরপর পিপলএনটেকের সকল কর্মকর্তাকেও তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া। আবুবকর হানিপ ও ফারহানা হানিপকেও জানানো হয় বিশেষ সম্মাননা। আর সবশেষে বিশেষ অতিথি ও প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ। জাপানে পিএইচডি শেষে যুক্তরাষ্ট্রে এসেও অডজবে লিপ্ত হওয়া ড. শফিউল হামিদ দম্পতি পিপলএনটেকের মাধ্যমে মার্কিন আইটি সেক্টরে মোটা বেতনের চাকরি করছেন। তাদেরকেও বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় অ্যালামনাইদের মিলন মেলায় ।

advertisement

Posted ১২:৫১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

Weekly Bangladesh |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
Dr. Mohammed Wazed A Khan, President & Editor
Anwar Hossain Manju, Advisor, Editorial Board
Corporate Office

85-59 168 Street, Jamaica, NY 11432

Tel: 718-523-6299 Fax: 718-206-2579

E-mail: [email protected]

Web: weeklybangladeshusa.com

Facebook: fb/weeklybangladeshusa.com

Mohammed Dinaj Khan,
Vice President
Florida Office

1610 NW 3rd Street
Deerfield Beach, FL 33442

Jackson Heights Office

37-55, 72 Street, Jackson Heights, NY 11372, Tel: 718-255-1158

Published by News Bangladesh Inc.