ক্রীড়া ডেস্ক : | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
তিনজনেরই একাধিক অন্তমিল আছে। মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাফিস ইকবাল ও নাজমুল হোসেন অপু ক্রিকেটার এবং করোনা আক্রান্ত। তবে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার উৎসস্থলেও কি মিল নেই? জননেতা হিসেবে এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেছেন, সব শেষ সংসদ অধিবেশনেও যোগ দিয়েছেন। নাজমুল তো করোনার কারণে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারির পর থেকেই মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন। নাফিস ইকবাল জ্বরে পড়ার আগে পারিবারিক রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রামের ৫০ জন কোচের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই কি…?
আসলে করোনাভাইরাস কোথা থেকে কিভাবে সংক্রমিত হচ্ছে, কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। নাফিস যেমন মনে করছেন না যে, অনুজ তামিম ইকবালের অর্থ উপহার স্থানীয় কোচদের হাতে তুলে দেওয়ার দিনেই আক্রান্ত হয়ে থাকবেন তিনি, ‘ওই দিন সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনেছিলাম। আমাদের বাসায় আম্মা সবচেয়ে আগে অসুস্থ হন। সতর্কতায় তো কমতি ছিল না। হতে পারে বাজারের ব্যাগে করে ভাইরাস এসেছিল!’
মাশরাফি বাসাতেই থেকেছেন সিংহভাগ সময়। বিধি-নিষেধ আরোপের পর দুইবার নড়াইলে গেলেও ফিরে ১৪ দিন মিরপুরে আলাদা বাসায় কোয়ারেন্টিনে থেকেছেন। সব শেষ বের হয়েছিলেন ১১ জুন, বাজেট অধিবেশনে যোগ দিতে। সামাজিক দূরত্ব পালন নিয়ে সংসদ ভবনে গাফিলতির সম্ভাবনা কম। তবু সংসদ সদস্য এবং সংসদ সচিবালয়ের অনেকেই আক্রান্ত।
মাশরাফির বেলাতেও ‘সোর্স’ কি সংসদ অধিবেশনই? নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। তবে নাজমুল হোসেন অপুর সংক্রমণ যে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েই হয়েছে- এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ কম। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৯টি ম্যাচ খেললেও দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাঁ হাতি এ স্পিনার। করোনার বিস্তারের সময় শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জ বিপজ্জনক। আর সে এলাকাতেই একটা স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার যুদ্ধে নামেন তিনি। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কয়েকজন বন্ধু যেমন আছে, তেমনি নাজমুলের ত্রাণ তৎপরতায় ঢাকা থেকে অর্থ জোগান দিয়েছেন তামিম ইকবালসহ আরো কয়েক ক্রিকেটার।
গত সপ্তাহে নরসিংদীতে একটি ত্রাণ কার্যক্রম শেষে ঘরে ফিরেই অসুস্থ বোধ করেন নাজমুল, ‘গত ১৭ জুন পরীক্ষা করিয়েগত গত ২০ জুন দুপুরেই ফল পেয়েছি। পজিটিভ এসেছে। বাসায় আলাদা রুমে আছি।’
বাসায় আছেন মাশরাফি, নাফিস ইকবালও। অবশ্য সংক্রমণের সপ্তাহ পেরিয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ নাফিস। ১০১ থেকে কমে মাশরাফির জ্বর গত ২১ জুন সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় ছিল ৯৯ ডিগ্রি। ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাজমার পুরনো সমস্যা থাকলেও শ্বাসকষ্ট নেই বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা অধিনায়কের। দোয়া চেয়েছেন সবার আর অনুরোধ করেছেন, ‘করোনা নিয়ে ভয় পাবেন না। ভয় যদি পান-ই তবে আগে পাবেন, সতর্ক থাকবেন।’
Posted ৩:০৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২১ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh