বাংলাদেশ ক্রিকেটে একমাত্র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলী। যিনি অধিনায়ক হিসেবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন। বিশ্ব ক্রিকেটকে জানিয়ে দেন ‘আমরাও পারি, জিততেও পারি’। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে আকবর বনে যান ইতিহাসের সেই বিখ্যাত চরিত্র ‘আকবর দ্য গ্রেট’! তিনি যে সত্যিই ‘আকবর দ্য গ্রেট’ সেটা জানান দেন বিশ্বকাপ জিতেই। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটাই একমাত্র বড় সাফল্য। তরুণ এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে এখন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কাণ্ডারি ভাবতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সে দলে আছেন বিখ্যাত সব ক্রিকেট ব্যাক্তিত্ব ও বিশ্লেষকরা। ক্রিকেটের শীর্ষ ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর বিশেষজ্ঞরা আগামী দিনের সেরা ২০ জন ক্রিকেটারকে নির্বাচন করেছেন যারা নতুন এই দশকে মাতাবেন ক্রিকেট বিশ্ব।

সে তালিকায় রয়েছেন আকবর আলী। ক্রিকইনফোর বিশেষজ্ঞদের তালিকায় আছেন কোচ, ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, এনালিস্ট এবং বর্তমান ক্রিকেটার। এই দলে আছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও।
২০ জনের এই তালিকা তৈরি করতে অবশ্য বয়স হিসাব করা হয়নি। এই তালিকায় সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে আছেন আফগানিস্তানের নূর মোহাম্মদ, বয়স মাত্র ১৫ বছর। আর সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ক্রিকেটার হিসেবে আছেন পাকিস্তানের হারিস রউফ, তার বয়স ২৬।

যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে প্রায় আড়াই ঘণ্টার দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ৭৭ বলে ৪৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অধিনায়ক আকবর। খুব কাছ থেকে আকবরকে দেখা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের শ্রীলঙ্কান সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজও আছেন ক্রিকইনফোর বিশেষজ্ঞ প্যানেলে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আকবরদের সহকারী কোচ হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক এই লঙ্কান লেগস্পিনার। গত দুই বছরে আকবরকে কাছ থেকে দেখা ও ফাইনালে বীরোচিত ইনিংস সম্পর্কে শ্রীলঙ্কা যুব দলের সাবেক কোচ বলেন, ‘আকবর গত দুই বছরে অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে। ৭ নম্বরে ব্যাট করে দলের সবচেয়ে কঠিন কাজটিই সে করেছে। আমরা সবসময়ই জানতাম আকবরের খেলা শেষ করে আসার ইচ্ছা এবং আত্মবিশ্বাস আছে। সে যতক্ষণ মাঠে আছে ততক্ষণ আমাদের ড্রেসিংরুমের আস্থা থাকে যে আমরা খেলাটি জিততে পারি।

ক্রিকইনফোর মতে এই দশক মাতাবেন যারা

টম ব্যান্টন (ইংল্যান্ড), শুভমান গিল (ভারত), নূর আহমেদ (আফগানিস্তান), নাসিম শাহ (পাকিস্তান), জশ ফিলিপ (অস্ট্রেলিয়া), রাচিন রাবিন্দ্রা (নিউজিল্যান্ড), কার্তিক ত্যাগি (ভারত), ওলি পোপ (ইংল্যান্ড), আকবর আলী (বাংলাদেশ), ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান), জেরাল্ড কোয়েটজে (দক্ষিণ আফ্রিকা), যশস্বী জেসওয়াল (ভারত), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান), জেডেন সিলস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), হায়দার আলী (পাকিস্তান), কায়েস আহমেদ (আফগানিস্তান), জ্যাক ফ্রেশার (অস্ট্রেলিয়া), পৃথ্বী শ (ভারত), হারিস রউফ (পাকিস্তান) এবং লাসিথ এম্বুলদেনিয়া (শ্রীলংকা)।