ক্রীড়া ডেস্ক : | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশি নৃশংসতায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর থেকে বর্ণবিদ্বেষী বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ক্রিকেটার ড্যারেন স্যামি।
আইপিএলসহ নানা টুর্নামেন্টে তিনি নিজেও বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্যামি। ক্রিকেটে বর্ণবাদ নিয়ে আবারও সরব হলেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদী আন্দোলনের বিষয়ে আইসিসির নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এবার ১৯৯১ সালে প্রণীত ক্রিকেটের বাউন্সার সংক্রান্ত আইনকেও পরোক্ষভাবে বর্ণবাদী হিসেবে বর্ণনা করেছেন স্যামি।
সাবেক এই ক্যারিবীয় অধিনায়কের মতে, কৃষ্ণাঙ্গদের দমিয়ে রাখতেই বাউন্সারের ব্যাপারে আনা হয়েছে বিধিনিষেধ। কেননা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল ক্রিকেটে রাজত্ব শুরুর আগে ইচ্ছামতো বাউন্সার দিতে পারতেন ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা। যখনই কৃষ্ণাঙ্গরা ২২ গজে দাপুটে পেস আক্রমণ শুরু করলেন, তখনই বাউন্সারে সীমাবদ্ধতার বিধিনিষেধ আরোপ করলেন নিয়ন্ত্রকরা। স্যামির দাবি, কৃষ্ণাঙ্গ পেসারদের আটকে রাখার জন্যই মূলত এ নিয়ম করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইনসাইড আউট অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন ড্যারেন স্যামি। উদাহরণ দিয়ে স্যামি বলেন, ‘ফায়ার ইন দ্য ব্যাবিলন, (জেফ) থমসন-(ডেনিস) লিলিসহ অন্যরা ঠিকই জোরে বল করতেন এবং ব্যাটসম্যানদের আঘাত দিতেন। তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে এত আক্রমণাত্মক পেসার ছিল না। কিন্তু এর পর থেকে এই ডিপার্টমেন্টে কৃষ্ণাঙ্গদের আধিপত্য শুরু হলে বাউন্সারের নিয়ম আনা হয়।
স্যামি ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিযোগ করেন, এটি কে কিভাবে দেখে জানি না; কিন্তু আমার মতে, কৃষ্ণাঙ্গদের দমিয়ে রাখার জন্যই এ নিয়ম করা হয়েছে। প্রসঙ্গত সত্তর-আশির দশকে ক্যারিবীয় দলের বিশ্বজুড়ে শাসনের নেপথ্যে ছিলেন পেসাররা। তাদের হাতে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছিল বাউন্সার। এ পরিস্থিতিতে ১৯৯১ সালে আইসিসি প্রত্যেক ওভারে প্রত্যেক ব্যাটসম্যানকে একটাই বাউন্সার দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিল। ১৯৯৪ সালে আইসিসি ওভারপ্রতি দুটি বাউন্সারের নিয়ম চালু করে। নিয়ম ভাঙলে পেনাল্টি ছিল ২ রান। ২০০১ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটে ওভারপ্রতি একটি বাউন্সারের নিয়ম চালু হয়। নিয়ম ভাঙলে নো-বল হিসেবে ১ রান পেত ব্যাটিং দল। ২০১২ সালে ওভারপ্রতি দুটি বাউন্সারের নিয়ম করা হয়।
Posted ১০:০০ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh