খবরটা পুরোনোই। করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেশগুলোকে অর্থসহায়তা দেবে ফিফা। করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পুরো বিশ্বের ফুটবল। ইউরোপের কিছু দেশে ফুটবল মাঠে ফিরলেও অনেক দেশেই তা বন্ধ। ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ফের ফুটবল চালু হলেও করোনায় তা আবার স্থগিত হয়ে গেছে। ফুটবল বন্ধ হওয়া মানে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুটবল ফেডারেশনের আয়ের পথও রুদ্ধ। তাই আর্থিক সঙ্কটে ফুটবল ফেডারেশনগুলো। এই অবস্থায় ফিফা তাদের সদস্য দেশগুলোকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা দিয়েছিল আগেই। এর পরিমাণ কত সেটাই হচ্ছিল না চূড়ান্ত। গত পরশু ফিফার সভায় চূড়ান্ত হয় তা। সদস্য ২১১ দেশকে আর্থিক অনুদান দেবে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)। এতে বাংলাদেশ পাবে ১০ লাখ ডলার। টাকায় যা আট কোটি টাকা। এ ছাড়া মহিলা ফুটবল খাতেও ৫ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ। ফিফার কোভিড-১৯ রিলিফ প্ল্যানের আওতায় এই অর্থ বরাদ্ধ।

পুরুষ ফুটবলের জন্য যে ১০ লাখ ডলার মিলবে এর অর্ধেক বাফুফের ফান্ডে জমা পড়বে জুলাই মাসে। বাকিটা আগামী বছরের জানুয়ারিতে। জানান বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ। পুরুষ ফুটবলের মতো মহিলা ফুটবলেও ৫ লাখ ডলার পেতে খরচের খাত দেখাতে হবে। ফিফা অবশ্য এখনো বাফুফেকে এই অর্থ দেবে এই মর্মে কোনো চিঠি দেয়নি। শুধু তাদের সভা শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে তা। চিঠি চালাচালিতে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। মহিলা ফুটবলের অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় হবে তা বাফুফে বসে সঠিক পরিকল্পনা করেই ঠিক করবে।

এই অর্থ বাফুফের জন্য এই কঠিন সময়ে বড় পাওনা। কারণ করোনায় তাদের আয়ের প্রায় সব উৎসই বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্পন্সররা বাফুফেকে জানিয়েছে, তাদের পক্ষে করোনার এই দুঃসময়ে কোনো টাকা দেয়া সম্ভব নয়। আপাতত ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক কোনো খেলা নেই বাংলাদেশের। তাই রক্ষা। তা না হলে অর্থ সঙ্কট মারাত্মকভাবে ভোগাতো তাদের। অবশ্য অক্টোবর থেকে শুরু বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্ব। এতে বাংলাদেশের তিনটি হোম এবং একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। তখন বড় অংকের টাকা দরকার। ফিফা থেকে অ্যাওয়ে ম্যাচ খাতে টাকা পায় বাফুফে। ফেডারেশন অবশ্য এই অর্থ হোটেল বিল বাবদই আদায় করে।
অবশ্য বাফুফের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর অর্থ সঙ্কটের কোনো প্রভাব পড়ে না। এই প্রশাসনিক কাজের পুরো টাকা ফিফা পরিশোধ করে। আর কোচদের বেতন আসে এএফসি থেকে।