বাংলাদেশ অনলাইন : | রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
আগে চলাফেরা করতেন একটি পুরোনো মোটরসাইকেলে। সংসদ সদস্য হওয়ার দু’মাস পরই ৩৪ লাখ টাকা খরচ করে কেনেন একটি আধুনিক গাড়ি। এরপরই বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলুকে নিয়ে আলোচনা শুরু।
ক’দিন আগে পিস্তলসহ ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর ‘ভাইরাল’ হন তিনি। গত ৯ অক্টোবর থেকে পিস্তলসহ এমপির ছবি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই শনিবার তার টাইমলাইনে মিলেছে অশ্নীল ছবির সন্ধান।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখান। কীভাবে অস্ত্রের পর নগ্ন ছবি নিজের ফেসবুকে গেল- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজাউল করিম বাবলু বলেন, হয়তো কেউ আমার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড জেনে গেছে। এরপর ওই ব্যক্তি ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রথমে অস্ত্রের ছবি ও পরে নগ্ন একটি ছবি দিয়েছে। পরে আমি ওই নগ্ন ছবি ডিলিট করে দিয়েছি। তবে আমার ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়নি।
এমপি আরো জানান, মাসখানেক আগে তিনি অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে অস্ত্র কিনতে মতিঝিলের ‘আলী আর্মস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে যান। সেখান থেকে ৭৫ হাজার টাকায় একটি পিস্তল কিনেছেন। অস্ত্র কেনার সময় তার সঙ্গে পাঁচ/সাতজন কর্মী ছিল। তারা সব সময় তার সঙ্গে থাকে। অস্ত্র নেড়েচেড়ে দেখার সময়ই হয়তো কোনো কর্মী ছবি তুলে ফেলেছিল, যেটি পরে ফেসবুকে ছড়িয়ে যায়।
রেজাউল করিম বাবলু আরো জানান, অস্ত্রসহ ছবি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই তাকে ফোন করেছে। জনসমক্ষে প্রদর্শন বা কাউকে লক্ষ্য করে অস্ত্র তাক করেননি দাবি করে তিনি বলেন, যেখান থেকে অস্ত্র কিনেছি, সেই জায়গাটি কাচের গ্লাসে আবৃত। যখন আমি অস্ত্র দেখছিলাম, তখন গ্লাসের বাইরে থেকে কেউ আমার ছবি তুলেছিল।
তেজগাঁও থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, এমপি একটি জিডি করেছেন। কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত, আমরা খুঁজে দেখব।
Posted ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh