নিউইয়র্ক : | বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেন্টশিয়াল লাইভ টাইম অ্যাওয়ার্ড’ এবং লন্ডনের ‘বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড’ লাভকারী নিউইয়র্কের বিখ্যাত খলিল বিরিয়ানী হাউজ-এর প্রধান শেফ ও সিইও মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেছেন বাংলাদেশী ফুড প্রমোটের পাশাপাশি আমেরিকান সকল শ্রেনীর মানুষের কাছে দেশীয় খবার তুলে ধরতে আমরা কাজ করে চলেছি। তিনি বলেন, আমেরিকায় কারী ইন্ডাষ্ট্রিকে আরো শক্তিশালী করতে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি ২০২৩ সাল থেকে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ চালুর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। খলিল ফুড ফাউন্ডেশের উদ্যোগ ও আয়োজনে আগামী বছরের শেষের দিকে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। নিউইয়র্কের বাংলা মিডিয়ার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিয়কালে শেফ খলিলুর রহমানের ঘোষণা এই ঘোষণা দেন।
নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস্থ খলিল বিরিয়ানী হাউজে ১৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস এন্ড এপ্রিশিয়েশন ডিনার’ শীর্ষক মতবিনিয় সভা পরিচালনা করেন সাংবাদিক শামীম আল আমিন। এতে শেফ খলিলুর রহমান বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি তার বক্তব্যে খলিল বিরিয়ানীর প্রচার, প্রসার ও জনপ্রিয়তার জন্য মিডিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এজন্য সকল মিডিয়া এবং সম্পাদক ও সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। নিউইয়র্ক (ইউএনএ)
এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, গতানুগতিক অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান নয়, যোগ্যদের যোগ্য সম্মান জানাতেই এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। আর এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য কোন পৃষ্ঠপোষকের উপর নির্ভর করা হবে না, খলিল ফুড ফাউন্ডেশন এর সকল ব্যয় বহন করবে। তবে কোন স্পন্সর পাওয়া গেলে তা গ্রহণ করা হবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বৃটিশ কারি অ্যাওয়ার্ড বিশ্বের কারি শিল্পের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় অ্যাওয়ার্ড। সেখানে সবাই মিলে এই অ্যাওয়ার্ড সেরেমোনিতে অংশ নেন।
সবার শ্রম আর অংশগ্রহণের ফলে এটি এমন নাম করেছে। তাই আমরাও যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারি তাহলে আমরাও ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান সফল ও জনপ্রিয় করতে পারবো। আর এমন অনুষ্ঠান এই কারি শিল্পকে যেমন সমৃদ্ধ করবে, তেমনী যারা এই ব্যবসায় জড়িত তারা কাজের স্বীকৃতি পেলে আরো উৎসাহিত হবেন। তিনি বলেন, সবাইকে নিয়েই ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল থাকবে। যেখানে আমার বা স্পন্সরদের কোন প্রাধান্য থাকবে না বা কারো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ‘সেই রকম মানসম্মত অনুষ্ঠান’ করতে পারলে করবো, না হলে করবো না।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে খলিলুর রহমান বলেন, আসলে সব দেশেরই নিজস্ব খাবার রয়েছে। আকার ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অনেক খাবার কমন খাবার হিসেবে বিভিন্নভাবে ভোজনরশিকদের কাছে জনপ্রিয়। যেমন- বিরিয়ানী প্রথম ভারতে তৈরী হয় মোগল আমলে। পরবর্তীতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এই বিরিয়ানী নিজস্বভাবে তৈরী হচ্ছে। তাই সকল খাবার মিলেই কারি শিল্পকে সমৃদ্ধ করছে। তবে আমার খাবার আইটেমে বাংলাদেশী খাবারের ফ্লেবার রাখার চেষ্টা করবো এবং ‘বাংলাদেশী ফুড’ হিসেবে সবার কাছে পরিচিত করতে চাই। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা খলিল ফুড বা আমাদের সার্ভিসের সমালোচনাকে স্বাগত জানাই এবং এসব সমালোচনা গুরুত্বের সাথে গ্রহণ ও বিবেচনা করে খাবার ও সেবার মান ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।
তিনি বলেন, যেকোন মূল্যে খলিল ফুডস’র মান বজায় রাখা হবে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বলেন, ভালো খাবারের দাম একটু বেশী হবে। আমরা ভালো খাবারের ব্যাপারে কোন আপোষ করি না বলেই হয়তো আমাদের খাবারের দাম অনেকের কাছে বেশী মনে হয়। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে খলিলুর রহমান বলেন, ‘খলিল ফুড ফাউন্ডেশন’ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিউনিটি সেবায় কাজ করবে।
Posted ১২:৫১ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh