বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২২
চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা লক্ষ্যণীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্টে ব্যুরো অফ লেবার স্ট্যাসিস্টিকসের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে উৎপাদনশীলতার দিক থেকে শ্রমিকদের বর্তমান উৎপাদনশীলতা ১৯৪৭ সালের পর্যায়ে নেমে গেছে। রিপোর্টে এই সূচককে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় অর্থনীতির জন্য একটি অশনি সংকেত হিসেবে ধরে বলা হয়েছে যে করোনাকালে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের কারণে উৎপাদন বা সেবা অব্যাহত থাকলেও তাতে নিশ্চিতভাবে এক ধরনের স্থবিরতা ছিল।
কলকারখানায় পন্য প্রস্তুতে উৎপাদনশীলতা বেড়েছে, কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রকোপ হ্রাস পাওয়ার পর উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে সেই করোনাজনিত স্থবিরতা এখন পর্যন্ত কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না হওয়ায়। কিন্তু সার্ভিসের ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে এই স্থবিরতার কারণে। ডার্থমাউথ কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ডিয়েগো কমিন বলেছেন, জ্ঞান চর্চামূলক ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন তাদের উৎপাদনশীলতা পরিমাপ করা কঠিন, কারণ তাদের অবদান পরিমাপ করা যায় না।
গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই এবং মেটা’র (ফেসবুক) সিইও মার্ক জুকারবার্গ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছেন এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজের নিম্ন হারের কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করে কাজ বৃদ্ধি করে সন্তোষজনক পর্যায়ে আনার জন্য আহবান জানাচ্ছেন। মাইক্রেসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা বলেছেন যে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য তার কোম্পানি “প্রডাকটিভিটি প্যারানোয়া” টার্ম ব্যবহার করছেন এবং কর্মীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।
শুধু তারাই নন, সকল বড় বড় প্রতিষ্ঠান, তা পন্য উৎপাদন খাত হোক , বা সেবা খাত হোক, সর্বত্র উৎপাদনশীলতা করোনা ভাইরাস মহামারীর আগের পর্যায়ে নেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এখন পর্যন্ত তাদের কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌছতে পারেননি বলে ক্রমেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন।
বহু প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা তাদের কর্মীদের কাজের ওপর নজরদারি করার জন্য সফটওয়ার ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। কিন্তু মাইক্রেসফটের প্রধান নাদেলা মনে করেন যে, নজরদারির মত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের মধ্যে আস্থার সংকট সৃষ্টি হতে পারে, যা উৎপাদনশীলতায় আরো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কর্মীরা যদি অনুভব করেন যে তারা নিজ নিজ কাজে নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও এখতিয়ার নিয়ে কাজ করতে সক্ষম, তাহলে ব্যবসা সফল ও উৎপাদনশীল হয়ে উঠতে পারে।
একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কৃষি বহির্ভূত কাজে, যেখানে ঘন্টা হিসেবে পারিশ্রমিক বা মজুরি প্রদান করা হয়, সেসব খাতে এক বছর আগের চেয়ে উৎপাদনশীলতা কমেছে ২.৫ শতাংশ। চলতি বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টাারে এই হ্রাস দেখানো হয়েছে ৪.৬ শতাংশ। অন্যদিকে কর্মী সংকটের কারণে চলতি বছর ১২.৭ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।
Posted ১২:৫৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh