বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শুরুর দিকে আর্জেন্টিনা কিছুটা অগোছালো ছিল। কিন্তু সময় গড়িয়ে ম্যাচটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। আনহেল দি মারিয়ার একমাত্র গোলে বহু কষ্টে উরুগুয়ের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে এ জয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের স্থান নিশ্চিতের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। খবর রয়টার্স ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
১৩ নভেম্বর (শনিবার) ভোরে উরুগুয়ের মাঠ মন্তেভিদিও থেকে জয় ছিনিয়ে আনেন লিওনেল মেসিরা। যদিও এদিন ম্যাচ শুরুর একাদশে মাঠে নামেননি দলের সেরা তারকা মেসি। আহত হওয়ার কারণে পিএসজি স্ট্রাইকার ম্যাচের ১৫ মিনিট বাকি থাকতে বদলি হয়ে মাঠে নামে।
এদিন ম্যাচের সপ্তম মিনিটেই গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ডান দিক থেকে পাওলো দিবালার পাস পেয়ে ডি-বক্সে ধরে গোলে শট নেন পিএসজি মিডফিল্ডার দি মারিয়া। বল উরুগুয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেয়। এরপর আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ হলেও দু’দলের আর কেউ গোলের দেখা পায়নি।
খেলার ৩২তম মিনিটে গোল বঞ্চিত হয় উরুগুয়ে। লুইস সুয়ারেসের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও পোস্টে লেগে ফেরে। ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ স্ট্রাইকার নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট।
আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও ম্যাচে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে উরুগুয়ে। ফলে বিরতির পরও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে দলটি। পঞ্চম মিনিটে আবারও আর্জেন্টিনার সীমানায় উরুগুয়ের হানা। এ যাত্রায় ডি-বক্সে ঢুকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন হোয়াকিন পিকেরেস। আর ৮৪তম মিনিটে আলভারেস মার্তিনেসের হেড ক্রসবারের একটু ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।
তবে শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি উরুগুয়ে। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।
২০২২ কাতার বিশ্বকাপের বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার এটি অষ্টম জয়। সঙ্গে চার ড্রয়ে ১২ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। ব্রাজিল ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। মেসিদের চেয়ে ৮ পয়েন্ট কম নিয়ে তিন নম্বরে আছে ১৩ ম্যাচ খেলা একুয়েডর। সমান ম্যাচ খেলে যথাক্রমে পরের তিনটি স্থানে আছে চিলি, কলম্বিয়া ও উরুগুয়ে। তাদের সবার পয়েন্ট ১৬।
এ অঞ্চল থেকে শীর্ষ চারটি দল কাতার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার টিকেট পাবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে অফ। আর্জেন্টিনা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৬ ম্যাচে অপরাজিত আছে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তাদের আর হারের তিক্ত স্বাদ নিতে হয়নি।
Posted ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh