বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে দক্ষিণ সীমান্ত পেরিয়ে আগত বিদেশি অর্থ্যাৎ যুক্তরাষ্ট্রে এসাইলাম প্রার্থীদের ক্ষেত্রে দুই ধরনের আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ সম্পর্কে গত শনিবার এসোসিয়েটেড প্রেসের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে রিও গ্র্যান্ডে নদী পেরিয়ে আসা ১২০ জন কিউবান, কলাম্বিায়ন ও ভেনিজুয়েলাননকে ইউএস বর্ডার পেট্টলের বাহনে উঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে এনে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাতে তারা তাদের ইমিগ্রেশন আবেদন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে পারে নিকটস্থ এসাইলাম অফিসে গিয়ে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে করতে এসে সীমান্তে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে মেক্সিকোর পেয়েদ্রাস নেগ্রাস সিটিতে গাদাগাদি হয়ে অপেক্ষা করছে বহু হন্ডুরান পরিবার, কেউ রাস্তার সাইডওয়াকে ঘুমাচ্ছে, সরু গলিতে আশ্রয় নিয়েছে- তারা জানে না তাদের অনিশ্চিত দিনগুলোর অবসান ঘটবে কিনা।
একই দেশের সীমান্ত রক্ষীদের এই বিপরীতমুখী আচরণের পেছনে রয়েছে একদিকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন প্রশাসনের আরোপিত প্যানডেমিক টাইটেল ৪২ নামে একটি বিধি, যা ১৯৪২ সালে প্রণীত একটি আইন, যে আইনে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সীমান্ত দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ না করতে দেওয়ার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এখন ৪২ বিধির প্রয়োগের অবসান ঘটাতে চাইলেও গত সপ্তাহের সোমবার লুইজিয়ানার ফেডারেল বিচারক সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে ৪২ বিধি প্রয়োগ বহাল রাখার পক্ষে আদেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, টাইটেল ৪২ এর অধীনে অতীত থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত অসংখ্য বার এসাইলাম আবেদন করতে আগ্রহী বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধা প্রদান করা হয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এসাইলাম গ্রহণে আগ্রহীদের সীমান্ত পথে প্রবেশ করতে দিতে অনেকটা বাধ্য, কিন্তু কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রোধ করতে ৪২ টাইটেল প্রয়োগ করে তাদেরকে সীমান্তের অপর পারে মেক্সিকোকে অবস্থানে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু টাইটেল ৪২ সমভাবে সকল দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো তা একইভাবে অনুসরণ করছে না।
যেমন যুক্তরাষ্ট্র যেসব বিদেশিকে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেবে তাদের মধ্যে মেক্সিকো হন্ডুরাস, গুয়েতেমালা, এল সালভেদরের নাগরিকদের তাদের দেশে স্থান দিতে সম্মত হলেও অন্য দেশের নাগরিককে স্থান দিতে সম্মত নয়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অনৈক দেশের নাগরিককে তাদের ভূখন্ডে প্রবেশ করতে দিতে আপত্তি জানায় মুখ্যত অবৈধভাবে প্রবেশকারীদের জন্য উচ্চ ব্যয়, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে দুর্বল কূটনৈতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে ওইসব বিদেশিদের তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিমান ভাড়া সংকুলান করার সমস্যার কারণে। অবশ্য গত এপ্রিলে মেক্সিকো কিছু সংখ্যক কিউবান ও নিকারাগুয়ানকে গ্রহণে রাজি হয়েছে, কিন্তু উল্লেখযোগ্য সংখ্যককে ছেড়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে।
Posted ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh