বাংলাদেশ অনলাইন : | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ওমানের আল আমেরাত ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২৬ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ওমান ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে খেলে ১২৭ রান করতে সমর্থ হয় তারা। টাইগার বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ৩টি এবং মোসতাফিজুর রহমান ৪ উইকেট তুলে নেন।
ওমানের বিপক্ষে এ জয়ে এখন সুপার টুয়েলভে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল টাইগাররা। বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারে। ফলে ওমানের বিপক্ষে জয় তুলে নিতে এমন পরিসংখ্যান মাথায় রেখে দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নামে।
আগামী ২১ অক্টোবর বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে। সে ম্যাচটিতেও জয় পেতে হবে টাইগারদের। সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে ওমান ও স্কটল্যান্ডের ম্যাচে। সে ম্যাচে যদি স্কটল্যান্ড জয় পায় তাহলে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়ে যাবে পরবর্তী রাউন্ডে। অপরদিকে ওমানের বিপক্ষে যদি স্কটল্যান্ড হেরে যায় তখন নেট রানে যারা এগিয়ে থাকবে সে দুটি দল যাবে সুপার টুয়েলভে।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশের দেয়া ১৫৪ রানের লক্ষে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করে ওমান। কিন্তু শেষ দিকে টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। এদিকে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চাপে পরে টাইগাররা। তবে চাপে পরলেও নাঈম শেখ ও সাকিব আল হাসান দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাড়িয়ে টাইগারদের চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দিতে সমর্থ হন।
ম্যাচটিতে পঞ্চম বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়েন নাঈম শেখ। তিনি ৫১ বল খেলে ৬৪ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে হাফসেঞ্চুরির পথে থাকা সাকিব ২৯ বল খেলে ৪২ রান করে রান আউট হন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যদি তিনি রান আউট না হতেন তাহলে হয়তো বাংলাদেশের রানটা আরো বাড়ত। নাঈম ও সাকিবই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন। অপরদিকে ওমানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট তুলে নেন ফায়াজ বাট ও বিলাল খান। তবে তাদের মধ্যে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বিলাল খান। তিনি ১৮ রানে তিনটি উইকেট তুলে নেন।
ম্যাচটিতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ভালো করতে না পারায় জায়গা হারান সৌম্য সরকার। তার জায়গায় আসেন নাঈম শেখ। নাঈমকে নিয়ে ওপেনিংয়ে আসেন লিটন দাস। কিন্তু মাত্র ৭ বল খেলে ৬ রান করে বিলাল খানের দুর্দান্ত বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে যান। এরপর দ্রুত রান তোলার জন্য ওয়ান ডাউনে নামানো হয় স্পিনার মেহেদী হাসানকে। কিন্তু ৪ বল খেলে কোন রান না করার আগে ফায়াজ বাটের বলে ক্যাচ আউট হন। তার ক্যাচটিও ধরেন ফায়াজ বাট। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। আর অপর প্রান্তে আগলে ধরে রাখেন নাঈম শেখ। কিন্তু ম্যাচের ১৩ ওভারে ও দলীয় ১০১ রানে সাকিব অসাবধানতার কারণে রান আউট হয়ে যান। তাকে ডাইরেক্ট থ্রোতে আউট করেন আকিব। এরপর ক্রিকেট আসেন নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের আগে তাকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয়। কিন্তু তিনি ৪ বল খেলে ৩ রান করে জিসান মাকসুদের বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন। মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক আরো অপেক্ষা করে আফিফকে নামান। কিন্তু তিনি ৫ বল খেলে ১ রান করে কলিমুল্লাহর বলে আউট হন। এরপর নাঈম সেই কলিমুল্লার বলেই আউট হন। ফলে প্রায় একই সঙ্গে মাঠে আসেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। মুশফিক ৪ বলে ৬ রান করে ফাইয়াজ বাটের বলে উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। এরপর মাহমুদউল্লাহ ১০ বলে ১৬ করে বিলালের বলে সরাসরি বোল্ড হন।
ম্যাচটিতে ওমান তিনটি চারটি ক্যাচ হাতছাড়া করে। যদি তারা ক্যাচগুলো হাতছাড়া না করত তাহলে হয়তো প্রথম দিকেই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে আরো বেশি ধস নেমে যেত। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৯ রান করতে পারে। এরপর সাকিব ও নাঈম মিলে হাত খুলে মারতে থাকেন।
Posted ৬:১২ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh