আগামী ২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠেয় সিটি কাউন্সিল ডিষ্ট্রিক্ট ২৪ এর বিশেষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী দীপ্তি শর্মা।

নিজে ইমিগ্রান্ট মা-বাবার সন্তান হিসেবে ইমিগ্রান্ট কমিউনিটির দু:খ-দুর্দশা, সমস্যা ও প্রয়োজনগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। কারণ তার মা-বাবাকেও যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন ও বেড়ে উঠেছেন। কুইন্সে বসবাসকারীদের সমস্যা তার নিজের সমস্যা এবং তিনি সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে সমস্যা সমাধান করবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন। বর্তমানে তিনি তার স্বামী অভিনব ও দুই সন্তান জুবিন ও চেতনকে সহ কুইন্সের ফ্লাশিং এ বসবাস করছেন, যেখানে তার জন্ম হয়েছে।

কোভিড ১৯ মহামারী বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্কে যে অর্থনৈতিক সংকটের সৃষ্টি করেছেন তা চাঙ্গা করার জন্য অবদান রাখতে তিনি সিটি কাউন্সিলের সাথে কাজ করতে আগ্রহী, যাতে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা পুনরায় বিনিয়োগে উৎসাহী হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ক্রেতা ও সেবাগ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করতে এগিয়ে আসেন। দুই সন্তানের মা দীপ্তি শর্মা কোভিড ১৯ ক্ষতিগ্রস্থ, যারা কারো সহায়তা না পাওয়ার কারণে যথাযথভাবে আনএমপ্লয়মেন্ট বেনিফিট পাননি, তাদের বেনিফিট পাওয়ার ব্যবস্থা অথবা এই সংকট মোকাবিলায় অন্য কোনভাবে তাদেরকে সাহায্য করা যায় কিনা, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খোঁজখবর নিয়ে আসছেন। দীপ্তি “ফুড টু ইট” নামে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, যা স্থানীয় রেষ্টুরেন্টগুলোর বিকাশে অবদান রাখছে।

নিউইয়র্ক সিটিতে চাহিদার তুলনায় মানুষের আয়ের তুলনায় তাদের সাধ্যের মধ্যে বাড়ি পাওয়া কঠিন; কুইন্সে তা আরো কঠিন। মানুষের সাধ্যের মধ্যে আবাসনের ব্যবস্থা অনেকটাই দু:স্বপ্ন। কুইন্সে বাড়ির দাম যেমন বেড়েছে, বাড়ি ভাড়াও বেড়েছে। ফলে এক পরিবারের জন্য বাড়িতে একাধিক পরিবার গাদাগাদি করে বসবাস করছে। আয় স্বল্পতার কারণে অনেকে বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় হাউজিং কোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্বাচিত হলে দীপ্তি শর্মা এ পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সাধ্যমত চেষ্টা চালাবেন। শুধু আবাসন সমস্য নয়, চাইল্ডকেয়ার ব্যয় প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেড়ে চলায় কর্মজীবী মা-বাবার পক্ষে তাদের সন্তানদের চাইল্ডকেয়ার হোমে রেখে লালন করা ক্রমেই সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। কুইন্সে গণপরিবহন ব্যবস্থাও অত্যন্ত অপ্রতুল। নির্বাচিত হলে তিনি এসব সমস্যা মোকাবিলায় অবদান রাখতে বদ্ধপরিকর।