বাংলাদেশ ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসী কর্মীদের জোর করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৭০০ জন অভিবাসী কর্মী ফিরে এসেছেন। এদের মধ্যে ৭৮ শতাংশকে জোর করে পাঠানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোরপূর্বক প্রবাসী ফেরত পাঠানো দেশগুলোর সঙ্গে সরকারের এখনই আলোচনা করা উচিত। করোনার প্রভাব ও কর্মী ফেরত আসায় দেশে চলতি বছর রেমিট্যান্স প্রবাহ ২২ শতাংশ কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এক ভার্চুয়াল সেমিনারে গত ২২ জুন এসব তথ্য উঠে এসেছে। বেসরকারি সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (আরএমএমআরইউ) ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে। এটি সঞ্চালনা করেন আরএমএমআরইউর প্রতিষ্ঠাতা ড. তাসনিম সিদ্দিকী।
সেমিনারে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, নানা কারণেই অভিবাসী কর্মীদের ওপর খক্ষ আসবে এমনটি আমরা আগ থেকে আশঙ্কা করছিলাম। কোভিড-১৯-এর কারণে ওই ক্ষত ত্বরান্বিত হয়েছে। তিনি বলেন, অভিবাসীকর্মী ফেরত পাঠানোর কারণে রেমিট্যান্স ২২ শতাংশ কমে যেতে পারে। এটা শুধু প্রবাসীদের সমস্যা নয়, আমাদের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে। সরকার এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের অনেক কর্মী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না নিয়েই বিদেশে যান। এ কারণে সরকার চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ জন্য ব্যক্তিগত সচেতনতা থাকা প্রয়োজন।
শ্রমিক ফেরত পাঠানো দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর যেসব দেশ আইন লঙ্ঘন করে শ্রমিক ফেরত পাঠাচ্ছে, সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ফেরত আসা শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ কিভাবে আদায় করতে পারি- সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু তাই নয়, যেসব দেশ থেকে শ্রমিক ফিরে আসছে, সেসব দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা কী করছেন, তাও দেখা দরকার।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ফিরে আসা ৬ হাজার শ্রমিককে বিমানবন্দরে ৫ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এই টাকা তাদের খুব একটা কাজে আসে না। ফেরত আসা শ্রমিকদের বেশি টাকা দিতে পারলে তারা তা বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। সরকার প্রবাসী শ্রমিকদের ২০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। ওই টাকা অভিবাসীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে, যাতে তারা বিনিয়োগ করতে পারেন।
Posted ১২:৩১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৩ জুন ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh