বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | বুধবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২১
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে কোন দল নেতৃত্ব দেবে তার ভাগ্য নির্ধারণী নির্বাচনে মঙ্গলবার রাজ্যের ১৫৯টি কাউন্টিতে ভোট দিয়েছেন জর্জিয়াবাসী। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান সিনেটর কেলি লোয়েফলার ও ডেভিড পারডুর সঙ্গে লড়ছেন ডেমোক্রেট রাফায়েল ওয়ারনক ও জন ওসফ। ইতোমধ্যেই জয় নিশ্চিত করছেন রাফায়েল ওয়ারনক। সিএনএন
ফলে জর্জিয়ার ইতিহাসে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সিনেটর নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দলকে সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার লড়াইয়েও এক ধাপ এগিয়ে দিলেন। মার্কিন গণমাধ্যমগুলো বলছে, দীর্ঘ ১২ বছর পর হোয়াইট হাউস ও কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে ডেমোক্রেট দল।
পুরো যুক্তরাষ্ট্র এখন তাকিয়ে আছে পারডু ও ওসফের লড়াইয়ের দিকে। সর্বশেষ গণনা হওয়া পর্যন্ত ওসফ এগিয়ে থাকলেও দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান খুবই সামান্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ডেমোক্রেট দল দুই আসনেই জিততে চলেছে। অর্থাৎ জয়ের পাল্লা এখন পর্যন্ত ডেমোক্রেট প্রার্থীর দিকেই ভারী হয়ে আছে। আবার যদি দুই প্রার্থীর মধ্যে জয়ের ব্যবধান ০.৫ শতাংশ হয় তবে পিছিয়ে থাকা প্রার্থী পুর্নগণনার আবেদন করতে পারবেন।
ওয়ারনকের জয়কে দেশটির সুইং স্টেট খ্যাত জর্জিয়ার রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে ধরা হয়েছে। দক্ষিণ পন্থী এই রাজ্যে ১৯৯২ সালের পর প্রথম কোনো ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেন নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। এবার সিনেট নির্বাচনেও ডেমোক্রেটদের এগিয়ে থাকা জর্জিয়াবাসীর রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনেরই কথা বলছে।
বর্তমানে সিনেটে রিপাবলিকান আসন ৫০টি ও ডেমোক্রেট ৪৮টি। এই দুই আসনে ডেমোক্রেট দুই প্রার্থী জয় পেলে দুই দলের আসনই সমান হবে। তবে সেক্ষেত্রে মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী ডেমোক্রেট ভাইস- প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস টাই- ব্রেকিং ভোটটি দেবেন। মার্কিন সিনেটের হাতে মন্ত্রীপর্যায়ের পদ ও বিচারবিভাগীয় নিয়োগের অনুমোদন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ নীতি অনুমোদনের ক্ষমতা থাকায় সিনেটের নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওসফ যদি জয় পান তবে ২০০৮ সালের পর এই প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের দুই কক্ষ হাউস ও সিনেটসহ হোয়াইট হাউসে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে ডেমোক্রেট দল।
Posted ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh