জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন- জেবিবিএ মেলার আয়োজন করে ১৭ জুলাই রেববার। সংগঠনের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের ৩৭ রোড ও ৭৭ এভিনিউয়ে আয়োজিত মেলা জুড়ে দিনভর ছিলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির আবহ। নাচ, গান, আড্ডা, খাবারও বিভিন্ন পন্যের বাহারি স্টল এবং আকর্ষণীয় র‌্যাফল ড্র ছোটবড় নারী পুরুষ সবাইকে আকৃষ্ট করে। প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও ভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের পদচারনাও ছিল মেলায়। মূলধারার নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে তোলে মেলার মর্যাদা। চমৎকার আবহাওয়ায় পড়ন্ত বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে ঢল নামে মানুষের। দেশ ও প্রবাসের খ্যাতিমান শিল্পীদের পরিবশেনা আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে। মেলায় ঢেউ বয়ে যায় আনন্দের।

বিশাল মঞ্চে ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী এস আই টুটুল ও রিজিয়া পারভীন। প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা মঞ্চে প্রথম গান পরিবেশন করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন চন্দন চৌধুরী, স্মৃতি সারাহ, কামরুজ্জামান বকুল, শামীম সিদ্দিকী, শাহ মাহবুব, রোকসানা মির্জা, আফতাব জনি, আমানত হাসান, তৃণিয়া হাসান ও শিশুশিল্পী বারাক হোসাইন। সাংস্কৃতিক পর্ব যৌথভাবে পরিচালনা করেন প্রবাসের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা শারমিনা সিরাজ সোনিয়া এবং জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী রিটা ফারিহা রিচি সোলায়মান।

কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডনাভান রিচার্ডস দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করেন । তিনি ছোট ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে পৌঁছলে তাকে ঢাকঢোল বাজিয়ে স্বাগত জানান জেবিবিএ কর্মকর্তারা। পরে মঞ্চে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন ডনোভান রিচার্ডস। এসময় তিনি বলেন, নিউইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটি দিন দিন বিস্তৃত হচ্ছে। তারা বিশাল আয়োজনে নিজেদের সংস্কৃতি তুলে ধরছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারারায় ভালো করছেন। তাদের নেতৃত্ব বেশ প্রশংসনীয়। অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ১১৫ প্রিসিঙ্কটের কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স অফিসার গঞ্জালেসকে । তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন বরো প্রেসিডেন্ট ডনোভান রিচার্ডস।

স্বাগত বক্তব্য দেন জেবিবিএ’র সভাপতি হারুণ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, পথমেলার আহ্বায়ক মনসুর চৌধুরী, সদস্য সচিব বাবু খান, পথমেলার যগ্ম আহ্বায়ক ইশতিয়াক রুমি, সহ-সদস্য সচিব মো. আলম নমী, মেলার অন্যতম টাইটেল স্পন্সর রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মঈনুল ইসলাম ও নূরুল আজিম। অনুষ্ঠানে কমিউনিটিতে বিশেষ অবদানের জন্য অ্যাসেম্বলিওম্যান জেসিকা গঞ্জালেস রোহাস, কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়া পুনরায় ডেমোক্রেটিক পার্টির কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ নির্বাচিত হওয়ায় অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। র‌্যাফেল ড্র ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সেলিম হারুন, মীর নিজামুল হক, সনাতন শীল, মেলার ম্যানেজমেন্টে ছিলেন আবু নোমান শাকিল, হোসেন সোহেল রানা, আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, মোহাম্মদ কাশেম ও ফয়সাল আজিজ।

স্টল কমিটিতে ছিলেন মাহমুদ হোসাইন বাদশা, আনোয়ার হোসেন ও সেলিম হারুন। নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কাজী শামসুদ্দোহা, আনোয়ার জাহিদ, জসি চৌধুরী, ফেমড রকি। সাংস্কৃতিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন এম আর খন্দকার সেন্টু।মেলার মূল আকর্ষণ ছিল রাফেল ড্র। এতে প্রথম পুরস্কার ছিল নগদ পাঁচ হাজার ডলার, দ্বিতীয় পুরস্কার দুই হাজার ডলার এবং তৃতীয় পুরস্কার ছিল এক হাজার ডলার। এছাড়া চতুর্থ পুরস্কার ৬৫ ইঞ্চি টিভি, পঞ্চম পুরস্কার ছিল ৫০ ইঞ্চি টিভি, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম পুরস্কার ছিল তিনটি আইফোন এবং নবম ও দশম পুরস্কার ছিল ল্যাপটপ।

সার্বিকভাবে সক্রিয় থেকে জেবিবিএ মেলাকে যারা সফল করেছেন তারা হলেন, সভাপতি হারুন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান, মেলার আহ্বায়ক মনসুর চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক ইশতিয়াক রুমী ও সাখাওয়াত বিশ্বাস, সদস্য সচিব বাবু খান, সহ-সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলম নমি ও আব্দুল হামিদ, প্রধান সমন্বয়কারী লিটু চৌধুরী, সহ-সমন্বয়কারী মাসুদ রানা তপন ও শাহ চিশতী। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মোহাম্মদ এ আজাদ, অভ্যর্থনায় ছিলেন পিয়ার মোহাম্মদ, কাজী মন্টু, শাকিল মিয়া, মোহাম্মদ আজিজ, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান কামরুল, ড. রফিক আহমেদ, রাশেদ আহাম্মদ, নাজমুন্নাহার রহমান, মোশাররফ হোসেন, সাজ্জাদ হোসাইন, নিলুফার শিরিন, মাসুদ মোরশেদ, শ্যামল নাথ, শাহরিয়ার আরিফ, আজিজুল চৌধুরী। মঞ্চ কমিটিতে ছিলেন মহসিন ননী, রুহুল আমিন সরকার, এমকে রহমান, সারওয়ার চৌধুরী, আফতাব জনি, আমিন ম্যাক।