মোহাম্মদ আজাদ : | বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২১
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্ট হওয়ার ভয়ে তিনি চারবছর আত্মগোপন করে ছিলেন চার্চের ভেতর। হোজে সিকাস নামে এই ব্যক্তি একজন প্যাস্টর বা যাজক। এল সালভেদর থেকে আগত ৫৫ বছর বয়স্ক ইমিগ্রান্ট।
হোজের উপর ২০০২ সাল থেকে ঝুলছিল ডিপোর্টেশনের খড়গ। তার বিরুদ্ধে ডিপোর্টেশন আদেশ আসে মূলত মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো এবং ডমেষ্টিক ভায়োলেন্সের কারণে। কিন্তু ২০০২ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ১৫ বছর কিভাবে তিনি ডিপোর্টেশনের খড়গ মাথায় নিয়ে পার করেছেন তা জানা যায়নি। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারী সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর অবৈধ ইমিগ্রান্টদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয় এবং অনেককে ডিপোর্ট করা হয়।
হোজে ঘন ঘন ঠিকানা পরিবর্তন করতে থাকেন এবং যখন বুঝতে পারেন তার কৌশল আর কাজে লাগবে না, তখন এক ব্যাপ্টিষ্ট চার্চে আশ্রয় খুঁজে নেন। কারণ চার্চে আইস হানা দেবে না তা হোজে জানতেন। ধর্মীয় স্থান, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইসের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার আওতা বহির্ভূত ছিল।
চার্চ ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের মতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ থেকে অন্তত ৫০ জন ডিপোর্টেশনপ্রাপ্ত ইমিগ্রান্ট বিভিন্ন চার্চে লুকিয়ে ছিল, যাতে তাদেরকে ডিপোর্ট করা সম্ভব না হয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তার নির্বাহী আদেশের একটিতে সব ধরনের ডিপোর্টেশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর হোজে গত শুক্রবার চার্চ থেকে বের হয়ে বাড়ির পথ ধরেন। দীর্ঘ তিন বছর ৭ মাস তিনি চার্চে আত্মনির্বাসিত অবস্থায় ছিলেন।
হোজে সাংবাদিকদের বলেন, যখন চার্চে আশ্রয় নেই তখন ধারণা করেছিলাম ৩ বা ৪ মাস চার্চে থাকতে হবে। কিন্তু তা দীর্ঘতর হয়েছে। চার্চে অবস্থানের সময় তার পরিবারের সদস্যরা মাঝে মাঝে দেখা করতে যেতেন। তিনি বলেন, চার্চে থাকাকালে আমি একজন প্যাস্টও হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ব্যক্তিগতভাবে লোকজনকে হিতোপদেশ দিয়েছি।
তিনি বাইডেন প্রশাসনের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হিসপানিক কমিউনিটির প্রতি আহবান জানান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করতে। তিনি বলেন, আমি অন্তত কিছুদিনের জন্য হলেও মুক্ত মানুষ হিসেবে পরিবারের সদস্যদের সাথে সুন্দর সময় কাটাতে পারব।
Posted ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২১
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh