বাংলাদেশ অনলাইন : | বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
ঐতিহাসিক সিরিজ জয় করল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দাপুটে বোলিং ও ব্যাটিংয়ে সিরিজ জয় করল টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ৩১৪ রানের ইনিংস তাড়া করতে গিয়ে ২৭৬ রানে অল আউট হয় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য দারুণভাবে ফিরে এসে ৭ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দুই ম্যাচ দুই দল একটি করে জেতায় আজ বুধবার সেঞ্চুরিয়নের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি ‘ফাইনালে’ রূপ নিয়েছিল। যেখানে বাংলাদেশের একক আধিপত্য। ব্যাটিং-বোলিংয়ে আক্ষরিক অর্থেই প্রোটিয়াদের নিয়ে খেলেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। প্রথমে তাসকিন আহমেদের তোপে ৩৭ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ব্যাট হাতে শাসন করে ২৬.৩ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।সেই সঙ্গে প্রথমবারের মত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা। বাংলাদেশের এ জয়ে দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাট হাতে শুরুটা ভালই করে দুই ওপেনার। তবে বেশিক্ষণ এই জুটি টিকতে দেননি বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বলে ব্যক্তিগত ১২ রানে আউট হন কুইন্টন ডি কক। এরপর কাইল ভেরেইনেকে সাজঘরে ফেরান তাসকিন। আউট হওয়ার পূর্বে ৯ রান করেন প্রোটিয়া উইকেটকিপার। নিজের দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে প্রোটিয়া ওপেনার জানেমান মালান আউট করেন তাসকিন। মালান ব্যাট হাতে তুলেন ৩৯ রান। আর সাকিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁড়ে পড়ার আগে ২ রান করেন বাভুমা। ডুসেন করেন ৪ রান। ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস করেন ২০ রান। চাপে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে আর দাঁড়াতেই দেননি তাসকিন-সাকিব-শরিফুলরা। ক্রমান্বয়ে পড়তে থাকে একের পর উইকেট।
এর মাঝে ভরসায় প্রতীক হয়ে উঠছিলেন দলের অভিজ্ঞ হার্ডহিটার ব্যাটার ডেভিড মিলার। কিন্তু তাকেও দাঁড়াতে দেননি তাসকিন। আউট হন ১৬ রানে। এছাড়া ৪ রানে ক্যাগিসো রাবাদা, শূন্যরানে এনগিদি এবং ২৮ রানে কেশব মাহারাজ আউট হন। আর ৩ রানে অপরাজিত থাকেন তাব্রিজ সামসি।
মাত্র ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ সাবধানী ব্যাটিং ছিলো বাংলাদেশের। কোন তাড়াহুড়ো নয়, বরং ধীরে ইনিংসে রানের গতি বাড়ায় ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। যদিও বিপদটা হতে পারতো শুরুতেই। রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই উইকেট হারাতে বসেছিল টাইগাররা। ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন লিটন দাস। কাগিসো রাবাদার অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করেন তিনি। পয়েন্টে বল মুঠোয় জমাতে পারেননি কেশভ মহারাজ। তখন শূন্য রানে ব্যাট করছিলেন লিটন। সেই লিটন পরে ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে, ৪৮ রানে। ২ রানের জন্য অর্ধশতক করতে পারেননি এই ডানহাতি।
লিটন না পারলেও ফিফটি তুলে নেন তামিম। দুই জনের ১২৭ রানের ওপেনিং জুটির পর সাকিবকে নিয়ে জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন তামিম। ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বিজয়ের মাধ্যমে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০০তম বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। এ জয়ে সুপার লীগে নিজেদের শীর্ষস্থান আরো পাকাপোক্ত করে নিলো বাংলাদেশ। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও এমন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ দেখার অপেক্ষায় টাইগার ভক্তরা।
Posted ৪:৩৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh