বাংলাদেশ অনলাইন : | শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
সেনাবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়েছে জাপান। চীনকে মোকাবিলায় সামরিক শক্তি বাড়াতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বেশি ৩২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দেশটি। পঞ্চবার্ষিক এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, চীনে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র কিনবে জাপান এবং সংঘাতে টিকে থাকার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করে তুলবে। আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে অন্যান্য দেশেও যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার মধ্যে জাপান এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর সামরিক ব্যয়ে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে জাপান। দেশটির এমন সুদূরপ্রসারী সামরিক বাজেট পরিকল্পনা একসময় অচিন্তনীয় ছিল। কারণ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জেরসহ আরও কিছু কারণে জাপান সামরিক শক্তি বাড়ানোর দিকে নজর দেয়নি। কিন্তু জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জাপান এবং এর জনগণ ইতিহাসের এক মোড় পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির এই পরিকল্পনা হচ্ছে সেসব নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের জন্য আমার জবাব, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আমরা হয়েছি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জাপান সরকারে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। তাদের ধারণা, ইউক্রেনে হামলা চালিয়ে রাশিয়া যে নজির স্থাপন করেছে, তাতে চীন তাইওয়ানে আগ্রাসন চালাতে উৎসাহিত হবে। এতে হুমকির মুখে পড়বে জাপানের কাছের একটি দ্বীপ। চীন সেখানে হামলা চালালে জলপথে জাপানের বাণিজ্য ব্যাহত হবে। চীনের হুমকিই জাপানের কাছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করা চীন প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও দ্বীপদেশটিকে দখলে নেওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করেনি।
Posted ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh