বাংলাদেশ অনলাইন ডেস্ক : | মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
মার্কিন নাগরিক হয়েও দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও কংগ্রেসনাল নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না ৪৪ লাখ মানুষ। মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, ৫০টি অঙ্গরাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় বসবাসকারীরাই কেবল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও কংগ্রেসনাল নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। কিন্তু এই ৫০ রাজ্য ও একটি বিশেষ জেলা ছাড়াও আমেরিকার অনেক স্বায়ত্তশাসিত এলাকা আছে। এগুলো মূলত বিচ্ছিন্ন দ্বীপাঞ্চল। তাতে অনেক মানুষ বাস করে। উন্নত অর্থনৈতিক ও নাগরিক জীবনও তারা অতিবাহিত করে। কেবল ফেডারেল কোনো ইস্যুতে ভোট দিতে পারে না। এএফপি, ওয়াশিংটন পোস্ট
এ ধরনের অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে পুয়ের্তো রিকো। এর অধিবাসী ৩২ লাখের মতো।
এছাড়া আরো আছে ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ড, আমেরিকান সামোয়া, নর্থ মারিয়ানা আইল্যান্ড ও গুয়াম। এই পাঁচটি ছাড়া আরও ১১টি অঞ্চল আছে আমেরিকার; কিন্তু সেগুলোতে জনবসতি নেই। উল্লিখিত পাঁচটি রাজ্যের নাগরিকরা ভোট যেমন দিতে পারেন না, তেমনি তাদের ফেডারেল ট্যাক্সও দিতে হয় না।
মজার বিষয় হচ্ছে ভোটাধিকার না থাকলেও মূল দুই প্রার্থী- রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক জো বাইডেন কিন্তু পুয়ের্তো রিকোতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। সেখানকার মানুষদের উদ্দেশ্যে নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এর কারণ হচ্ছে পুয়ের্তো রিকোর যেসব মানুষ অন্যান্য স্থানে স্থায়ীভাবে বাস করেন তারা সেখানকার ভোটার।
এছাড়া পুয়ের্তো রিকোর হিস্পানিকভাষী মানুষদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ছড়িয়ে আছে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে।
বিশেষত, ঝুলন্ত রাজ্য ফ্লোরিডায়। এ কারণে পুয়ের্তো রিকোতে জোর প্ররাচণা চালাচ্ছেন দুই প্রার্থী। ফ্লোরিডায় হিস্পানিক ভোট জয়-পরাজয়ের ফয়সালা করতে পারে বিধায় হিস্পানিক ভোট টানার জন্য পুয়ের্তো রিকোকে বিবেচনায় রাখেন প্রার্থীরা। কারণ, ফ্লোরিডায় কিন্তু ২৯টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে।
পুয়ের্তো রিকান ও হিস্পানিক বাসিন্দারাও উৎসাহ নিয়ে ভোট দেয়। যেমন- চার বছর আগে পুয়ের্তো রিকো থেকে ওরল্যান্ডোতে চলে আসা জেরিক মেডিয়াভিলা বলেন, ‘পুয়ের্তো রিকোর ৩২ লাখ মানুষ ও আমার পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে আমি ভোট দেব।
ফ্লোরিডায় মেডিয়াভিলার মতো মানুষেরা রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট প্রচারণা শিবিরের মূল টার্গেট। কারণ অন্তত ১২ লাখ পুয়ের্তো রিকান বাস করে ফ্লোরিডায়। ২০১৬ সালে ফ্লোরিডায় জিতেছিলেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস আরও চার বছরের জন্য নিশ্চিত করতে হলে এবারও তার ফ্লোরিডায় জয়ের বিকল্প নেই।
একই অবস্থা বাইডেনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তিনিও জয় নিশ্চিত করতে হলে ফ্লোরিডার ২৯টি ইলেক্টোরাল ভোটই চাইবেন। আর ১২ লাখ পুয়ের্তো রিকানকে বাদ দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। ল্যাটিনো তথা হিস্পানিক ভোটারদের ভোটে উদ্বুদ্ধ করা নিয়ে করে পডার ল্যাটিঙ্কস।
সংস্থাটির কো-নির্বাহী পরিচালক ইয়াদিরা সানচেজ জানান, ‘পুয়ের্তো রিকানরা এই নির্বাচনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ পুয়ের্তো রিকানরা মূল ভূখণ্ডে বাস করা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বলেন, সেখানে বসে তোমরা ভোট দিয়ে এখানে আমাদের সহয়াতা করছ।
Posted ৯:২০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh