বাংলাদেশ রিপোর্ট : | বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
সোস্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২৪ লাখ প্রবীণ আমেরিকান তাদের শিশু নানি-নাতনির দেখভাল করেন। এ ধরনের আমেরিকান শিশুর সংখ্যা আনুমানিক ৪০ লাখ। মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির কারণে সকল সেবা ও পন্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে এ ধরনের প্রবীণ, যারা সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট পান, তারা এখন থেকে বর্ধিত হারে বেনিফিট পাবেন। তাদের অবিভাবকত্বে থাকা শিশুরাও বর্ধিত বেনিফিটের সুবিধা লাভ করবে। এর বাইরেও অনেক শিশু রয়েছে, যাদের দায়িত্ব তৃতীয় কোনো পক্ষ পালন করেন, তারাও বর্ধিত সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফেটের আওতায় পড়বে।
সোস্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিষ্ট্রেশনের জীবনযাত্রায় ব্যয় সমন্বয় ব্যবস্থায় সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিটের পরিমাণ প্রায় ৯ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা আগামী জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হবে। গত ৪০ বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ পরিমাণে বেনিফিট বৃদ্ধির ঘটনা। এছাড়া মেডিকেয়ার পার্ট ‘বি’ এর প্রিমিয়ার হ্রাস করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট, যার ফলে বেনিফিট গ্রহীতারা আরও বেশি কিছু অর্থ তাদের হাতে পাবেন। বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে, বিশেষ করে স্বল্প আয়ের অবসরগ্রহণকারীরা কোনো কারণে তাদের বয়স্ক ছেলে বা মেয়ের সন্তানদের লালনপালনের দায়িত্ব গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। সোস্যাল সিকিউরিটি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বেনিফিট গ্রহণকারী প্রবীণ আমেরিকানদের অভিভাবকত্বে থাকা নাতি-নাতনির জন্য বেনিফিট প্রদান করে।
করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে শিশুদের জন্য সোস্যাল সিকিউরিটি বেনিফিট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। কারণ মহামারীতে অনেক শিশু পিতৃমাতৃহীন হয়ে পড়ায় তাদের অবিভাবকত্ব বর্তেছে অন্যদের ওপর। ব্রুকিং ইন্সটিটিউশনের সিনিয়র ফেলো এবং সামাজিক পরিবর্তন কৌশল বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল পলিসি সলিউশনস এর সিইও মায়া রকিমুর কামিংস এর মতে, করোনায় মা-বাবা হারানো শিশুর সংখ্যা অনুমিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি।
সোস্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে শিশুদের লালন পালনের বর্ধিত ব্যয় বিশ্লেষণ করে তাদের বেনিফিট বৃদ্ধি করে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। সোস্যাল সিকিউরিটির আরেকটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী যারা তাদের নাতি-নাতনির লালন পালনের দায়িত্ব পালন করছে তাদের ৬০ শতাংশই দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী প্রবীণ। যারা দারিদ্র সীমার নিচে নেই এমন প্রবীণদের কম সংখ্যককেই নাতি-নাতনির দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
Posted ১:১৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
Weekly Bangladesh | Weekly Bangladesh